আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ২৮১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১২১৬-১
১৬. ইহরামের প্রকারভেদ, ইফরাদ, কিরান ও তামাত্তু হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা জায়েয, একত্রে উমরা ও হজ্জের ইহরাম বাধাও জায়েয এবং কিরান হজ্জ পালনকারী কখন ইহরামমুক্ত হবে
২৮১৪। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... রাবী আতা (রাহঃ) বলেন, আমি একদল লোকের মধ্যে ছিলাম। এ অবস্থায় জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলতে শুনলাম, আমরা মুহাম্মাদ এর সাহাবীগণ কেবল হজ্জের ইহরামই বাঁধলাম। আতা (রাহঃ) বলেছেনঃ জাবির (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) চার যিলহজ্জের ভোরে (মক্কায়) পৌছে আমাদেরকে হালাল হওয়ার নির্দেশ দিলেন। আতা বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা হালাল হও এবং স্ত্রীদের কাছে যাও। কিন্তু তার এ নির্দেশ বাধ্যতামূলক ছিল না, বরং তাদেরকে ন্ত্রী সহবাসের অনুমতি দেয়া হয়েছিল মাত্র।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, আরাফার দিবসের আর পাঁচ দিন মাত্র বাকী। অতএব আমরা এ অবস্থায় আমাদেরকে স্ত্রীগমনের নির্দেশ দিলেন। তাহলে তো আমরা এমন অবস্থায় আরাফাতে পৌঁছব যে, আমাদের যৌনাঙ্গ থেকে বীর্য ঝরছে। আতা (রাহঃ) বলেন, জাবির (রাযিঃ) তার হাত নেড়ে কথাগুলো বলছিলেন এবং আমি যেন তার হাতের নড়াচড়া দেখতে পাচ্ছি। জাবির (রাযিঃ) বলেন, ইত্যবসরে নবী (ﷺ) আমাদের মাঝে দাঁড়ালেন এবং বললেন, তোমরা নিশ্চিত জান, আমি তোমাদের তুলনায় আল্লাহকে অধিক ভয় করি, আমি তোমাদের চেয়ে অধিক সত্যবাদী এবং পূণ্যবান। আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকলে আমি অবশ্যই হালাল হয়ে যেতাম যেমন তোমরা হালাল হয়েছ। আমি আমার বিষয়টি যদি আগে জানতাম, যেমন পরে জেনেছি, তবে আমি সাথে করে কুরবানীর পশু আনতাম না, অতএব তোমরা হালাল হও (ইহরাম ভঙ্গ কর)।
আতা (রাহঃ) বলেছেন, জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ অতএব আমরা হালাল হলাম, তার কথা শুনলাম এবং তাঁর আনুগত্য করলাম। জাবির (রাযিঃ) আরও বলেন, আলী (রাযিঃ) (ইয়েমেনবাসীদের থেকে আদায়কৃত) খারাজ নিয়ে উপস্থিত হলেন। নবী (ﷺ) তাকে বললেন, তুমি কোন ধরনের ইহরাম বেঁধেছ? তিনি বললেন, নবী (ﷺ) যে ধরনের ইহরাম বেঁধেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তুমি কুরবানী কর এবং ইহরাম অবস্থায় থাক। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আলী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য কুরবানীর পশু এনেছিলেন। সুরাকা ইবনে মালিক ইবনে জুশুম (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! এটা কি শুধু এই বছরের জন্য, না সব সময়ের জন্য? তিনি বললেন, সর্বকালের জন্য।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, আরাফার দিবসের আর পাঁচ দিন মাত্র বাকী। অতএব আমরা এ অবস্থায় আমাদেরকে স্ত্রীগমনের নির্দেশ দিলেন। তাহলে তো আমরা এমন অবস্থায় আরাফাতে পৌঁছব যে, আমাদের যৌনাঙ্গ থেকে বীর্য ঝরছে। আতা (রাহঃ) বলেন, জাবির (রাযিঃ) তার হাত নেড়ে কথাগুলো বলছিলেন এবং আমি যেন তার হাতের নড়াচড়া দেখতে পাচ্ছি। জাবির (রাযিঃ) বলেন, ইত্যবসরে নবী (ﷺ) আমাদের মাঝে দাঁড়ালেন এবং বললেন, তোমরা নিশ্চিত জান, আমি তোমাদের তুলনায় আল্লাহকে অধিক ভয় করি, আমি তোমাদের চেয়ে অধিক সত্যবাদী এবং পূণ্যবান। আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকলে আমি অবশ্যই হালাল হয়ে যেতাম যেমন তোমরা হালাল হয়েছ। আমি আমার বিষয়টি যদি আগে জানতাম, যেমন পরে জেনেছি, তবে আমি সাথে করে কুরবানীর পশু আনতাম না, অতএব তোমরা হালাল হও (ইহরাম ভঙ্গ কর)।
আতা (রাহঃ) বলেছেন, জাবির (রাযিঃ) বলেনঃ অতএব আমরা হালাল হলাম, তার কথা শুনলাম এবং তাঁর আনুগত্য করলাম। জাবির (রাযিঃ) আরও বলেন, আলী (রাযিঃ) (ইয়েমেনবাসীদের থেকে আদায়কৃত) খারাজ নিয়ে উপস্থিত হলেন। নবী (ﷺ) তাকে বললেন, তুমি কোন ধরনের ইহরাম বেঁধেছ? তিনি বললেন, নবী (ﷺ) যে ধরনের ইহরাম বেঁধেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তুমি কুরবানী কর এবং ইহরাম অবস্থায় থাক। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আলী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য কুরবানীর পশু এনেছিলেন। সুরাকা ইবনে মালিক ইবনে জুশুম (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! এটা কি শুধু এই বছরের জন্য, না সব সময়ের জন্য? তিনি বললেন, সর্বকালের জন্য।
باب بَيَانِ وُجُوهِ الإِحْرَامِ وَأَنَّهُ يَجُوزُ إِفْرَادُ الْحَجِّ وَالتَّمَتُّعِ وَالْقِرَانِ وَجَوَازِ إِدْخَالِ الْحَجِّ عَلَى الْعُمْرَةِ وَمَتَى يَحِلُّ الْقَارِنُ مِنْ نُسُكِهِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، - رضى الله عنهما - فِي نَاسٍ مَعِي قَالَ أَهْلَلْنَا أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ خَالِصًا وَحْدَهُ - قَالَ عَطَاءٌ قَالَ جَابِرٌ - فَقَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صُبْحَ رَابِعَةٍ مَضَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَأَمَرَنَا أَنْ نَحِلَّ . قَالَ عَطَاءٌ قَالَ " حِلُّوا وَأَصِيبُوا النِّسَاءَ " . قَالَ عَطَاءٌ وَلَمْ يَعْزِمْ عَلَيْهِمْ وَلَكِنْ أَحَلَّهُنَّ لَهُمْ . فَقُلْنَا لَمَّا لَمْ يَكُنْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلاَّ خَمْسٌ أَمَرَنَا أَنْ نُفْضِيَ إِلَى نِسَائِنَا فَنَأْتِيَ عَرَفَةَ تَقْطُرُ مَذَاكِيرُنَا الْمَنِيَّ . قَالَ يَقُولُ جَابِرٌ بِيَدِهِ - كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى قَوْلِهِ بِيَدِهِ يُحَرِّكُهَا - قَالَ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِينَا فَقَالَ " قَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي أَتْقَاكُمْ لِلَّهِ وَأَصْدَقُكُمْ وَأَبَرُّكُمْ وَلَوْلاَ هَدْيِي لَحَلَلْتُ كَمَا تَحِلُّونَ وَلَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ لَمْ أَسُقِ الْهَدْىَ فَحِلُّوا " . فَحَلَلْنَا وَسَمِعْنَا وَأَطَعْنَا . قَالَ عَطَاءٌ قَالَ جَابِرٌ فَقَدِمَ عَلِيٌّ مِنْ سِعَايَتِهِ فَقَالَ " بِمَ أَهْلَلْتَ " . قَالَ بِمَا أَهَلَّ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَأَهْدِ وَامْكُثْ حَرَامًا " . قَالَ وَأَهْدَى لَهُ عَلِيٌّ هَدْيًا فَقَالَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِعَامِنَا هَذَا أَمْ لأَبَدٍ فَقَالَ " لأَبَدٍ " .
