আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১২১৩
১৬. ইহরামের প্রকারভেদ, ইফরাদ, কিরান ও তামাত্তু হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা জায়েয, একত্রে উমরা ও হজ্জের ইহরাম বাধাও জায়েয এবং কিরান হজ্জ পালনকারী কখন ইহরামমুক্ত হবে
২৮০৮। কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনে রুমহ (রাহঃ) লাঈস (রাহঃ) থেকে ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ইফরাদ হজ্জের ইহরাম বেঁধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে (মক্কার দিকে) অগ্রসর হলাম আর আয়িশা (রাযিঃ) উমরার ইহরাম বেঁধে আসলেন। আমরা যখন সারিফ নামক স্থানে পৌঁছলাম, আয়িশা (রাযিঃ)-এর মাসিক ঋতু শুরু হল। অবশেষে আমরা মক্কায় পৌছে কাবা ঘর তাওয়াফ করলাম এবং সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ করলাম। আমাদের মধ্যে যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিল না রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। আমরা বললাম, কি প্রকারে ইহরাম খোলা হবে?

তিনি বললেন, ″সম্পূর্ণরূপে ইহরামমুক্ত হওয়া।″ অতএব আমরা স্ত্রী সহবাস করলাম, সূগন্ধি ব্যবহার করলাম এবং সাধারণ পোশাক পরিধান করলাম। তখন আরাফার দিবস ও আমাদের মাঝে আর মাত্র চার দিনের ব্যবধান ছিল। অতঃপর তালবিয়া দিবসে (১০-ই যিলহজ্জ) আমরা পূনরায় ইহরাম বাঁধলাম। এদিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে ক্রন্দনরত অবস্থায় পেলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কি হয়েছে? আয়িশা (রাযিঃ)বললেন, ব্যাপার এই যে, আমার হায়য দেখা দিয়েছে। লোকেরা ইহরাম খুলেছে কিন্তু আমি ইহরামমুক্ত হতে পারিনি এবং বায়তুল্লাহরও তাওয়াফ করতে পারিনি, আর এখন লোকেরা হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছে।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এটা এমন একটি ব্যাপার যা আল্লাহ তাআলা আদম (আলাইহিস সালাম) এর কন্যা সন্তানদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন। অতএব তুমি গোসল কর এবং হজ্জের ইহরাম বাঁধ। তিনি তাই করলেন এবং হজ্জের স্থানসমূহে অবস্থান করলেন। অতঃপর তিনি পবিত্র হলেন, কাবা ঘর তাওয়াফ করলেন এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এখন তোমার হজ্জ ও উমরা উভয়টিই পূর্ণ হল। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার অবস্থা এই যে, হজ্জ না করা পর্যন্ত আমি (উমরার জন্য) বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতে পারি নি, কিন্তু হজ্জ আদায় করে নিয়েছি। তিনি বললেন, হে আব্দুর রহমান! তাকে নিয়ে চলে যাও এবং তানঈম থেকে তাকে উমরা করাও। এটা ছিল হাসবার রাতের ঘটনা।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সহীহ মুসলিম - হাদীস নং ২৮০৮ | মুসলিম বাংলা