আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১২১১
১৬. ইহরামের প্রকারভেদ, ইফরাদ, কিরান ও তামাত্তু হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা জায়েয, একত্রে উমরা ও হজ্জের ইহরাম বাধাও জায়েয এবং কিরান হজ্জ পালনকারী কখন ইহরামমুক্ত হবে
২৮০০। যুহাইর ইবনে হারব ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... মানসুর ইবরাহীম থেকে, তিনি আসওয়াদ থেকে এবং তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, শুধুমাত্র হজ্জের উদ্দেশ্যেই আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। আমরা (মক্কায়) পৌছে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলাম। যারা কুরবানীর পশু (হাদী) সাথে আনে নাই, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে ইহরাম খোলার নির্দেশ দিলেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, অতএব যারা কুরবানীর পশু সঙ্গে আনে নাই, তারা ইহরাম ছেড়ে দিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সহধর্মিনীগণ সাথে কুরবানীর পশু আনেন নাই। তাই তারাও ইহরাম খূলে ফেললেন। আয়িশা (রাযিঃ) আরও বললেন, আমার মাসিক দেখা দিল এবং বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতে পারলাম না। হাসবায় অবস্থানের রাতে আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ লোকেরা হজ্জ ও উমরা করে ফিরে যাচ্ছে, আর আমি শুধু হজ্জ করে ফিরছি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা যে রাতে মক্কায় পৌছেছি, তখন তুমি কি বায়তূল্লাহ এর তাওয়াফ করনি? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তাহলে তুমি তোমার ভাইয়ের সাথে তানঈম যাও এবং (সেখানে) উমরার ইহরাম বাধ।

অতঃপর তুমি অমুক অমূক জায়গায় (আমাদের সাথে) মিলিত হতে পারবে। উম্মুল মু'মিনীন সাফিয়্যা (রাযিঃ) বললেন, মনে হয় আমি আপনাদের আটকিয়ে রাখব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হায়, দুর্ভোগ, কি সর্বনাশ! তুমি কি কুরবানীর দিন বায়তূল্লাহ এর তাওয়াফ করনি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, করেছি। নবী (ﷺ) বললেন, তাহলে কোন অসুবিধা নেই, তুমি অগ্রসর হও। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার সাথে সাক্ষাত করলেন, তিনি মক্কার উচ্চভূমিতে উঠছিলেন। আর আমি নীচে নামছিলাম। অথবা আমি উচ্চভূমিতে উঠছিলাম আর তিনি তা থেকে নামছিলেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন