আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১২১১
১৬. ইহরামের প্রকারভেদ, ইফরাদ, কিরান ও তামাত্তু হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা জায়েয, একত্রে উমরা ও হজ্জের ইহরাম বাধাও জায়েয এবং কিরান হজ্জ পালনকারী কখন ইহরামমুক্ত হবে
২৭৯৩। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা হজ্জের মাসসমূহে, হজ্জের মাওসুমে ও হজ্জের স্থানসমুহে (অথবা হজ্জের সময়কার বিধি-নিষেধ অনুসরণ করে) এবং হজ্জের রাতসমুহে ইহরাম বেঁধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। আমরা যখন সারিফ নামক স্থানে যাত্রা বিরতি করলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাহাবীদের নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, তোমাদের মধ্যে যার সাথে কুরবানীর পশু নাই, সে যদি চায় তবে সে এই হজ্জ কে উমরায় পরিবর্তিত করে নিক। আর যার সাথে কুরবানীর পশু (হাদী) আছে, সে যেন এরূপ না করে। তাদের মাঝে কিছু সংখ্যক এটা গ্রহণ করল এবং কিছু সংখ্যক যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিল না, তারা উমরা করল না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর স্বচ্ছল সাহাবীদের সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিল।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট প্রবেশ করলেন এবং আমি তখন কাঁদছিলাম। তিনি বললেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম আমি আপনার সাহাবীদের উদ্দেশ্যে আপনার কথাবার্তা শুনেছি যে, আপনি উমরা করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আমি তা করতে পারছি না। তিনি বললেন, কেন, তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, আমি নামায আদায় করতে পারছি না। তিনি বললেন, এতে তোমার কোন ক্ষতি নেই, তুমি হজ্জের অনুষ্ঠানাদি পালন কর। আশা করি আল্লাহ তাআলা তোমাকে উমরা পালনের সুযোগ দিবেন। তুমি আদম (আলাইহিস সালাম) এর কন্যাদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি তাদের জন্য যা নির্ধারণ করেছেন, তোমার জন্যও তা নির্ধারণ করেছেন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, অতএব আমি হজ্জের জন্য বের হলাম। অবশেষে মিনায় অবতরণ করলাম এবং পাক হয়ে গেলাম। এরপর আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুহাসসাবে অবতরণ করলেন এবং আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ) কে ডেকে বললেন, তোমার বোনকে হারাম সীমার বাইরে নিয়ে যাও, সে (সেখানে গিয়ে) উমরার জন্য ইহরাম বাঁধবে এবং বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করবে। আমি তোমাদের জন্য এখানে অপেক্ষা করব। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, আমরা রওয়ানা হয়ে (তানঈম) গেলাম এবং (সেখানে) ইহরাম বাঁধলাম, তারপর বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করলাম এবং সাফা-মারওইয়া সাঈ করলাম। অতঃপর আমরা মধ্যরাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট ফিরে এলাম। তিনি স্বস্থানেই ছিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি উমরা সম্পাদন করে নিয়েছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি তাঁর সাহাবীদের রওয়ানা হওয়ার জন্য ঘোষণা দিলেন। তিনি রওয়ানা হয়ে বায়তুল্লাহ পৌছলেন এবং ফজরের নামাযের পূর্বে তাঁর তাওয়াফ করলেন, তারপর মদীনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট প্রবেশ করলেন এবং আমি তখন কাঁদছিলাম। তিনি বললেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম আমি আপনার সাহাবীদের উদ্দেশ্যে আপনার কথাবার্তা শুনেছি যে, আপনি উমরা করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আমি তা করতে পারছি না। তিনি বললেন, কেন, তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, আমি নামায আদায় করতে পারছি না। তিনি বললেন, এতে তোমার কোন ক্ষতি নেই, তুমি হজ্জের অনুষ্ঠানাদি পালন কর। আশা করি আল্লাহ তাআলা তোমাকে উমরা পালনের সুযোগ দিবেন। তুমি আদম (আলাইহিস সালাম) এর কন্যাদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি তাদের জন্য যা নির্ধারণ করেছেন, তোমার জন্যও তা নির্ধারণ করেছেন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, অতএব আমি হজ্জের জন্য বের হলাম। অবশেষে মিনায় অবতরণ করলাম এবং পাক হয়ে গেলাম। এরপর আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুহাসসাবে অবতরণ করলেন এবং আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ) কে ডেকে বললেন, তোমার বোনকে হারাম সীমার বাইরে নিয়ে যাও, সে (সেখানে গিয়ে) উমরার জন্য ইহরাম বাঁধবে এবং বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করবে। আমি তোমাদের জন্য এখানে অপেক্ষা করব। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, আমরা রওয়ানা হয়ে (তানঈম) গেলাম এবং (সেখানে) ইহরাম বাঁধলাম, তারপর বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করলাম এবং সাফা-মারওইয়া সাঈ করলাম। অতঃপর আমরা মধ্যরাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট ফিরে এলাম। তিনি স্বস্থানেই ছিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি উমরা সম্পাদন করে নিয়েছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি তাঁর সাহাবীদের রওয়ানা হওয়ার জন্য ঘোষণা দিলেন। তিনি রওয়ানা হয়ে বায়তুল্লাহ পৌছলেন এবং ফজরের নামাযের পূর্বে তাঁর তাওয়াফ করলেন, তারপর মদীনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন।
