আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং: ২৭৯০
আন্তর্জাতিক নং: ১২১১ - ১০
১৬. ইহরামের প্রকারভেদ, ইফরাদ, কিরান ও তামাত্তু হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা জায়েয, একত্রে উমরা ও হজ্জের ইহরাম বাধাও জায়েয এবং কিরান হজ্জ পালনকারী কখন ইহরামমুক্ত হবে
২৭৯০। সুলাইমান ইবনে উবাইদুল্লাহ আবু আইয়ুব গায়লানী (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কেবল হজ্জের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। আমরা যখন সারিফ নামক স্থানে পৌছলাম, আমার মাসিক ঋতু শুরু হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট এলেন এবং আমি তখন কাঁদছিলাম। তিনি বললেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, আল্লাহর কসম! আমি যদি এ বছর হজ্জ করতে না আসতাম! তিনি বললেন, কি হয়েছে তোমার? সম্ভবত তুমি ঋতুবতী হয়েছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা এটা আদম (আলাইহিস সালাম) এর কন্যাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তুমি হজ্জ পালনকারীগণ যা করে, তাই কর কিন্তু পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করো না।

আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি যখন মক্কায় পৌছলাম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাহাবীদের বললেন, তোমরা উমরার জন্য ইহরাম বাঁধ। যাদের সাথে হাদী বা কুরবানীর পশু ছিল, তারা ব্যতীত সকলে উমরার ইহরাম বাঁধল। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আবু বকর (রাযিঃ), উমর (রাযিঃ) ও অন্যান্য স্বচ্ছল লোকদের সাথে কুরবানীর পশু (হাদী) ছিলো, তারা (ইতিপূর্বে যারা ইহরাম খুলে ফেলেছিল, মিনার দিকে) অগ্রসর হওয়ার প্রাক্কালে পূনরায় (হজ্জের ইহরাম বাঁধল। তিনি বলেন, আমি কুরবানীর দিন পবিত্র হলাম এবং আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নির্দেশে তাওয়াফে ইফাযা* করলাম।

আমাদের জন্য গরুর গোশত পাঠান হল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এগুলো কি? তারা বলল, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সহধর্মিনীদের পক্ষ থেকে একটি গরু কুরবানী করেছেন। যখন হাসবার** রাত এল, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! লোকেরা হজ্জ ও উমরা পালন করে প্রত্যাবর্তন করছে, আর আমি শুধু হজ্জ করে প্রত্যাবর্তন করছি। রাবী বলেন, তিনি বলেন, তিনি আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ) কে নির্দেশ দিলেন এবং তদনুযায়ী তিনি আমাকে তার উটের পিছিন দিকে বসিয়ে রওয়ানা হলেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি ছিলাম অল্প বয়স্কা এবং আমার মনে আছে যে, তন্দ্রাছন্ন হয়ে আমার মাথা বারবার পালানের খুটির সাথে আঘাত খাচ্ছিল। এভাবে আমরা তানঈম পৌছলাম। সেখান থেকে আমি আবার ইহরাম বাঁধলাম- যা লোকেরা ইতিপূর্বে আদায় করেছে।


*
তাওয়াফে যিয়ারাত, যা ১০ই যিলহজ্জ অন্যথায় ১১ ও ১২ তারিখে আদায় করতে হয়। এটি ফরয ও হজ্জের একটি রুকন।
** মিনা হতে মক্কার গমন-পথে একটি স্থানের নাম।
باب بَيَانِ وُجُوهِ الإِحْرَامِ وَأَنَّهُ يَجُوزُ إِفْرَادُ الْحَجِّ وَالتَّمَتُّعِ وَالْقِرَانِ وَجَوَازِ إِدْخَالِ الْحَجِّ عَلَى الْعُمْرَةِ وَمَتَى يَحِلُّ الْقَارِنُ مِنْ نُسُكِهِ
حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ أَبُو أَيُّوبَ الْغَيْلاَنِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ عَبْدُ الْمَلِكِ، بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ نَذْكُرُ إِلاَّ الْحَجَّ حَتَّى جِئْنَا سَرِفَ فَطَمِثْتُ فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ " مَا يُبْكِيكِ " . فَقُلْتُ وَاللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ خَرَجْتُ الْعَامَ قَالَ " مَا لَكِ لَعَلَّكِ نَفِسْتِ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " هَذَا شَىْءٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ افْعَلِي مَا يَفْعَلُ الْحَاجُّ غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِي " . قَالَتْ فَلَمَّا قَدِمْتُ مَكَّةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِهِ " اجْعَلُوهَا عُمْرَةً " . فَأَحَلَّ النَّاسُ إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْىُ - قَالَتْ - فَكَانَ الْهَدْىُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَذَوِي الْيَسَارَةِ ثُمَّ أَهَلُّوا حِينَ رَاحُوا - قَالَتْ - فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ طَهَرْتُ فَأَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَفَضْتُ - قَالَتْ - فَأُتِينَا بِلَحْمِ بَقَرٍ . فَقُلْتُ مَا هَذَا فَقَالُوا أَهْدَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نِسَائِهِ الْبَقَرَ . فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْحَصْبَةِ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ يَرْجِعُ النَّاسُ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ وَأَرْجِعُ بِحَجَّةٍ قَالَتْ فَأَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَأَرْدَفَنِي عَلَى جَمَلِهِ - قَالَتْ - فَإِنِّي لأَذْكُرُ وَأَنَا جَارِيَةٌ حَدِيثَةُ السِّنِّ أَنْعُسُ فَتُصِيبُ وَجْهِي مُؤْخِرَةُ الرَّحْلِ حَتَّى جِئْنَا إِلَى التَّنْعِيمِ فَأَهْلَلْتُ مِنْهَا بِعُمْرَةٍ جَزَاءً بِعُمْرَةِ النَّاسِ الَّتِي اعْتَمَرُوا .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন