আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ২৭২৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৬-৪
৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭২৫। সালিহ ইবনে মিসমার সূলামী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আবু কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা হুদায়বিয়ার বছর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে গেলেন। তার সঙ্গীগণ ইহরাম বাঁধলেন, কিন্তু আবু কাতাদা (রাযিঃ) ইহরাম বাঁধলেন না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে অবহিত করা হল যে, শক্ররা গাইকা নামক স্থানে ওত পেতে আছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার যাত্রা অব্যাহত রাখলেন। আবু কাতাদা (রাযিঃ) বলেন, আমি তাঁর সাহাবীগণের সঙ্গে ছিলাম, তাদের কতক আমার দিকে চেয়ে হাসছিল। আমি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে একটি বন্য গাধা দেখতে পেলাম। আমি সেটিকে ধাওয়া করলাম এবং বর্শা ছুড়ে সেটিকে বিদ্ধ করলাম। তারপর সাহাবীদের সাহায্য চাইলাম। কিন্তু তারা আমাকে সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানালেন। আমরা এর গোশত খেলাম এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কাবোধ করলাম। অতএব আমি তাঁর সন্ধানে চললাম। কখনো ঘোড়া দ্রুত হাকাচ্ছিলাম, আবার কখনো সাধারণভাবে চালাচ্ছিলাম।
মধ্যরাতে গিফার গোত্রের এক ব্যক্তির সাক্ষাত পেলাম এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কোথায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাক্ষাত পেয়েছে? সে বলল, আমি তাঁকে তা’হিন নামক স্থানে ছেড়ে এসেছি এবং তিনি সুকয়া নামক স্থানে দুপূরের সময়টা যাত্রা বিরতি করার মনস্থ করেছেন। আমি (আবু কাতাদা) তাঁর সাথে মিলিত হয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার সাহাবীগণ আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং আপনার জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেছেন। তারা আপনার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। অতএব আপনি তাদের জন্য অপেক্ষা করুন। অতএব তিনি তাদের জন্য অপেক্ষা করলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি একটি শিকার ধরেছি এবং তার কিছু অংশ আমার কাছে অবশিষ্ট আছে। নবী (ﷺ) লোকদের বললেন, তোমরা খাও। তারা ইহরাম অবস্থায় ছিলেন।
মধ্যরাতে গিফার গোত্রের এক ব্যক্তির সাক্ষাত পেলাম এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কোথায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাক্ষাত পেয়েছে? সে বলল, আমি তাঁকে তা’হিন নামক স্থানে ছেড়ে এসেছি এবং তিনি সুকয়া নামক স্থানে দুপূরের সময়টা যাত্রা বিরতি করার মনস্থ করেছেন। আমি (আবু কাতাদা) তাঁর সাথে মিলিত হয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার সাহাবীগণ আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং আপনার জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেছেন। তারা আপনার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। অতএব আপনি তাদের জন্য অপেক্ষা করুন। অতএব তিনি তাদের জন্য অপেক্ষা করলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি একটি শিকার ধরেছি এবং তার কিছু অংশ আমার কাছে অবশিষ্ট আছে। নবী (ﷺ) লোকদের বললেন, তোমরা খাও। তারা ইহরাম অবস্থায় ছিলেন।
وَحَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ مِسْمَارٍ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى، بْنِ أَبِي كَثِيرٍ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ انْطَلَقَ أَبِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ يُحْرِمْ وَحُدِّثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ عَدُوًّا بِغَيْقَةَ فَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - فَبَيْنَمَا أَنَا مَعَ أَصْحَابِهِ يَضْحَكُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ إِذْ نَظَرْتُ فَإِذَا أَنَا بِحِمَارِ وَحْشٍ فَحَمَلْتُ عَلَيْهِ فَطَعَنْتُهُ فَأَثْبَتُّهُ فَاسْتَعَنْتُهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يُعِينُونِي فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهِ وَخَشِينَا أَنْ نُقْتَطَعَ فَانْطَلَقْتُ أَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُرَفِّعُ فَرَسِي شَأْوًا وَأَسِيرُ شَأْوًا فَلَقِيتُ رَجُلاً مِنْ بَنِي غِفَارٍ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ فَقُلْتُ أَيْنَ لَقِيتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ تَرَكْتُهُ بِتِعْهِنَ وَهُوَ قَائِلٌ السُّقْيَا فَلَحِقْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَصْحَابَكَ يَقْرَءُونَ عَلَيْكَ السَّلاَمَ وَرَحْمَةَ اللَّهِ وَإِنَّهُمْ قَدْ خَشُوا أَنْ يُقْتَطَعُوا دُونَكَ انْتَظِرْهُمْ . فَانْتَظَرَهُمْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصَدْتُ وَمَعِي مِنْهُ فَاضِلَةٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِلْقَوْمِ " كُلُوا " . وَهُمْ مُحْرِمُونَ .
