৩৩. প্রতি মাসে তিন দিন, আরাফাতের দিন, আশুরার দিন, সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা পালনের ফযীলত
২৬১৮। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু কাতাদা আল-আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। এতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অন্তুষ্ট হলেন। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন আমরা আল্লাহর উপর (আমাদের) প্রতিপালক হিসেবে, ইসলামের উপর (আমাদের) দ্বীন হিসেবে, মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর (আমাদের) রাসুল হিসেবে এবং বায়’আত হিসেবে আমাদের কৃত বায়’আতের উপর আমরা সন্তুষ্ট।
অতঃপর সারা বছর রোযা পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন, সে রোযা পালন করেনি এবং রোযাহীনও থাকেনি। অতঃপর একাধারে দুই দিন রোযা পালন করা ও এক দিন রোযা ত্যাগ করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন এভাবে রোযা পালনের সামর্থ্য কার আছে? অতঃপর একদিন রোযা পালন ও দু দিন রোযা ত্যাগ করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন, আল্লাহ যেন আমাদের এরূপ রোযা পালনের সামর্থ্য দান করেন। অতঃপর একদিন রোযা পালন করা ও একদিন না করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন, তা আমার ভাই দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযা।
অতঃপর সোমবারের রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, এই দিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনই আমি নবুওয়াত প্রাপ্ত হয়েছি বা আমার উপর (কুরআন) নাযিল করা হয়েছে। আরও বললেন, প্রতি মাসে তিন দিন এবং গোটা রমযান মাস রোযা পালন করাই হল সারা বছর রোযা পালনের সমতুল্য।
অতঃপর আরাফার দিবসের রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, তাতে পূর্ববর্তী বছর ও পরবর্তী বছরের গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে।
অতঃপর আশূরার রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, তাতে বিগত বছরের গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে।
এই হাদীসে শু’বার বর্ণনায় আরও আছে, অতঃপর সোমবার ও বৃহস্পতিবারের রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। কিন্তু আমাদের মতে বৃহস্পতিবারের কথা ভুলবশত বর্ণিত হয়েছে, তাই আমরা তার উল্লেখ থেকে বিরত থাকলাম।