আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৪- রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ২৫৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৪ - ১
২৯. নফল রোযা পালনকারী ব্যক্তির জন্য দ্বিপ্রহরের পূর্বে রোযার নিয়ত করা বৈধ। নফল রোযা পালনকারী ব্যক্তির জন্য বিনা ওযরে রোযা ভঙ্গ করা জায়েয। অবশ্য রোযা পূর্ণ করা তার জন্য উত্তম
২৫৮৫। আবু কামিল ফূযায়ল ইবনে হুসাইন (রাহঃ) ......... উম্মুল মু'মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে আয়িশা! তোমার নিকট (খাওয়ার মত) কোন কিছু আছে কি? আমি বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার নিকট কিছুই নেই। তখন তিনি বললেন, তাহলে আমি রোযা পালন করছি। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাইরে চলে গেলেন। ইত্যবসরে আমাদের নিকট কিছু হাদিয়া আসল কিংবা তিনি বলেছেন, দর্শনার্থী কতিপয় লোক আমাদের নিকট আসলেন।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিরে আসলে আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের কিছু হাদিয়া দেয়া হয়েছে কিংবা তিনি বলেছেন, কতিপয় দর্শনার্থী আমাদের নিকট এসেছেন। আমি আপনার জন্য কিছু খাবার সযত্নে রেখে দিয়েছি। তিনি বললেন, তা কি? আমি বললাম, হায়স (অর্থাৎ ঘি এবং পনির মিশ্রিত খেজুর)। তিনি বললেন, নিয়ে আস। তখন আমি তা নিয়ে এলাম। তিনি তা খেলেন। তারপর বললেন, আমি ভোরে রোযা পালনের নিয়ত করেছিলাম।
বর্ণনাকারী তালহা (রাহঃ) বলেন, আমি এ হাদীস মুজাহিদ (রাহঃ) এর নিকট বর্ণনা করার পর তিনি বললেন, এ কাজটি ঐ ব্যক্তির মত যে তার মাল থেকে সাদ্কা বের করল। সে ইচ্ছা করলে তা দান করতে পারে, আর ইচ্ছা করলে রেখেও দিতে পারে।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিরে আসলে আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের কিছু হাদিয়া দেয়া হয়েছে কিংবা তিনি বলেছেন, কতিপয় দর্শনার্থী আমাদের নিকট এসেছেন। আমি আপনার জন্য কিছু খাবার সযত্নে রেখে দিয়েছি। তিনি বললেন, তা কি? আমি বললাম, হায়স (অর্থাৎ ঘি এবং পনির মিশ্রিত খেজুর)। তিনি বললেন, নিয়ে আস। তখন আমি তা নিয়ে এলাম। তিনি তা খেলেন। তারপর বললেন, আমি ভোরে রোযা পালনের নিয়ত করেছিলাম।
বর্ণনাকারী তালহা (রাহঃ) বলেন, আমি এ হাদীস মুজাহিদ (রাহঃ) এর নিকট বর্ণনা করার পর তিনি বললেন, এ কাজটি ঐ ব্যক্তির মত যে তার মাল থেকে সাদ্কা বের করল। সে ইচ্ছা করলে তা দান করতে পারে, আর ইচ্ছা করলে রেখেও দিতে পারে।
بَاب جَوَازِ صَوْمِ النَّافِلَةِ بِنِيَّةٍ مِنْ النَّهَارِ قَبْلَ الزَّوَالِ وَجَوَازِ فِطْرِ الصَّائِمِ نَفْلًا مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ
وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا طَلْحَةُ، بْنُ يَحْيَى بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ بِنْتُ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ " يَا عَائِشَةُ هَلْ عِنْدَكُمْ شَىْءٌ " . قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا عِنْدَنَا شَىْءٌ . قَالَ " فَإِنِّي صَائِمٌ " . قَالَتْ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأُهْدِيَتْ لَنَا هَدِيَّةٌ - أَوْ جَاءَنَا زَوْرٌ - قَالَتْ - فَلَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أُهْدِيَتْ لَنَا هَدِيَّةٌ - أَوْ جَاءَنَا زَوْرٌ - وَقَدْ خَبَأْتُ لَكَ شَيْئًا . قَالَ " مَا هُوَ " . قُلْتُ حَيْسٌ . قَالَ " هَاتِيهِ " . فَجِئْتُ بِهِ فَأَكَلَ ثُمَّ قَالَ " قَدْ كُنْتُ أَصْبَحْتُ صَائِمًا " . قَالَ طَلْحَةُ فَحَدَّثْتُ مُجَاهِدًا بِهَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ ذَاكَ بِمَنْزِلَةِ الرَّجُلِ يُخْرِجُ الصَّدَقَةَ مِنْ مَالِهِ فَإِنْ شَاءَ أَمْضَاهَا وَإِنْ شَاءَ أَمْسَكَهَا.
