আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
১৪- বৃষ্টি প্রার্থনার অধ্যায়
হাদীস নং: ৯৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ১০১৪
৬৪১. কিবলার দিকে মুখ না করে জুমআর খুতবায় বৃষ্টির জন্য দুআ করা।
৯৫৯। কুতাইবা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একব্যক্তি জুমআর দিন দারুল কাযা (বিচার কাজ সমাধার স্থান) এর দিকের দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করল। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। লোকটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ধন-সম্পদ নষ্ট হয়ে গেল এবং রাস্তাঘাট (অনাবৃষ্টির দরুন রাস্তায় সফর ও বাজার ইত্যাদী) বন্ধ হয়ে গেল। আপনি আল্লাহর নিকট দুআ করুন যেন তিনি আমাদের বৃষ্টি দান করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু’হাত তুলে দুআ করলেন, হে আল্লাহ আমাদের বৃষ্টি দান করুন। হে আল্লাহ আমাদের বৃষ্টি দান করুন। হে আল্লাহ আমাদের বৃষ্টি দান করুন।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আমরা তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, মেঘ নেই। মেঘের সামান্য টুকরোও নেই। অথচ সালআ পর্বত ও আমাদের মধ্যে কোন ঘরবাড়ি ছিল না। তিনি বলেন, হঠাৎ সালআর ওপাশ থেকে ঢালের মত মেঘ উঠে এল এবং মধ্য আকাশে এসে ছড়িয়ে পড়লো। এরপর প্রচুর বর্ষণ হতে লাগল। আল্লাহর কসম! আমরা ছয়দিন সুর্য দেখতে পাইনি।
এর পরের জুম'আয় সে দরজা দিয়ে এক ব্যক্তি প্রবেশ করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। লোকটি তাঁর সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ধন সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেল এবং রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। কাজেই আপনি বৃষ্টি বন্ধের জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করুন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন দু’হাত তুলে দুআ করলেন, হে আল্লাহ! আমাদের আশে পাশে, আমাদের উপর নয়। হে আল্লাহ! টিলা, মালভূমি, উপত্যকার অভ্যন্তরে এবং বনাঞ্চলে বর্ষণ করুন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তখন বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেল এবং আমরা বেরিয়ে রোদে চলতে লাগলাম।
রাবী শরীক (রাহঃ) বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, এ লোকটি কি আগের সেই লোক? তিনি বলেন, আমি জানি না।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আমরা তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, মেঘ নেই। মেঘের সামান্য টুকরোও নেই। অথচ সালআ পর্বত ও আমাদের মধ্যে কোন ঘরবাড়ি ছিল না। তিনি বলেন, হঠাৎ সালআর ওপাশ থেকে ঢালের মত মেঘ উঠে এল এবং মধ্য আকাশে এসে ছড়িয়ে পড়লো। এরপর প্রচুর বর্ষণ হতে লাগল। আল্লাহর কসম! আমরা ছয়দিন সুর্য দেখতে পাইনি।
এর পরের জুম'আয় সে দরজা দিয়ে এক ব্যক্তি প্রবেশ করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। লোকটি তাঁর সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ধন সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেল এবং রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। কাজেই আপনি বৃষ্টি বন্ধের জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করুন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন দু’হাত তুলে দুআ করলেন, হে আল্লাহ! আমাদের আশে পাশে, আমাদের উপর নয়। হে আল্লাহ! টিলা, মালভূমি, উপত্যকার অভ্যন্তরে এবং বনাঞ্চলে বর্ষণ করুন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তখন বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেল এবং আমরা বেরিয়ে রোদে চলতে লাগলাম।
রাবী শরীক (রাহঃ) বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, এ লোকটি কি আগের সেই লোক? তিনি বলেন, আমি জানি না।
باب الاِسْتِسْقَاءِ فِي خُطْبَةِ الْجُمُعَةِ غَيْرَ مُسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةِ
1014 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ: أَنَّ رَجُلًا، دَخَلَ المَسْجِدَ يَوْمَ جُمُعَةٍ مِنْ بَابٍ كَانَ نَحْوَ دَارِ القَضَاءِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ يَخْطُبُ، فَاسْتَقْبَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمًا، ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلَكَتِ الأَمْوَالُ وَانْقَطَعْتِ السُّبُلُ، فَادْعُ اللَّهَ يُغِيثُنَا، فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ أَغِثْنَا، اللَّهُمَّ أَغِثْنَا، اللَّهُمَّ أَغِثْنَا» قَالَ أَنَسٌ: وَلاَ وَاللَّهِ، مَا نَرَى فِي السَّمَاءِ مِنْ سَحَابٍ، وَلاَ قَزَعَةً وَمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ سَلْعٍ مِنْ بَيْتٍ وَلاَ دَارٍ، قَالَ: فَطَلَعَتْ مِنْ وَرَائِهِ سَحَابَةٌ مِثْلُ التُّرْسِ فَلَمَّا تَوَسَّطَتِ السَّمَاءَ انْتَشَرَتْ، ثُمَّ أَمْطَرَتْ، فَلاَ وَاللَّهِ، مَا رَأَيْنَا الشَّمْسَ سِتًّا، ثُمَّ دَخَلَ رَجُلٌ مِنْ ذَلِكَ البَابِ فِي الجُمُعَةِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ يَخْطُبُ، فَاسْتَقْبَلَهُ قَائِمًا، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَتِ الأَمْوَالُ وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ، فَادْعُ اللَّهَ يُمْسِكْهَا عَنَّا، قَالَ: فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالظِّرَابِ، وَبُطُونِ الأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ [ص:29] الشَّجَرِ» قَالَ: فَأَقْلَعَتْ، وَخَرَجْنَا نَمْشِي فِي الشَّمْسِ قَالَ شَرِيكٌ: سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ: أَهُوَ الرَّجُلُ الأَوَّلُ؟ فَقَالَ: «مَا أَدْرِي»
