আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৪- রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১২০
- রোযার অধ্যায়
১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য রোযা হতে বিরত থাকা উত্তম
২৪৯৫। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... কাযাআ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) এর নিকট গেলাম। তাঁর নিকট মানুষের খুব ভিড় ছিল। যখন লোকজন পৃথক হয়ে এদিক ওদিক চলে গেল তখন আমি বললাম, আমি আপনার নিকট ঐসব কথা জিজ্ঞাসা করব না যা লোকেরা জিজ্ঞাসা করেছে। আমি তাকে সফরের অবস্থায় রোযা পালন করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)এর সাথে রোযারত অবস্থায় মক্কার দিকে রওয়ানা করলাম। এরপর একস্থানে আমরা অবতরণ করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এখন তোমরা শক্রদের নিকটবর্তী হয়ে গিয়েছ। এখন ইফতারই তোমাদের জন্য শক্তিশালী থাকার উপায় এবং এ তোমাদের জন্য বিশেষ এক অবকাশ।
তখন আমাদের কতক লোক রোযা পালন করল আবার কতক লোক ইফতার করল। এরপর আমরা অন্য এক স্থানে অবতরণ করলাম। তখন তিনি বললেন ভোরেই তোমরা শত্রুর মুকাবিলা করবে। সুতরাং ইফতার তোমাদের জন্য শক্তি বর্ধক। তাই তোমরা তা ছেড়ে দাও। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এ নির্দেশ অবশ্য পাননীয়। তাই আমরা সকলেই রোযা ছেড়ে দিলাম। এরপর আমরা দেখেছি আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে সফরের অবস্থায় রোযা পালন করতাম।
তখন আমাদের কতক লোক রোযা পালন করল আবার কতক লোক ইফতার করল। এরপর আমরা অন্য এক স্থানে অবতরণ করলাম। তখন তিনি বললেন ভোরেই তোমরা শত্রুর মুকাবিলা করবে। সুতরাং ইফতার তোমাদের জন্য শক্তি বর্ধক। তাই তোমরা তা ছেড়ে দাও। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এ নির্দেশ অবশ্য পাননীয়। তাই আমরা সকলেই রোযা ছেড়ে দিলাম। এরপর আমরা দেখেছি আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে সফরের অবস্থায় রোযা পালন করতাম।
كتاب الصيام
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي قَزَعَةُ، قَالَ أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ - رضى الله عنه - وَهُوَ مَكْثُورٌ عَلَيْهِ فَلَمَّا تَفَرَّقَ النَّاسُ عَنْهُ قُلْتُ إِنِّي لاَ أَسْأَلُكَ عَمَّا يَسْأَلُكَ هَؤُلاَءِ عَنْهُ . سَأَلْتُهُ عَنِ الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ فَقَالَ سَافَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى مَكَّةَ وَنَحْنُ صِيَامٌ قَالَ فَنَزَلْنَا مَنْزِلاً فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّكُمْ قَدْ دَنَوْتُمْ مِنْ عَدُوِّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ " . فَكَانَتْ رُخْصَةً فَمِنَّا مَنْ صَامَ وَمِنَّا مَنْ أَفْطَرَ ثُمَّ نَزَلْنَا مَنْزِلاً آخَرَ فَقَالَ " إِنَّكُمْ مُصَبِّحُو عَدُوِّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ فَأَفْطِرُوا " . وَكَانَتْ عَزْمَةً فَأَفْطَرْنَا ثُمَّ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُنَا نَصُومُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ فِي السَّفَرِ .
বর্ণনাকারী: