আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৪- রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪২৭
আন্তর্জাতিক নং: ১০৯৯ - ১
৯. সেহরীর ফযীলত, সেহরী খাওয়া মুস্তাহাব, সেহরী বিলম্বে খাওয়া এবং ইফতার তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব
২৪২৭। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া ও আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল আলা (রাহঃ) ......... আবু আতিয়্যা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও মাসরুক (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট গেলাম এবং তাঁকে বললাম হে উম্মুল মু'মিনীন! মুহাম্মাদ (ﷺ) এর সাহাবীদের দুই ব্যক্তির মধ্যে এক ব্যক্তি ইফতার ও নামাযে ত্বরান্বিত করে এবং অন্য এক ব্যক্তি ইফতার ও নামায বিলম্ব করে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন সে কোন ব্যক্তি; যে ইফতার ও নামায ত্বরাম্বিত করে? আমরা বললাম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরূপই করতে।। আবু কুরায়ব বলেন অপরজন হলেন, আবু মুসা (রাযিঃ)।
باب فَضْلِ السُّحُورِ وَتَأْكِيدِ اسْتِحْبَابِهِ وَاسْتِحْبَابِ تَأْخِيرِهِ وَتَعْجِيلِ الْفِطْرِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ قَالاَ أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَمَسْرُوقٌ، عَلَى عَائِشَةَ فَقُلْنَا يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ رَجُلاَنِ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم أَحَدُهُمَا يُعَجِّلُ الإِفْطَارَ وَيُعَجِّلُ الصَّلاَةَ وَالآخَرُ يُؤَخِّرُ الإِفْطَارَ وَيُؤَخِّرُ الصَّلاَةَ . قَالَتْ أَيُّهُمَا الَّذِي يُعَجِّلُ الإِفْطَارَ وَيُعَجِّلُ الصَّلاَةَ قَالَ قُلْنَا عَبْدُ اللَّهِ يَعْنِي ابْنَ مَسْعُودٍ . قَالَتْ كَذَلِكَ كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . زَادَ أَبُو كُرَيْبٍ وَالآخَرُ أَبُو مُوسَى .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
সূর্য অস্তমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোযাদার ইফতার করবে এবং মুয়াজ্জিন আযান দিবে। ইফতারের ওয়াক্ত আযান শুরু হওয়ার পর হয় বিষয়টি এমন নয়।
আমাদের দেশে রেওয়াজ আছে যে, লোকেরা ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে এবং আযানের শব্দ শোনার আগ পর্যন্ত ইফতার করে না। এ থেকে কারো কারো মনে এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, ইফতারের ওয়াক্তই শুরু হয় আযানের পর। এই ধারণা ঠিক নয়। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতারের ওয়াক্ত হয়। আর বিনা কারণে ইফতার বিলম্ব করা খেলাফে সুন্নত। ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উচিত।
আমাদের দেশে রেওয়াজ আছে যে, লোকেরা ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে এবং আযানের শব্দ শোনার আগ পর্যন্ত ইফতার করে না। এ থেকে কারো কারো মনে এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, ইফতারের ওয়াক্তই শুরু হয় আযানের পর। এই ধারণা ঠিক নয়। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতারের ওয়াক্ত হয়। আর বিনা কারণে ইফতার বিলম্ব করা খেলাফে সুন্নত। ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উচিত।
