আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৪- রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ২৩৭০
আন্তর্জাতিক নং: ১০৮০ - ২
২. চাঁদ দেখার পর রোযা ফরয, এবং চাঁদ দেখার পর ঈদ করা ফরয; মাসের প্রথম ও শেষ তারিখে যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে, তবে ত্রিশ দিনে মাস পূর্ণ হবে
২৩৭০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রমযান মাসের কথা আলোচনা করলেন। তারপর তিনি তাঁর উভয় হাতদ্বারা ইঙ্গিত প্রদান করে বললেন, মাস তো এতো দিনে আর এতো দিনে হয়। তৃতীয় দফায় তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলীটি বন্ধ করে নিলেন। এরপর বললেন, তোমরা চাঁদ দেখে রোযা পালন করবে এবং চাঁদ দেখে ইফতার (ঈদ) করবে। যদি আকাশ মেঘে ঢাকা থাকে, তবে ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।
بَاب وُجُوبِ صَوْمِ رَمَضَانَ لِرُؤْيَةِ الْهِلَالِ وَالْفِطْرِ لِرُؤْيَةِ الْهِلَالِ وَأَنَّهُ إِذَا غُمَّ فِي أَوَّلِهِ أَوْ آخِرِهِ أُكْمِلَتْ عِدَّةُ الشَّهْرِ ثَلَاثِينَ يَوْمًا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رضى الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ رَمَضَانَ فَضَرَبَ بِيَدَيْهِ فَقَالَ " الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا - ثُمَّ عَقَدَ إِبْهَامَهُ فِي الثَّالِثَةِ - فَصُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ أُغْمِيَ عَلَيْكُمْ فَاقْدِرُوا لَهُ ثَلاَثِينَ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
খাইরুল কুরূন থেকে এ পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ যুগ যুগ ধরে যে প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত নিয়ম অনুসরণ করে আসছে এর উপর বিচ্ছিন্নতা অবলম্বনকারীদের তরফ থেকে নানা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এখানে এসব প্রশ্ন নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে- ইনশাআল্লাহ।
১. রমযান আগে-পিছে হওয়ার কারণে শুরু রমযানে এক-দুইটি রোযা না রাখার গুনাহ হয়; বরং এক এক রোযার ষাট ষাট দিনের কাফফারা ওয়াজিব হয়। যা আদায় করা হয় না।
২. ঈদের দিন রোযা রাখা নাজায়েয। অথচ ঈদ আগে-পিছে হওয়ার কারণে এই নাজায়েয কাজটি করা হয়।
৩. তাকবীরে তাশরিকের কিছু অংশ থেকে যায়।
৪. আরাফার রোযা ঈদুল আযহার দিন রাখা হয়।
৫. যারা বারো তারিখে কুরবানী করেন তা প্রকৃতপক্ষে তেরো তারিখে হওয়ার কারণে তাদের কুরবানী শুদ্ধ হয় না।
এই পাঁচটি অভিযোগই নানা কারণে ভিত্তিহীন। আলোচনার সহজার্থে শুধু একটি কারণ উল্লেখ করছি। আর তা এই যে, শরীয়তের ইজমায়ী তথা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, যেসকল মাসআলায় ইমামদের মাঝে মতভিন্নতা রয়েছে, তাতে যিনি যে মাযহাবের অনুসারী তার কর্মের হুকুম ঐ মাযহাব অনুযায়ী হবে, অন্য মাযহাব অনুযায়ী নয়। উদাহরণস্বরূপ :
শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্ত বের হলে শাফেয়ী মাযহাবে অজু নষ্ট হয় না। সুতরাং শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারী কোনো মুসল্লী রক্ত বের হওয়া সত্ত্বেও যদি নতুন করে অজু না করেন, আগের অজুতেই নামায পড়েন, তাহলে হানাফী মাযহাবের অনুসারী কারো ঐ মুসল্লীকে এই অভিযোগে অভিযুক্ত করা জায়েয নয় যে, বিনা অজুতে নামায পড়েছেন তিনি। তেমনি এই বিধান আরোপ করাও জায়েয নয় যে, আপনাকে এই নামায আবার পড়তে হবে। অথচ হানাফী মাযহাবের কোনো অনুসারী এই কাজ করলে তাকে বলা হবে, আপনার অজু ভেঙ্গে গেছে; আপনি নতুন করে অজু করুন এবং নামাযটি আবার পড়ুন।
আরেকটি উদাহরণ : শাফেয়ী মাযহাবে ইমামের পিছনে মুকতাদীর সূরা ফাতেহা পড়া ফরয। হানাফী মাযহাবে ফরয তো নয়ই; বরং না পড়ার হুকুম। এখন শাফেয়ী মাযহাবের কারো জন্য জায়েয নয় কোনো হানাফী মুসল্লীকে এ কথা বলা যে, আপনি ইমামের পিছনে ফাতিহা পড়েননি তাই আপনার নামায হয়নি; আপনাকে নামাযটি আবার পড়তে হবে। ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির দৃষ্টিতেও কোনো হানাফী মুসল্লীকে এমন কথা বলা কোনো শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারীর জন্য জায়েয নয়।
এই মাসআলা জানার পর এখন লক্ষ্য করুন, হানাফী মাযহাবের অগ্রগণ্য ও অনুসৃত অভিমত হচ্ছে, প্রত্যেক অঞ্চলের অধিবাসী নিজ নিজ অঞ্চলের হিলাল দেখার উপর আমল করবে। আর এটাই অন্যান্য মাযহাবের বড় বড় ফকীহের সিদ্ধান্ত। এরই উপর একমত ছিলেন খাইরুল কুরূনের অধিকাংশ ফকীহ। তাই এই নিয়ম অনুসারে যিনি রোযা ও ঈদ করছেন তাকে এই কথা বলা ভুল যে, আপনার একটি রোযা ছুটে গেছে! কারণ তার তো ঐ দিন রমযান শুরুই হয়নি। তদ্রƒপ তিনি যখন ত্রিশতম রোযা রাখছেন তখনও এ কথা বলা সঠিক নয় যে, আপনি ঈদের দিন রোযা রাখছেন। কারণ তার এখনো পয়লা শাওয়াল আসেনি।[1] ১
তাকবীরে তাশরীক ও ৯ যিলহজে¦র রোযার ব্যাপারেও একই কথা। হাদীস শরীফে ইয়াওমে আরাফা বলে উদ্দেশ্য হল ৯ যিলহজ¦। ঐ সময় নয় যখন আরাফায় উকূফ চলছে। তার কারণ, ঈদুল আযহার জন্য কোনো ইসলামী শহরে স্থানীয় হেলালের পরিবর্তে উকূফে আরাফা বা মক্কার হেলালকে ভিত্তি বানানো হয়নি। নবী-যুগ ও খুলাফায়ে রাশেদীনের যুগে মাদীনাতেও নয় এবং পরবর্তী কোনো যুগে অন্য কোনো শহরেও নয়। বিস্তারিত জানার জন্য দেখা যেতে পারে ড. হামীদুল্লাহ-এর প্রবন্ধ। যা ‘মুসলিম ওয়ার্ল্ড’ পত্রিকার ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ ঈসাব্দ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এর উর্দূ অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে ‘আলবালাগ’ করাচীর ডিসেম্বর ১৯৭৫ ঈসায়ীর সংখ্যায়। আরো দেখুন www.albalagh.net -এ প্রকাশিত হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানীর প্রবন্ধ Determination of Eid al-Adha । যা এ ঠিকানায় দেখা যেতে পারে-
https://www.albalagh.net/qa/moon_qa.shtml ।
তাছাড়া এদিকটিও চিন্তা করুন : আমাদের ও মক্কা মুকাররমার উদয়াস্তে কয়েক ঘণ্টার পার্থক্য। যদি নয় যিলহজে¦র রোযাকে মক্কার আরাফার সাথে যুক্ত করা হয় তাহলে যখন আমরা রোযা শুরু করব তখন তো আরাফা-দিবস শুরু হয়নি। তা শুরু হবে আরো তিন ঘণ্টা পর। তেমনি যখন ইফতার করব তখনও আরাফা-দিবস সমাপ্ত হয়নি। তখনও দিবসের তিন ঘণ্টা বাকি।
এরপর আরাফা-দিবসে পৃথিবীর যেসকল অঞ্চলে রাত থাকবে তারা কি রাতেই রোযা রাখবেন? এরা যদি নিজেদের রাত শেষ হওয়ার পর রোযা রাখেন তখন তো আরাফা-দিবসও শেষ। হাজ¦ীরাও কেউ তখন আরাফার ময়দানে নেই, তারা তখন মুযদালিফায়।
এ কারণে নিঃসন্দেহে আরাফার দিন রোযা রাখা বিষয়ক হাদীসের অর্থ ৯ জিলহজ¦ রোযা রাখা। যে অঞ্চলে যেই দিন ৯ জিলহজ¦ হবে ঐ অঞ্চলের অধিবাসীরা ঐ দিনই রোযা রাখবেন। খোদ হাজ¦ীদের জন্য তো আরাফার দিন রোযা রাখা মাসনূনও নয়।
আরো চিন্তা করুন, পশ্চিমের যেসকল অঞ্চলে যিলহজে¦র হিলাল সৌদিয়ার এক দিন আগে দেখা যাবে, মক্কা-মুকাররমার আরাফা-দিবস হবে তাদের ১০ যিলহজ¦। ঐ দিন তাদের রোযা রাখতে বললে তা হবে ঈদুল আযহার দিন রোযা রাখা, যা নিষেধ।
সুতরাং পরিশেষে একথাই বলতে হবে যে, প্রত্যেক অঞ্চলের মানুষ নিজ নিজ হিলাল অনুসারে আমল করবেন। আর তারা যেহেতু শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নিজেদের হিলাল দেখা অনুসারে আমল করছেন তাই এতে আপত্তির কোনো অবকাশ নেই।
১. রমযান আগে-পিছে হওয়ার কারণে শুরু রমযানে এক-দুইটি রোযা না রাখার গুনাহ হয়; বরং এক এক রোযার ষাট ষাট দিনের কাফফারা ওয়াজিব হয়। যা আদায় করা হয় না।
২. ঈদের দিন রোযা রাখা নাজায়েয। অথচ ঈদ আগে-পিছে হওয়ার কারণে এই নাজায়েয কাজটি করা হয়।
৩. তাকবীরে তাশরিকের কিছু অংশ থেকে যায়।
৪. আরাফার রোযা ঈদুল আযহার দিন রাখা হয়।
৫. যারা বারো তারিখে কুরবানী করেন তা প্রকৃতপক্ষে তেরো তারিখে হওয়ার কারণে তাদের কুরবানী শুদ্ধ হয় না।
এই পাঁচটি অভিযোগই নানা কারণে ভিত্তিহীন। আলোচনার সহজার্থে শুধু একটি কারণ উল্লেখ করছি। আর তা এই যে, শরীয়তের ইজমায়ী তথা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, যেসকল মাসআলায় ইমামদের মাঝে মতভিন্নতা রয়েছে, তাতে যিনি যে মাযহাবের অনুসারী তার কর্মের হুকুম ঐ মাযহাব অনুযায়ী হবে, অন্য মাযহাব অনুযায়ী নয়। উদাহরণস্বরূপ :
শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্ত বের হলে শাফেয়ী মাযহাবে অজু নষ্ট হয় না। সুতরাং শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারী কোনো মুসল্লী রক্ত বের হওয়া সত্ত্বেও যদি নতুন করে অজু না করেন, আগের অজুতেই নামায পড়েন, তাহলে হানাফী মাযহাবের অনুসারী কারো ঐ মুসল্লীকে এই অভিযোগে অভিযুক্ত করা জায়েয নয় যে, বিনা অজুতে নামায পড়েছেন তিনি। তেমনি এই বিধান আরোপ করাও জায়েয নয় যে, আপনাকে এই নামায আবার পড়তে হবে। অথচ হানাফী মাযহাবের কোনো অনুসারী এই কাজ করলে তাকে বলা হবে, আপনার অজু ভেঙ্গে গেছে; আপনি নতুন করে অজু করুন এবং নামাযটি আবার পড়ুন।
আরেকটি উদাহরণ : শাফেয়ী মাযহাবে ইমামের পিছনে মুকতাদীর সূরা ফাতেহা পড়া ফরয। হানাফী মাযহাবে ফরয তো নয়ই; বরং না পড়ার হুকুম। এখন শাফেয়ী মাযহাবের কারো জন্য জায়েয নয় কোনো হানাফী মুসল্লীকে এ কথা বলা যে, আপনি ইমামের পিছনে ফাতিহা পড়েননি তাই আপনার নামায হয়নি; আপনাকে নামাযটি আবার পড়তে হবে। ইমাম শাফেয়ী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির দৃষ্টিতেও কোনো হানাফী মুসল্লীকে এমন কথা বলা কোনো শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারীর জন্য জায়েয নয়।
এই মাসআলা জানার পর এখন লক্ষ্য করুন, হানাফী মাযহাবের অগ্রগণ্য ও অনুসৃত অভিমত হচ্ছে, প্রত্যেক অঞ্চলের অধিবাসী নিজ নিজ অঞ্চলের হিলাল দেখার উপর আমল করবে। আর এটাই অন্যান্য মাযহাবের বড় বড় ফকীহের সিদ্ধান্ত। এরই উপর একমত ছিলেন খাইরুল কুরূনের অধিকাংশ ফকীহ। তাই এই নিয়ম অনুসারে যিনি রোযা ও ঈদ করছেন তাকে এই কথা বলা ভুল যে, আপনার একটি রোযা ছুটে গেছে! কারণ তার তো ঐ দিন রমযান শুরুই হয়নি। তদ্রƒপ তিনি যখন ত্রিশতম রোযা রাখছেন তখনও এ কথা বলা সঠিক নয় যে, আপনি ঈদের দিন রোযা রাখছেন। কারণ তার এখনো পয়লা শাওয়াল আসেনি।[1] ১
তাকবীরে তাশরীক ও ৯ যিলহজে¦র রোযার ব্যাপারেও একই কথা। হাদীস শরীফে ইয়াওমে আরাফা বলে উদ্দেশ্য হল ৯ যিলহজ¦। ঐ সময় নয় যখন আরাফায় উকূফ চলছে। তার কারণ, ঈদুল আযহার জন্য কোনো ইসলামী শহরে স্থানীয় হেলালের পরিবর্তে উকূফে আরাফা বা মক্কার হেলালকে ভিত্তি বানানো হয়নি। নবী-যুগ ও খুলাফায়ে রাশেদীনের যুগে মাদীনাতেও নয় এবং পরবর্তী কোনো যুগে অন্য কোনো শহরেও নয়। বিস্তারিত জানার জন্য দেখা যেতে পারে ড. হামীদুল্লাহ-এর প্রবন্ধ। যা ‘মুসলিম ওয়ার্ল্ড’ পত্রিকার ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ ঈসাব্দ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এর উর্দূ অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে ‘আলবালাগ’ করাচীর ডিসেম্বর ১৯৭৫ ঈসায়ীর সংখ্যায়। আরো দেখুন www.albalagh.net -এ প্রকাশিত হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানীর প্রবন্ধ Determination of Eid al-Adha । যা এ ঠিকানায় দেখা যেতে পারে-
https://www.albalagh.net/qa/moon_qa.shtml ।
তাছাড়া এদিকটিও চিন্তা করুন : আমাদের ও মক্কা মুকাররমার উদয়াস্তে কয়েক ঘণ্টার পার্থক্য। যদি নয় যিলহজে¦র রোযাকে মক্কার আরাফার সাথে যুক্ত করা হয় তাহলে যখন আমরা রোযা শুরু করব তখন তো আরাফা-দিবস শুরু হয়নি। তা শুরু হবে আরো তিন ঘণ্টা পর। তেমনি যখন ইফতার করব তখনও আরাফা-দিবস সমাপ্ত হয়নি। তখনও দিবসের তিন ঘণ্টা বাকি।
এরপর আরাফা-দিবসে পৃথিবীর যেসকল অঞ্চলে রাত থাকবে তারা কি রাতেই রোযা রাখবেন? এরা যদি নিজেদের রাত শেষ হওয়ার পর রোযা রাখেন তখন তো আরাফা-দিবসও শেষ। হাজ¦ীরাও কেউ তখন আরাফার ময়দানে নেই, তারা তখন মুযদালিফায়।
এ কারণে নিঃসন্দেহে আরাফার দিন রোযা রাখা বিষয়ক হাদীসের অর্থ ৯ জিলহজ¦ রোযা রাখা। যে অঞ্চলে যেই দিন ৯ জিলহজ¦ হবে ঐ অঞ্চলের অধিবাসীরা ঐ দিনই রোযা রাখবেন। খোদ হাজ¦ীদের জন্য তো আরাফার দিন রোযা রাখা মাসনূনও নয়।
আরো চিন্তা করুন, পশ্চিমের যেসকল অঞ্চলে যিলহজে¦র হিলাল সৌদিয়ার এক দিন আগে দেখা যাবে, মক্কা-মুকাররমার আরাফা-দিবস হবে তাদের ১০ যিলহজ¦। ঐ দিন তাদের রোযা রাখতে বললে তা হবে ঈদুল আযহার দিন রোযা রাখা, যা নিষেধ।
সুতরাং পরিশেষে একথাই বলতে হবে যে, প্রত্যেক অঞ্চলের মানুষ নিজ নিজ হিলাল অনুসারে আমল করবেন। আর তারা যেহেতু শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নিজেদের হিলাল দেখা অনুসারে আমল করছেন তাই এতে আপত্তির কোনো অবকাশ নেই।
