আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৩- যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৩৫২
আন্তর্জাতিক নং: ১০৭২-১
৩৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার বংশধরদের জন্য যাকাত গ্রহণ করা অবৈধ; তার বংশধর হল, বনী হাশিম এবং বনী মুত্তালিব গোত্রের লোকজন, অন্য কেউ নয়
২৩৫২। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আসমা আয যুবাঈ (রাহঃ) ......... আব্দুল মুত্তালিব ইবনুল হারিস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাবী’আ ইবনুল হারিস এবং আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) একত্রিত হলেন। এরপর তারা আমার এবং ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সম্পর্কে বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা যদি এ দু’জন যুবককে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট পাঠাই এবং তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাথে কথা বলে; ফলে তিনি তাদেরকে যাকাত উসূলকারী নিয়োগ করেন এবং মানুষ যা যাকাত প্রদান করবে তা তারা তার নিকট পৌছিয়ে দেয় এবং তারা পারিশ্রমিক হিসাবে ঐ পরিমাণ পায় যা অন্যান্য লোকেরা পেয়ে থাকে; তবে ভাল হবে।
এ সময় আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) এসে তাদের নিকট দাঁড়ালেন। তারা এ বিষয়টি তার নিকট উল্লেখ করলেন। তখন আলী (রাযিঃ) বললেন, আপনারা পাঠাবেন না। কারণ আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ কাজ করবেন না। তখন রাবী’আ ইবনুল হারিস (রাযিঃ) আলী (রাযিঃ) এর প্রতি রেগে গেলেন এবং বললেন, আল্লাহর শপথ। আপনি আমাদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে এ আচরণ করছেন। আল্লাহর কসম! আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জামাতা হবার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। কিন্তু আমরা তো এতে আপনার প্রতি ঈর্ষা করিনা।
এ কথা শুনে আলী (রাযিঃ) বললেন, তোমরা তাদেরকে পাঠিয়ে দাও। এরপর তারা চললেন এবং আলী (রাযিঃ) শুয়ে পড়লেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন যোহরের নামায আদায় করলেন তখন তারা অগ্রে গিয়ে হুজরার নিকট দাঁড়িয়ে রইলেন। এরপর নবী (ﷺ) এসে তাদের উভয়ের কান ধরে বললেন, তোমাদের মনে কি কথা জমা আছে বল। তারপর তিনি হুজরায় প্রবেশ করলেন। আমরাও তাঁর সাথে প্রবেশ করলাম। এ সময় তিনি যয়নাব বিনতে জাহশের গৃহে অবস্থান করছিলেন। রাবী বলেন, আমরা একে অন্যের উপর ভরসা করে ছিলাম। এ সময় আমাদের একজন কথা বলতে আরম্ভ করলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি মানুষের মধ্যে সর্বাধিক দয়াবান এবং আত্মীয়তা রক্ষাকারী। আমরা বিবাহের বয়সে পদার্পণ করেছি আমরা এসেছি, যেন আপনি আমাদেরকে এই যাকাতের মাল উসুলকারী নিয়োজিত করেন। আমরাও আপনার নিকট পৌছিয়ে দিব যেমন অন্যান্য লোকেরা পৌছিয়ে দেন এবং আমরাও (এর থেকে কিছু) পাব যেমন অন্যান্যরা পান।
বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে তিনি দীর্ঘক্ষণ নীরব থাকলেন। অবশেষে পূনরায় আমরা তার সাথে (এ বিষয়ে) কথা বলার ইচ্ছা করলাম। তখন যয়নাব (রাযিঃ) পর্দার অন্তরাল থেকে আমাদেরকে ইশারা করে বললেন, তাঁর সাথে এখন কোন কথা বলো না। রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, মুহাম্মাদ (ﷺ) এর পরিবার পরিজনের জন্য সাদ্কার মাল ভক্ষণ করা বৈধ নয়। এতো মানুষের ময়লা। তোমরা মাহমিয়াকে আমার নিকট ডেকে আন। সে খুমুসের রক্ষণাবেক্ষণকারী ছিল। আর নাওফল ইবনুল হারিস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব কেও।
তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আসলেন। তিনি মাহমিয়াকে বললেন, তুমি তোমার কন্যাকে ফযল ইবনে আব্বাসের নিকট বিয়ে দিয়ে দাও। তিনি তাই করলেন। এরপর নাওফল ইবনে হারিস (রাযিঃ) কে বললেন, তুমিও তোমার কন্যাকে এ ছেলেটির নিকট বিয়ে দিয়ে দাও। বর্ণনাকারী আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) বলেন, সুতরাং তিনি আমার নিকট নিজ কন্যাকে বিয়ে দিয়ে দিলেন। তারপর তিনি মাহমিয়াকে বললেন, খুমুসের মাল থেকে তাদেরকে এই এই পরিমাণ সাদ্কা দিয়ে দাও। ইমাম যুহরী বলেন, তিনি আমার নিকট তার নাম উল্লেখ করেন নি।
এ সময় আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) এসে তাদের নিকট দাঁড়ালেন। তারা এ বিষয়টি তার নিকট উল্লেখ করলেন। তখন আলী (রাযিঃ) বললেন, আপনারা পাঠাবেন না। কারণ আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ কাজ করবেন না। তখন রাবী’আ ইবনুল হারিস (রাযিঃ) আলী (রাযিঃ) এর প্রতি রেগে গেলেন এবং বললেন, আল্লাহর শপথ। আপনি আমাদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে এ আচরণ করছেন। আল্লাহর কসম! আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জামাতা হবার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। কিন্তু আমরা তো এতে আপনার প্রতি ঈর্ষা করিনা।
এ কথা শুনে আলী (রাযিঃ) বললেন, তোমরা তাদেরকে পাঠিয়ে দাও। এরপর তারা চললেন এবং আলী (রাযিঃ) শুয়ে পড়লেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন যোহরের নামায আদায় করলেন তখন তারা অগ্রে গিয়ে হুজরার নিকট দাঁড়িয়ে রইলেন। এরপর নবী (ﷺ) এসে তাদের উভয়ের কান ধরে বললেন, তোমাদের মনে কি কথা জমা আছে বল। তারপর তিনি হুজরায় প্রবেশ করলেন। আমরাও তাঁর সাথে প্রবেশ করলাম। এ সময় তিনি যয়নাব বিনতে জাহশের গৃহে অবস্থান করছিলেন। রাবী বলেন, আমরা একে অন্যের উপর ভরসা করে ছিলাম। এ সময় আমাদের একজন কথা বলতে আরম্ভ করলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি মানুষের মধ্যে সর্বাধিক দয়াবান এবং আত্মীয়তা রক্ষাকারী। আমরা বিবাহের বয়সে পদার্পণ করেছি আমরা এসেছি, যেন আপনি আমাদেরকে এই যাকাতের মাল উসুলকারী নিয়োজিত করেন। আমরাও আপনার নিকট পৌছিয়ে দিব যেমন অন্যান্য লোকেরা পৌছিয়ে দেন এবং আমরাও (এর থেকে কিছু) পাব যেমন অন্যান্যরা পান।
বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে তিনি দীর্ঘক্ষণ নীরব থাকলেন। অবশেষে পূনরায় আমরা তার সাথে (এ বিষয়ে) কথা বলার ইচ্ছা করলাম। তখন যয়নাব (রাযিঃ) পর্দার অন্তরাল থেকে আমাদেরকে ইশারা করে বললেন, তাঁর সাথে এখন কোন কথা বলো না। রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, মুহাম্মাদ (ﷺ) এর পরিবার পরিজনের জন্য সাদ্কার মাল ভক্ষণ করা বৈধ নয়। এতো মানুষের ময়লা। তোমরা মাহমিয়াকে আমার নিকট ডেকে আন। সে খুমুসের রক্ষণাবেক্ষণকারী ছিল। আর নাওফল ইবনুল হারিস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব কেও।
তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আসলেন। তিনি মাহমিয়াকে বললেন, তুমি তোমার কন্যাকে ফযল ইবনে আব্বাসের নিকট বিয়ে দিয়ে দাও। তিনি তাই করলেন। এরপর নাওফল ইবনে হারিস (রাযিঃ) কে বললেন, তুমিও তোমার কন্যাকে এ ছেলেটির নিকট বিয়ে দিয়ে দাও। বর্ণনাকারী আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) বলেন, সুতরাং তিনি আমার নিকট নিজ কন্যাকে বিয়ে দিয়ে দিলেন। তারপর তিনি মাহমিয়াকে বললেন, খুমুসের মাল থেকে তাদেরকে এই এই পরিমাণ সাদ্কা দিয়ে দাও। ইমাম যুহরী বলেন, তিনি আমার নিকট তার নাম উল্লেখ করেন নি।
باب تَحْرِيمِ الزَّكَاةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى آلِهِ وَهُمْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ دُونَ غَيْرِهِمْ
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ حَدَّثَهُ قَالَ اجْتَمَعَ رَبِيعَةُ بْنُ الْحَارِثِ وَالْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالاَ وَاللَّهِ لَوْ بَعَثْنَا هَذَيْنِ الْغُلاَمَيْنِ - قَالاَ لِي وَلِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ - إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَلَّمَاهُ فَأَمَّرَهُمَا عَلَى هَذِهِ الصَّدَقَاتِ فَأَدَّيَا مَا يُؤَدِّي النَّاسُ وَأَصَابَا مِمَّا يُصِيبُ النَّاسُ - قَالَ - فَبَيْنَمَا هُمَا فِي ذَلِكَ جَاءَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَوَقَفَ عَلَيْهِمَا فَذَكَرَا لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ لاَ تَفْعَلاَ فَوَاللَّهِ مَا هُوَ بِفَاعِلٍ . فَانْتَحَاهُ رَبِيعَةُ بْنُ الْحَارِثِ فَقَالَ وَاللَّهِ مَا تَصْنَعُ هَذَا إِلاَّ نَفَاسَةً مِنْكَ عَلَيْنَا فَوَاللَّهِ لَقَدْ نِلْتَ صِهْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا نَفِسْنَاهُ عَلَيْكَ . قَالَ عَلِيٌّ أَرْسِلُوهُمَا . فَانْطَلَقَا وَاضْطَجَعَ عَلِيٌّ - قَالَ - فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ سَبَقْنَاهُ إِلَى الْحُجْرَةِ فَقُمْنَا عِنْدَهَا حَتَّى جَاءَ فَأَخَذَ بِآذَانِنَا . ثُمَّ قَالَ " أَخْرِجَا مَا تُصَرِّرَانِ " ثُمَّ دَخَلَ وَدَخَلْنَا عَلَيْهِ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ - قَالَ - فَتَوَاكَلْنَا الْكَلاَمَ ثُمَّ تَكَلَّمَ أَحَدُنَا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْتَ أَبَرُّ النَّاسِ وَأَوْصَلُ النَّاسِ وَقَدْ بَلَغْنَا النِّكَاحَ فَجِئْنَا لِتُؤَمِّرَنَا عَلَى بَعْضِ هَذِهِ الصَّدَقَاتِ فَنُؤَدِّيَ إِلَيْكَ كَمَا يُؤَدِّي النَّاسُ وَنُصِيبَ كَمَا يُصِيبُونَ - قَالَ - فَسَكَتَ طَوِيلاً حَتَّى أَرَدْنَا أَنْ نُكَلِّمَهُ - قَالَ - وَجَعَلَتْ زَيْنَبُ تُلْمِعُ عَلَيْنَا مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ أَنْ لاَ تُكَلِّمَاهُ - قَالَ - ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الصَّدَقَةَ لاَ تَنْبَغِي لآلِ مُحَمَّدٍ . إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ ادْعُوَا لِي مَحْمِيَةَ - وَكَانَ عَلَى الْخُمُسِ - وَنَوْفَلَ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ " . قَالَ فَجَاءَاهُ فَقَالَ لِمَحْمِيَةَ " أَنْكِحْ هَذَا الْغُلاَمَ ابْنَتَكَ " . لِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ فَأَنْكَحَهُ وَقَالَ لِنَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ " أَنْكِحْ هَذَا الْغُلاَمَ ابْنَتَكَ " . لِي فَأَنْكَحَنِي وَقَالَ لِمَحْمِيَةَ " أَصْدِقْ عَنْهُمَا مِنَ الْخُمُسِ كَذَا وَكَذَا " . قَالَ الزُّهْرِيُّ وَلَمْ يُسَمِّهِ لِي .
