আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৩- যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৩২২
আন্তর্জাতিক নং: ১০৬৪-১
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩২২। হান্নাদ ইবনে সারী (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আলী (রাযিঃ) ইয়ামান থেকে কিছু মাটি মিশ্রিত স্বর্ণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট পাঠালেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা চারজন লোকের মধ্যে বন্টন করলেন। আকরা ইবনে হাবিস হানযালী, উয়াইনা ইবনে বদর ফাযারী, আলকামা ইবনে উলাসা আমিরী, তিনি বনী কিলাবের একজন, আর যায়দ আন খায়র তাঈ, তিনি বনী নাবহানের একজন। আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেন, এতে কুরাইশারা ক্রোধান্বিত হয়ে পড়ল এবং বলল, তিনি নজদের সর্দারদের দিচ্ছেন আর আমাদের বাদ দিচ্ছেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি তাদের মন আকৃষ্ট করার জন্যই তা করেছি।
ইতিমধ্যে ঘন দাঁড়ি, ফোলা গাল কোটরাগত চোখ, উঁচু ললাট এবং মুণ্ডিত মস্তক এক ব্যক্তি এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আল্লাহকে ভয় কর। রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি যদি আল্লাহর নাফরমানী করি তবে তার আনুগত্য করবে কে? এ পৃথিবীর অধিবাসীদের ব্যাপারে আল্লাহ আমাকে বিশ্বাস করেছেন। অথচ তোমরা আমাকে বিশ্বাস করছ না। রাবী বলেন, এরপর লোকটি চলে গেল।
তখন উপস্থিত সাহাবীদের একজন তাকে হত্যা করার অনুমতি চাইলেন, সম্ভবত তিনি খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ) হবেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এ লোকটির বংশ থেকে এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি হবে যারা কুরআন পাঠ করবে কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠনালীর ভিতরে প্রবেশ করবেনা। তারা মূর্তি পূজকদের বাদ দিয়ে মুসলমানদের হত্যা করবে। তারাই ইসলাম থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমনভাবে বেরিয়ে যায় তীর শিকার ভেদ করে। আমি যদি তাদের পাই তাহলে অবশ্যই আদ সম্প্রদায়ের মত তাদের হত্যা করব।
ইতিমধ্যে ঘন দাঁড়ি, ফোলা গাল কোটরাগত চোখ, উঁচু ললাট এবং মুণ্ডিত মস্তক এক ব্যক্তি এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আল্লাহকে ভয় কর। রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি যদি আল্লাহর নাফরমানী করি তবে তার আনুগত্য করবে কে? এ পৃথিবীর অধিবাসীদের ব্যাপারে আল্লাহ আমাকে বিশ্বাস করেছেন। অথচ তোমরা আমাকে বিশ্বাস করছ না। রাবী বলেন, এরপর লোকটি চলে গেল।
তখন উপস্থিত সাহাবীদের একজন তাকে হত্যা করার অনুমতি চাইলেন, সম্ভবত তিনি খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ) হবেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এ লোকটির বংশ থেকে এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি হবে যারা কুরআন পাঠ করবে কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠনালীর ভিতরে প্রবেশ করবেনা। তারা মূর্তি পূজকদের বাদ দিয়ে মুসলমানদের হত্যা করবে। তারাই ইসলাম থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমনভাবে বেরিয়ে যায় তীর শিকার ভেদ করে। আমি যদি তাদের পাই তাহলে অবশ্যই আদ সম্প্রদায়ের মত তাদের হত্যা করব।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ أَبِي نُعْمٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ بَعَثَ عَلِيٌّ - رضى الله عنه - وَهُوَ بِالْيَمَنِ بِذَهَبَةٍ فِي تُرْبَتِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَسَمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَرْبَعَةِ نَفَرٍ الأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ الْحَنْظَلِيُّ وَعُيَيْنَةُ بْنُ بَدْرٍ الْفَزَارِيُّ وَعَلْقَمَةُ بْنُ عُلاَثَةَ الْعَامِرِيُّ ثُمَّ أَحَدُ بَنِي كِلاَبٍ وَزَيْدُ الْخَيْرِ الطَّائِيُّ ثُمَّ أَحَدُ بَنِي نَبْهَانَ - قَالَ - فَغَضِبَتْ قُرَيْشٌ فَقَالُوا أَتُعْطِي صَنَادِيدَ نَجْدٍ وَتَدَعُنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي إِنَّمَا فَعَلْتُ ذَلِكَ لأَتَأَلَّفَهُمْ " فَجَاءَ رَجُلٌ كَثُّ اللِّحْيَةِ مُشْرِفُ الْوَجْنَتَيْنِ غَائِرُ الْعَيْنَيْنِ نَاتِئُ الْجَبِينِ مَحْلُوقُ الرَّأْسِ فَقَالَ اتَّقِ اللَّهَ يَا مُحَمَّدُ . - قَالَ - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ إِنْ عَصَيْتُهُ أَيَأْمَنُنِي عَلَى أَهْلِ الأَرْضِ وَلاَ تَأْمَنُونِي " قَالَ ثُمَّ أَدْبَرَ الرَّجُلُ فَاسْتَأْذَنَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فِي قَتْلِهِ - يُرَوْنَ أَنَّهُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ ضِئْضِئِ هَذَا قَوْمًا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَقْتُلُونَ أَهْلَ الإِسْلاَمِ وَيَدَعُونَ أَهْلَ الأَوْثَانِ يَمْرُقُونَ مِنَ الإِسْلاَمِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ لَئِنْ أَدْرَكْتُهُمْ لأَقْتُلَنَّهُمْ قَتْلَ عَادٍ " .


বর্ণনাকারী: