আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

১৩- যাকাতের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৩১২
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৯-৬
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩১২। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আর’আরা (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুনায়নের যুদ্ধে হাওয়াযিন, গাতফান ও অন্যান্য গোত্রের লোকেরা তাদের সন্তান সন্ততি এবং পশুপাল নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রসর হল। নবী (ﷺ) এর সঙ্গে দশ হাজার সৈন্য ছিল এবং তাঁর সঙ্গে আরো ছিল ক্ষমাপ্রাপ্ত মক্কাবাসী। যুদ্ধ আরম্ভ হলে তারা সবাই পালিয়ে গেল, এমনকি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একাকী রয়ে গেলেন।

এ সময় তিনি উচ্চস্বরে দু’বার ডাক দিলেন। এ দু’য়ের মধ্যে কথা মিলিত ছিল না। আনাস (রাযিঃ) বলেন যে, তিনি ডান দিকে তাকিয়ে বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! তাঁরা বললেন, লাব্বাইক ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করুন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তারপর বাম দিকে তাকিয়ে তিনি বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! তারা বললেন, লাব্বাইক ইয়া রাসুলাল্লাহ! সুসংবাদ গ্রহণ করুন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি সাদা খচ্চরের উপর ছিলেন এরপর তিনি নেমে পড়লেন এবং বললেন, আমি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসুল। অবশেষে মুশরিকরা পরাজিত হল। ফলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লাভ করেন তাদের থেকে বহু গণিমতের মাল।

তিনি ঐগুলো মুহাজির এবং ক্ষমাপ্রাপ্ত মক্কাবাসীদের মধ্যে বন্টন করে দিলেন। কিন্তু আনসারদেরকে কিছু দিলেন না। এতে আনসারগণ বলতে লাগল, বিপদকালে আমাদের ডাকা হয় আর গণিমত আমাদের ছাড়া অন্যদেরকে দেওয়া হয়। এ খবর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট পৌছার পর তিনি তাদের একটি তাঁবুতে সমবেত করলেন এবং বললেন হে আনসার সম্প্রদায়! এ কি কথা তোমাদের পক্ষ হতে আমার নিকট পৌছেছে? তারা নীরব রইলেন।

তারপর তিনি বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! তোমার কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, লোকেরা পার্থিব ধন-সম্পদ নিয়ে চলে যাবে আর তোমরা মুহাম্মাদ (ﷺ) কে নিয়ে ফিরে যাবে এবং তার সঙ্গে মিলিত হয়ে থাকার সৌভাগ্য লাভ করবে। তারা বললেন, হ্যাঁ ইয়া রাসুলাল্লাহ! এতে আমরা সন্তুষ্ট আছি।

তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যদি লোকেরা একটি প্রান্তরে চলে আর আনসারগণ চলে অন্য একটি ঘাঁটিতে তাহলে আমি আনসারদের ঘাঁটিই অবলন্বন করব। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আবু হামযা (আনাস)! তুমি কি এ সময় উপস্থিত ছিলে? তিনি বললেন, আমি তাঁকে ছেড়ে কোথায় যেতে পারি?
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَرْعَرَةَ، - يَزِيدُ أَحَدُهُمَا عَلَى الآخَرِ الْحَرْفَ بَعْدَ الْحَرْفِ - قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ حُنَيْنٍ أَقْبَلَتْ هَوَازِنُ وَغَطَفَانُ وَغَيْرُهُمْ بِذَرَارِيِّهِمْ وَنَعَمِهِمْ وَمَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ عَشَرَةُ آلاَفٍ وَمَعَهُ الطُّلَقَاءُ فَأَدْبَرُوا عَنْهُ حَتَّى بَقِيَ وَحْدَهُ - قَالَ - فَنَادَى يَوْمَئِذٍ نِدَاءَيْنِ لَمْ يَخْلِطْ بَيْنَهُمَا شَيْئًا - قَالَ - فَالْتَفَتَ عَنْ يَمِينِهِ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ " . فَقَالُوا لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَبْشِرْ نَحْنُ مَعَكَ - قَالَ - ثُمَّ الْتَفَتَ عَنْ يَسَارِهِ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ " . قَالُوا لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَبْشِرْ نَحْنُ مَعَكَ - قَالَ - وَهُوَ عَلَى بَغْلَةٍ بَيْضَاءَ فَنَزَلَ فَقَالَ أَنَا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ . فَانْهَزَمَ الْمُشْرِكُونَ وَأَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَنَائِمَ كَثِيرَةً فَقَسَمَ فِي الْمُهَاجِرِينَ وَالطُّلَقَاءِ وَلَمْ يُعْطِ الأَنْصَارَ شَيْئًا فَقَالَتِ الأَنْصَارُ إِذَا كَانَتِ الشِّدَّةُ فَنَحْنُ نُدْعَى وَتُعْطَى الْغَنَائِمُ غَيْرَنَا . فَبَلَغَهُ ذَلِكَ فَجَمَعَهُمْ فِي قُبَّةٍ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ مَا حَدِيثٌ بَلَغَنِي عَنْكُمْ " . فَسَكَتُوا فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالدُّنْيَا وَتَذْهَبُونَ بِمُحَمَّدٍ تَحُوزُونَهُ إِلَى بُيُوتِكُمْ " . قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ رَضِينَا . قَالَ فَقَالَ " لَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا وَسَلَكَتِ الأَنْصَارُ شِعْبًا لأَخَذْتُ شِعْبَ الأَنْصَارِ " . قَالَ هِشَامٌ فَقُلْتُ يَا أَبَا حَمْزَةَ أَنْتَ شَاهِدٌ ذَاكَ قَالَ وَأَيْنَ أَغِيبُ عَنْهُ.
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ মুসলিম - হাদীস নং ২৩১২ | মুসলিম বাংলা