আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৩- যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৩০৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০ - ৫
৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশঙ্কা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সহ্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩০৪। হাসান ইবনে আলী হুলওয়ানি এবং আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদল লোককে (কিছু মাল) দান করলেন। আমিও তাদের মাঝে বসাছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের থেকে এক ব্যক্তিকে এড়িয়ে গেলেন, তাকে দিলেন না। অথচ এ লোকটি এদের তুলনায় আমার কাছে অধিক যোগ্য ছিল। তাই আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট গিয়ে তাকে গোপনে বললাম, অমুক লোকটির ব্যাপারে আপনার কি খেয়াল? আল্লাহর কসম! আমি তো তাকে একজন মূমিন বলে ধারণা করি। তিনি বলেন, বরং মুসলমান।
এরপর আমি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলাম। কিন্তু তার সম্বন্ধে আমি যা জানি তা আমাকে প্রভাবিত করল। ফলে পূনরায় আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অমুকের ব্যাপারে আপনার কি খেয়াল? আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে অবশ্যই একজন মুমিন বলে মনে করি। তিনি বললেন, বরং মুসলিম। পুনরায় আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অমুকের ব্যাপারে আপনার কি খেয়াল? আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে অবশ্যই একজন মুমিন বলে মনে করি তিনি বললেন, বরং মুসলিম। তার পরে নবী (ﷺ) বললেন, আমি কোন একজনকে কিছু দান করি অথচ অন্যজন তার চাইতে আমার নিকট অধিক প্রিয়, এই আশঙ্কায় যে, অধোমুখী হয়ে সে জাহান্নামে পতিত হতে পারে। হুলওয়ানীর হাদীসে কথাটি তিনবারের স্থলে দু’বার বর্ণিত আছে।
এরপর আমি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলাম। কিন্তু তার সম্বন্ধে আমি যা জানি তা আমাকে প্রভাবিত করল। ফলে পূনরায় আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অমুকের ব্যাপারে আপনার কি খেয়াল? আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে অবশ্যই একজন মুমিন বলে মনে করি। তিনি বললেন, বরং মুসলিম। পুনরায় আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অমুকের ব্যাপারে আপনার কি খেয়াল? আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে অবশ্যই একজন মুমিন বলে মনে করি তিনি বললেন, বরং মুসলিম। তার পরে নবী (ﷺ) বললেন, আমি কোন একজনকে কিছু দান করি অথচ অন্যজন তার চাইতে আমার নিকট অধিক প্রিয়, এই আশঙ্কায় যে, অধোমুখী হয়ে সে জাহান্নামে পতিত হতে পারে। হুলওয়ানীর হাদীসে কথাটি তিনবারের স্থলে দু’বার বর্ণিত আছে।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - وَهُوَ ابْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، سَعْدٍ أَنَّهُ أَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَهْطًا وَأَنَا جَالِسٌ فِيهِمْ قَالَ فَتَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ رَجُلاً لَمْ يُعْطِهِ وَهُوَ أَعْجَبُهُمْ إِلَىَّ فَقُمْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَارَرْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَكَ عَنْ فُلاَنٍ وَاللَّهِ إِنِّي لأَرَاهُ مُؤْمِنًا . قَالَ " أَوْ مُسْلِمًا " . فَسَكَتُّ قَلِيلاً ثُمَّ غَلَبَنِي مَا أَعْلَمُ مِنْهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَكَ عَنْ فُلاَنٍ فَوَاللَّهِ إِنِّي لأَرَاهُ مُؤْمِنًا . قَالَ " أَوْ مُسْلِمًا " . فَسَكَتُّ قَلِيلاً ثُمَّ غَلَبَنِي مَا أَعْلَمُ مِنْهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَكَ عَنْ فُلاَنٍ فَوَاللَّهِ إِنِّي لأَرَاهُ مُؤْمِنًا . قَالَ " أَوْ مُسْلِمًا " . قَالَ " إِنِّي لأُعْطِي الرَّجُلَ . وَغَيْرُهُ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْهُ خَشْيَةَ أَنْ يُكَبَّ فِي النَّارِ عَلَى وَجْهِهِ " . وَفِي حَدِيثِ الْحُلْوَانِيِّ تَكْرَارُ الْقَوْلِ مَرَّتَيْنِ .
