আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

১২- দুই ঈদের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৯৮৩
৬২৪. ঈদের খুতবার সময় ইমাম ও লোকদের কথা বলা এবং খুতবার সময় ইমামের নিকট কোন প্রশ্ন করা হলে।
৯৩১। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... বারাআ ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুরবানীর দিন নামাযের পর নবী (ﷺ) আমাদের সামনে খুতবা দিলেন। খুতবায় তিনি বললেন, যে আমাদের মত নামায আদায় করবে এবং আমাদের কুরবানীর মত কুরবানী করবে, তার কুরবানী যথার্থ বলে গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি নামাযের পূর্বে কুরবানী করবে তার সে কুরবানী গোশত খাওয়া ছাড়া আর কিছু হবে না। তখন আবু বুরদা ইবনে নিয়ার (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর কসম! আমি তো নামাযে বের হবার পূর্বেই কুরবানী করে ফেলেছি। আমি ভেবেছি যে, আজকের দিনটি তো পানাহারের দিন। তাই আমি তাড়াতাড়ি করে ফেলেছি। আমি নিজে খেয়েছি এবং আমর পরিবারবর্গ ও প্রতিবেশীদেরকেও আহার করিয়েছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ওটা গোশত খাওয়ার বকরী ছাড়া আর কিছু হয়নি। আবু বুরদা (রাযিঃ) বলেন, তবে আমার নিকট এমন একটি মেষশাবক আছে যা দু’টো (গোশত খাওয়ার) বকরীর চেয়ে ভাল। এটা কি আমার পক্ষে কুরবানীর জন্য যথেষ্ট হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তবে তোমার পরে অন্য কারো জন্য যথেষ্ট হবে না।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন