আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
১২- দুই ঈদের অধ্যায়
হাদীস নং: ৯২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৯৮০
৬২১. ঈদের নামাযে যাওয়ার জন্য মহিলাগণের ওড়না না থাকলে।
৯২৮। আবু মা’মার (রাহঃ) ......... হাফসা বিনতে সীরীন (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা ঈদের দিন আমাদের যুবতীদের বের হতে নিষেধ করতাম। একবার জনৈক মহিলা এলেন এবং বনু খালাফের প্রাসাদে অবস্থান করলেন। আমি তার নিকট গেলে বললেন, তার ভগ্নিপতি নবী (ﷺ) এর সাথে বারটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, এর মধ্যে ছয়টি যুদ্ধে স্বয়ং তার বোনও স্বামীর সাথে অংশগ্রহণ করেছেন, (মহিলা বলেন) আমার বোন বলেছেন, আমরা রুগ্নদের সেবা করতাম, আহতদের সেবা করতাম। একবার তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আমাদের কারো ওড়না না থাকে, তখন কি সে বের হবে? নবী (ﷺ) বললেন, এ অবস্থায় তার বান্ধবী যেন তাকে নিজ ওড়না পরিধান করতে দেয় এবং এভাবে মহিলাগণ যেন কল্যাণকর কাজে ও মুমিনদের দু'আয় অংশগ্রহণ করেন।
হাফসা (রাহঃ) বলেন, যখন উম্মে আতিয়া (রাযিঃ) এলেন, তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, আপনি কি এসব ব্যাপারে কিছু শুনেছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ, হাফসা (রাহঃ) বলেন, আমার পিতা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য উৎসর্গিত হোক এবং তিনি যখনই নবী (ﷺ) এর নাম উল্লেখ করতেন, তখনই এ কথা বলতেন। তাবুতে অবস্থানকারিণী যুবতীগণ এবং ঋতুবতী মহিলাগণ যেন বের হন। তবে ঋতুবতী মহিলাগণ যেন নামাযের স্থান থেকে সরে থাকেন। তারা সকলেই যেন কল্যাণকর কাজে ও মুমিনদের দুআয় অংশগ্রহণ করেন। হাফসা (রাহঃ) বলেন, আমি তাকে বললাম ঋতুমতী মহিলাগণও? তিনি বললেন, হ্যাঁ। ঋতুমতী মহিলা কি আরাফাত এবং অন্যান্য স্থানে উপস্থিত হয় না?
হাফসা (রাহঃ) বলেন, যখন উম্মে আতিয়া (রাযিঃ) এলেন, তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, আপনি কি এসব ব্যাপারে কিছু শুনেছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ, হাফসা (রাহঃ) বলেন, আমার পিতা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য উৎসর্গিত হোক এবং তিনি যখনই নবী (ﷺ) এর নাম উল্লেখ করতেন, তখনই এ কথা বলতেন। তাবুতে অবস্থানকারিণী যুবতীগণ এবং ঋতুবতী মহিলাগণ যেন বের হন। তবে ঋতুবতী মহিলাগণ যেন নামাযের স্থান থেকে সরে থাকেন। তারা সকলেই যেন কল্যাণকর কাজে ও মুমিনদের দুআয় অংশগ্রহণ করেন। হাফসা (রাহঃ) বলেন, আমি তাকে বললাম ঋতুমতী মহিলাগণও? তিনি বললেন, হ্যাঁ। ঋতুমতী মহিলা কি আরাফাত এবং অন্যান্য স্থানে উপস্থিত হয় না?
باب إِذَا لَمْ يَكُنْ لَهَا جِلْبَابٌ فِي الْعِيدِ
980 - حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، قَالَتْ: كُنَّا نَمْنَعُ جَوَارِيَنَا أَنْ يَخْرُجْنَ يَوْمَ العِيدِ، فَجَاءَتِ امْرَأَةٌ، فَنَزَلَتْ قَصْرَ بَنِي خَلَفٍ، فَأَتَيْتُهَا، فَحَدَّثَتْ أَنَّ زَوْجَ أُخْتِهَا غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ غَزْوَةً، فَكَانَتْ أُخْتُهَا مَعَهُ فِي سِتِّ غَزَوَاتٍ، فَقَالَتْ: فَكُنَّا نَقُومُ عَلَى المَرْضَى، وَنُدَاوِي الكَلْمَى، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَعَلَى إِحْدَانَا بَأْسٌ إِذَا لَمْ يَكُنْ لَهَا جِلْبَابٌ أَنْ لاَ تَخْرُجَ؟ فَقَالَ: «لِتُلْبِسْهَا صَاحِبَتُهَا مِنْ جِلْبَابِهَا، فَلْيَشْهَدْنَ الخَيْرَ وَدَعْوَةَ المُؤْمِنِينَ» قَالَتْ حَفْصَةُ: فَلَمَّا قَدِمَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ أَتَيْتُهَا فَسَأَلْتُهَا: أَسَمِعْتِ فِي كَذَا وَكَذَا؟ قَالَتْ: نَعَمْ بِأَبِي، وَقَلَّمَا ذَكَرَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا قَالَتْ: بِأَبِي قَالَ: " لِيَخْرُجِ العَوَاتِقُ ذَوَاتُ الخُدُورِ - أَوْ قَالَ: العَوَاتِقُ وَذَوَاتُ الخُدُورِ، شَكَّ أَيُّوبُ - وَالحُيَّضُ، وَيَعْتَزِلُ الحُيَّضُ المُصَلَّى، وَلْيَشْهَدْنَ الخَيْرَ وَدَعْوَةَ المُؤْمِنِينَ " قَالَتْ: فَقُلْتُ لَهَا: الحُيَّضُ؟ قَالَتْ: نَعَمْ، أَلَيْسَ الحَائِضُ تَشْهَدُ عَرَفَاتٍ، وَتَشْهَدُ كَذَا، وَتَشْهَدُ كَذَا


বর্ণনাকারী: