আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৩- যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ২১৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৯৯৬
৭. পরিবার-পরিজন ও দাস-দাসীদের প্রতি ব্যয় করার ফযীলত এবং তাদের হক নষ্টকারী ব্যক্তির পাপ
২১৮৪। সাঈদ ইবনে মুহাম্মাদ জারমী (রাহঃ) ......... খায়সামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) এর সঙ্গে বসা ছিলাম। এ সময় তার কাছে তার খাজাঞ্চী এলেন এবং ভিতরে প্রবেশ করলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি ভৃত্যদেরকে তাদের খোরাকী দিয়েছ কি? তিনি বললেন, না দেই নি। এ কথা শুনে তিনি বললেন, যাও তাদেরকে দিয়ে দাও। এরপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ″পাপের জন্য এই যথেষ্ট যে, যাদের খোরপোষ তোমার দায়িত্বে, তুমি তাদের খোরাকী আটকিয়ে রাখবে।″
باب فَضْلِ النَّفَقَةِ عَلَى الْعِيَالِ وَالْمَمْلُوكِ وَإِثْمِ مَنْ ضَيَّعَهُمْ أَوْ حَبَسَ نَفَقَتَهُمْ عَنْهُمْ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجَرْمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبْجَرَ الْكِنَانِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ خَيْثَمَةَ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو إِذْ جَاءَهُ قَهْرَمَانٌ لَهُ فَدَخَلَ فَقَالَ أَعْطَيْتَ الرَّقِيقَ قُوتَهُمْ قَالَ لاَ . قَالَ فَانْطَلِقْ فَأَعْطِهِمْ . قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَفَى بِالْمَرْءِ إِثْمًا أَنْ يَحْبِسَ عَمَّنْ يَمْلِكُ قُوتَهُ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছটির অর্থ হচ্ছে, কারও যদি অন্য কোনও গুনাহ নাও থাকে, কিন্তু এই একটি গুনাহ করে যে, সে তার পোষ্যবর্গের খোরপোশ ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণ করে না, তবে আল্লাহ তাআলার কাছে তার কঠিন গুনাহগার সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট। কেননা এটা সাধারণ কোনও গুনাহ নয়, গুরুতর পাপ।
أَنْ يُضَيِّعَ مَنْ يَقُوتُ এর মূল অর্থ হচ্ছে, যার খাবার তার দায়িত্বে, সে তাদেরকে ধ্বংস করবে। বোঝানো উদ্দেশ্য তার খাবার যোগানো হতে বিরত থাকা।
এমনকিছু লোকও আছে, যারা স্ত্রী, সন্তান, পিতামাতা এবং আরও যারা তার যিম্মাদারীতে আছে তাদের পেছনে খরচ না করে অন্যান্য জায়গায় দান-খয়রাত করে বেড়ায়। এমনিতে দান-খয়রাত করা ছাওয়াবের কাজ বটে, কিন্তু মূলত তা নফল কাজ। আর পরিবারবর্গের পেছনে খরচ করা ওয়াজির ও অবশ্যকর্তব্য। অবশ্যকরণীয় কাজ ছেড়ে দিয়ে বেশি বেশি নফল করাটা প্রশংসনীয় কিছু নয়। শরীআতে এটা কাম্যও নয়। নফল দ্বারা যত ছাওয়াবই অর্জন করুক না কেন, তা দ্বারা ওয়াজিব তরকের গুনাহের প্রতিকার হতে পারে না।
হাদীসে আছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাযি. তাঁর খাজাঞ্চীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তুমি কি গোলামদেরকে খাবার দিয়েছ? সে বলল, না। তিনি বললেন, ওঠ, তাদেরকে তাদের খাবার দাও। এরপর তিনি তাকে আলোচ্য হাদীছটি শোনান।
উল্লেখ্য, পরিবার-পরিজনের খাবার বন্ধ করার দ্বারা বড়জোর তারা মারা যাবে। তাদের দুনিয়াবী সীমিত জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে। নিঃসন্দেহে এটা অনেক বড় ক্ষতি। কিন্তু যদি তাদের দীনী জরুরত পূরণ করা না হয়, তাদের দীনী তালীমের ব্যবস্থা করা না হয় এবং তারা দীনের উপর কতটুকু চলছে তার তত্ত্বাবধান করা না হয়, তবে তার পরিণাম তাদের পরকালীন জীবনের বরবাদী। এ ক্ষতির কি কোনও সীমা আছে? যা দ্বারা ইহজীবন রক্ষা হয়, সেই খাবার-দাবার বন্ধ রাখা যদি কঠিন পাপ হয়, তবে যা দ্বারা পরকালীন জীবনের মুক্তি লাভ হয়, তার ব্যবস্থা না করা কত কঠিন গুনাহ হবে? আমাদের এটা উপলব্ধি করা দরকার।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা পরিবার-পরিজনের খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজন পূরণের গুরুত্ব জানা গেল এবং আরও জানা গেল যে, এ ব্যাপারে অবহেলা করা কঠিন গুনাহ। তাই প্রত্যেক অভিভাবকের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা অতীব জরুরি।
খ. গৃহকর্তার কর্তব্য পরিবার-পরিজনের দীনী জরুরতও পূরণ করা। এ ব্যাপারে অবহেলা করাও কঠিন পাপ। তাই এদিকেও আমাদের লক্ষ রাখা একান্ত কর্তব্য।
أَنْ يُضَيِّعَ مَنْ يَقُوتُ এর মূল অর্থ হচ্ছে, যার খাবার তার দায়িত্বে, সে তাদেরকে ধ্বংস করবে। বোঝানো উদ্দেশ্য তার খাবার যোগানো হতে বিরত থাকা।
এমনকিছু লোকও আছে, যারা স্ত্রী, সন্তান, পিতামাতা এবং আরও যারা তার যিম্মাদারীতে আছে তাদের পেছনে খরচ না করে অন্যান্য জায়গায় দান-খয়রাত করে বেড়ায়। এমনিতে দান-খয়রাত করা ছাওয়াবের কাজ বটে, কিন্তু মূলত তা নফল কাজ। আর পরিবারবর্গের পেছনে খরচ করা ওয়াজির ও অবশ্যকর্তব্য। অবশ্যকরণীয় কাজ ছেড়ে দিয়ে বেশি বেশি নফল করাটা প্রশংসনীয় কিছু নয়। শরীআতে এটা কাম্যও নয়। নফল দ্বারা যত ছাওয়াবই অর্জন করুক না কেন, তা দ্বারা ওয়াজিব তরকের গুনাহের প্রতিকার হতে পারে না।
হাদীসে আছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাযি. তাঁর খাজাঞ্চীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তুমি কি গোলামদেরকে খাবার দিয়েছ? সে বলল, না। তিনি বললেন, ওঠ, তাদেরকে তাদের খাবার দাও। এরপর তিনি তাকে আলোচ্য হাদীছটি শোনান।
উল্লেখ্য, পরিবার-পরিজনের খাবার বন্ধ করার দ্বারা বড়জোর তারা মারা যাবে। তাদের দুনিয়াবী সীমিত জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে। নিঃসন্দেহে এটা অনেক বড় ক্ষতি। কিন্তু যদি তাদের দীনী জরুরত পূরণ করা না হয়, তাদের দীনী তালীমের ব্যবস্থা করা না হয় এবং তারা দীনের উপর কতটুকু চলছে তার তত্ত্বাবধান করা না হয়, তবে তার পরিণাম তাদের পরকালীন জীবনের বরবাদী। এ ক্ষতির কি কোনও সীমা আছে? যা দ্বারা ইহজীবন রক্ষা হয়, সেই খাবার-দাবার বন্ধ রাখা যদি কঠিন পাপ হয়, তবে যা দ্বারা পরকালীন জীবনের মুক্তি লাভ হয়, তার ব্যবস্থা না করা কত কঠিন গুনাহ হবে? আমাদের এটা উপলব্ধি করা দরকার।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা পরিবার-পরিজনের খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজন পূরণের গুরুত্ব জানা গেল এবং আরও জানা গেল যে, এ ব্যাপারে অবহেলা করা কঠিন গুনাহ। তাই প্রত্যেক অভিভাবকের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা অতীব জরুরি।
খ. গৃহকর্তার কর্তব্য পরিবার-পরিজনের দীনী জরুরতও পূরণ করা। এ ব্যাপারে অবহেলা করাও কঠিন পাপ। তাই এদিকেও আমাদের লক্ষ রাখা একান্ত কর্তব্য।
