আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

১৩- যাকাতের অধ্যায়

হাদীস নং: ২১৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৯৯২ -
৫. দান-সাদ্‌কায় উৎসাহ প্রদান
২১৭৮। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আহনাফ ইবনে কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মদীনায় এলাম। সে সময় কুরাইশ নেতৃবৃন্দের একটি হালকায় বসাছিলাম। তখন খসখসে বস্ত্র, খসখসে শরীর ও খসখসে চেহারাবিশিষ্ট এক ব্যক্তি এসে তাদের কাছে দাঁড়িয়ে বললেন, সম্পদ পূঞ্জীভূতকারী ব্যক্তিদেরকে সুসংবাদ দিন, এমন গরম পাথরের যা জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করে তাদের স্তনাগ্রে রাখা হবে। ফলে তাদের গ্রীবা দেশের হাড় বিদীর্ণ করে অপর দিকে বের হয়ে যাবে। আবার তার ঘাড়ের হাড়ের উপর রাখা হবে। এমনকি তা স্তনাগ্র ভেদ করে বের হবে।

রাবী বলেন, এ সময় লোকেরা তাদের মাথা নত করে রাখলেন। উপস্থিত কাউকে তার এ কথার প্রতিবাদ করতে দেখলাম না। এরপর লোকটি ফিরে গেলেন। আমি তাঁর পেছনে পেছনে গেলাম। অবশেষে তিনি একটি থামের নিকট গিয়ে বসলেন। আমি বললাম, আপনি তাদেরকে যা বলেছেন, আমার ধারণা তারা তা অপছন্দ মনে করছে। এ কথা শুনে তিনি বললেন, তারা এমন লোক যারা কিছুই বুঝতে পারছে না। আমার বন্ধু আবুল কাসিম (ﷺ) আমাকে ডাকলেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে আমি তাঁর নিকট যাওয়ার পর তিনি বললেন, তুমি কি উহুদ পাহাড়টি দেখতে পাচ্ছ? তখন আমি লক্ষ্য করলাম, আমার উপর সূর্য আর কতটুকু অবশিষ্ট আছে এবং তিনি তাঁর কোন প্রয়োজনে আমাকে তথায় পাঠাবেন। আমি বললাম, জ্বী, হ্যাঁ, দেখতে পাচ্ছি।

তখন তিনি বললেন, আমাকে আনন্দিত করবে না এ সমপরিমাণ স্বর্ণ আমার কাছে হোক, আর আমি এসব ব্যয় করি তিনটি স্বর্ণ মুদ্রা ব্যতীত। এরপর এসব লোক দুনিয়া সঞ্চয় করছে। অথচ তারা কোন কিছুই বুঝছে না। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার কুরাইশী ভাইদের সাথে আপনার কী হয়েছে যে, আপনি তাদের সাথে মেলামেশা করেন না, যান না এবং তাদের কাছ থেকে কিছু লাভ করেন না? তিনি বললেন, না তোমার রবের কসম! আমি তাদের নিকট দুনিয়াও চাইব না এবং দ্বীন সম্পর্কেও কোন কথা জিজ্ঞাসা করব না। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত।
باب التَّرْغِيبِ فِي الصَّدَقَةِ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي، الْعَلاَءِ عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَبَيْنَا أَنَا فِي، حَلْقَةٍ فِيهَا مَلأٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ أَخْشَنُ الثِّيَابِ أَخْشَنُ الْجَسَدِ أَخْشَنُ الْوَجْهِ فَقَامَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ بَشِّرِ الْكَانِزِينَ بِرَضْفٍ يُحْمَى عَلَيْهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَيُوضَعُ عَلَى حَلَمَةِ ثَدْىِ أَحَدِهِمْ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ نُغْضِ كَتِفَيْهِ وَيُوضَعُ عَلَى نُغْضِ كَتِفَيْهِ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ حَلَمَةِ ثَدْيَيْهِ يَتَزَلْزَلُ قَالَ فَوَضَعَ الْقَوْمُ رُءُوسَهُمْ فَمَا رَأَيْتُ أَحَدًا مِنْهُمْ رَجَعَ إِلَيْهِ شَيْئًا - قَالَ - فَأَدْبَرَ وَاتَّبَعْتُهُ حَتَّى جَلَسَ إِلَى سَارِيَةٍ فَقُلْتُ مَا رَأَيْتُ هَؤُلاَءِ إِلاَّ كَرِهُوا مَا قُلْتَ لَهُمْ . قَالَ إِنَّ هَؤُلاَءِ لاَ يَعْقِلُونَ شَيْئًا إِنَّ خَلِيلِي أَبَا الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم دَعَانِي فَأَجَبْتُهُ فَقَالَ " أَتَرَى أُحُدًا " . فَنَظَرْتُ مَا عَلَىَّ مِنَ الشَّمْسِ وَأَنَا أَظُنُّ أَنَّهُ يَبْعَثُنِي فِي حَاجَةٍ لَهُ فَقُلْتُ أَرَاهُ . فَقَالَ " مَا يَسُرُّنِي أَنَّ لِي مِثْلَهُ ذَهَبًا أُنْفِقُهُ كُلَّهُ إِلاَّ ثَلاَثَةَ دَنَانِيرَ " . ثُمَّ هَؤُلاَءِ يَجْمَعُونَ الدُّنْيَا لاَ يَعْقِلُونَ شَيْئًا . قَالَ قُلْتُ مَا لَكَ وَلإِخْوَتِكَ مِنْ قُرَيْشٍ لاَ تَعْتَرِيهِمْ وَتُصِيبُ مِنْهُمْ . قَالَ لاَ وَرَبِّكَ لاَ أَسْأَلُهُمْ عَنْ دُنْيَا وَلاَ أَسْتَفْتِيهِمْ عَنْ دِينٍ حَتَّى أَلْحَقَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সহীহ মুসলিম - হাদীস নং ২১৭৮ | মুসলিম বাংলা