আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৩- যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ২১৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৯৮৮-১
২. যাকাত অনাদায়কারীর অপরাধ
২১৬৮। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, যে উটের মালিক তার (যাকাত) আদায় করবে না, কিয়ামতের দিন সে উট পূর্বের চেয়ে অধিক মোটাতাজা হয়ে মালিকের নিকট উপস্থিত হবে। এরপর তাকে একটি প্রশস্ত সমতল মাঠে বসান হবে এবং ঐ উট তার পা ও খুরের দ্বারা তাকে পিষ্ট করবে।
যদি কোন গরুর মালিক তার হক আদায় না করে তবে কিয়ামতের দিন সে গরু পূর্বের চেয়েও অধিক মোটা-তাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে। এরপর তাকে এক প্রশস্ত সমতল প্রান্তরে বসান হবে এবং সেগুলো তাকে শিং দ্বারা গুতাবে ও খুর দ্বারা পিষ্ট করবে।
যদি কোন ছাগলের মালিক তার হক আদায় না করে তবে কিয়ামতের দিন সে ছাগল পূর্বের চেয়েও অধিক মোটা-তাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে। আর তাকে এক প্রশস্ত প্রান্তরে বসান হবে এবং সে ছাগল তাকে শিং দ্বারা গুতাবে ও খুর দ্বারা পিষ্ট করতে থাকবে। সেদিন এ ছাগল সমুহে কোনটি শিংবিহীন এবং শিংভাঙ্গা হবে না।
আর যদি সোনা-এরূপা সঞ্চয়কারী কোন ব্যক্তি এর হক আদায় না করে, তবে তার এ সঞ্চয় কিয়ামতের দিন মাথার চুলপড়া বিষধর সাপরূপে মালিকের নিকট উপস্থিত হবে এবং মুখ হা করে তার পেছনে ধাওয়া করবে। যখন সে সাপ তার নিকট আসবে তখন সে এর থেকে পালাবে। তখন সে তাকে ডেকে বলবে, তুমি তোমার সঞ্চয় গ্রহণ কর, যা তুমি লুকিয়ে রেখেছিলে। আমার তার কোন প্রয়োজন নেই। মালিক যখন দেখবে যে, এর থেকে বাচবার কোন উপায় নেই তখন সে সাপটির মুখে হাত ঢুকিয়ে দিবে। এরপর সাপটি তার হাতকে ষাঁড়ের মত কামড় দিয়ে ধরবে।
আবু যুবাইর (রাহঃ) বলেন, আমি উবাইদ ইবনে উমায়র (রাযিঃ) কে এ কথা বলতে শুনেছি। এরপর আমি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম তিনিও উবাইদ ইবনে উমায়র (রাযিঃ) এর মত বললেন। রাবী আবু যুবাইর (রাহঃ) বলেন, আমি উবাইদ ইবনে উমায়রকে বলতে শুনেছি, এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! উটের হক কি? তিনি বললেন, এর হক হল, পানি পান করাবার স্থানে এদেরকে দোহন করা, এদের (দ্বারা পানি উঠাবার) পাত্র অন্যকে ধার দেয়া, এগুলোর মধ্যে ষাড় উট ও দুগ্ধবতী উটনী অন্যকে ধার দেয়া এবং আল্লাহর পথে লোকদেরকে এগুলোর উপর আরোহণ করান।
যদি কোন গরুর মালিক তার হক আদায় না করে তবে কিয়ামতের দিন সে গরু পূর্বের চেয়েও অধিক মোটা-তাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে। এরপর তাকে এক প্রশস্ত সমতল প্রান্তরে বসান হবে এবং সেগুলো তাকে শিং দ্বারা গুতাবে ও খুর দ্বারা পিষ্ট করবে।
যদি কোন ছাগলের মালিক তার হক আদায় না করে তবে কিয়ামতের দিন সে ছাগল পূর্বের চেয়েও অধিক মোটা-তাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে। আর তাকে এক প্রশস্ত প্রান্তরে বসান হবে এবং সে ছাগল তাকে শিং দ্বারা গুতাবে ও খুর দ্বারা পিষ্ট করতে থাকবে। সেদিন এ ছাগল সমুহে কোনটি শিংবিহীন এবং শিংভাঙ্গা হবে না।
আর যদি সোনা-এরূপা সঞ্চয়কারী কোন ব্যক্তি এর হক আদায় না করে, তবে তার এ সঞ্চয় কিয়ামতের দিন মাথার চুলপড়া বিষধর সাপরূপে মালিকের নিকট উপস্থিত হবে এবং মুখ হা করে তার পেছনে ধাওয়া করবে। যখন সে সাপ তার নিকট আসবে তখন সে এর থেকে পালাবে। তখন সে তাকে ডেকে বলবে, তুমি তোমার সঞ্চয় গ্রহণ কর, যা তুমি লুকিয়ে রেখেছিলে। আমার তার কোন প্রয়োজন নেই। মালিক যখন দেখবে যে, এর থেকে বাচবার কোন উপায় নেই তখন সে সাপটির মুখে হাত ঢুকিয়ে দিবে। এরপর সাপটি তার হাতকে ষাঁড়ের মত কামড় দিয়ে ধরবে।
আবু যুবাইর (রাহঃ) বলেন, আমি উবাইদ ইবনে উমায়র (রাযিঃ) কে এ কথা বলতে শুনেছি। এরপর আমি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম তিনিও উবাইদ ইবনে উমায়র (রাযিঃ) এর মত বললেন। রাবী আবু যুবাইর (রাহঃ) বলেন, আমি উবাইদ ইবনে উমায়রকে বলতে শুনেছি, এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! উটের হক কি? তিনি বললেন, এর হক হল, পানি পান করাবার স্থানে এদেরকে দোহন করা, এদের (দ্বারা পানি উঠাবার) পাত্র অন্যকে ধার দেয়া, এগুলোর মধ্যে ষাড় উট ও দুগ্ধবতী উটনী অন্যকে ধার দেয়া এবং আল্লাহর পথে লোকদেরকে এগুলোর উপর আরোহণ করান।
باب إِثْمِ مَانِعِ الزَّكَاةِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ، عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيَّ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ صَاحِبِ إِبِلٍ لاَ يَفْعَلُ فِيهَا حَقَّهَا إِلاَّ جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرَ مَا كَانَتْ قَطُّ وَقَعَدَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَسْتَنُّ عَلَيْهِ بِقَوَائِمِهَا وَأَخْفَافِهَا وَلاَ صَاحِبِ بَقَرٍ لاَ يَفْعَلُ فِيهَا حَقَّهَا إِلاَّ جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرَ مَا كَانَتْ وَقَعَدَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَنْطِحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِقَوَائِمِهَا وَلاَ صَاحِبِ غَنَمٍ لاَ يَفْعَلُ فِيهَا حَقَّهَا إِلاَّ جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرَ مَا كَانَتْ وَقَعَدَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَنْطِحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِأَظْلاَفِهَا لَيْسَ فِيهَا جَمَّاءُ وَلاَ مُنْكَسِرٌ قَرْنُهَا وَلاَ صَاحِبِ كَنْزٍ لاَ يَفْعَلُ فِيهِ حَقَّهُ إِلاَّ جَاءَ كَنْزُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَقْرَعَ يَتْبَعُهُ فَاتِحًا فَاهُ فَإِذَا أَتَاهُ فَرَّ مِنْهُ فَيُنَادِيهِ خُذْ كَنْزَكَ الَّذِي خَبَأْتَهُ فَأَنَا عَنْهُ غَنِيٌّ فَإِذَا رَأَى أَنْ لاَ بُدَّ مِنْهُ سَلَكَ يَدَهُ فِي فِيهِ فَيَقْضَمُهَا قَضْمَ الْفَحْلِ " . قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ يَقُولُ هَذَا الْقَوْلَ ثُمَّ سَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ مِثْلَ قَوْلِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ . وَقَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ يَقُولُ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ الإِبِلِ قَالَ " حَلَبُهَا عَلَى الْمَاءِ وَإِعَارَةُ دَلْوِهَا وَإِعَارَةُ فَحْلِهَا وَمَنِيحَتُهَا وَحَمْلٌ عَلَيْهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ " .
