আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৩- যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ২১৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৯৮৭-১
২. যাকাত অনাদায়কারীর অপরাধ
২১৬২। সুওয়ায়দ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন স্বর্ণ ও রৌপ্যের মালিক যদি এগুলোর হক (যাকাত) আদায় না করে তবে কিয়ামতের দিনে তার জন্য আগুনের পাত তৈরী করা হবে। তারপর জাহান্নামের অগ্নিতে উত্তপ্ত করে তা দিয়ে তার পার্শ্বে ও ললাটে, পৃষ্ঠদেশে দাগ দেয়া হবে। এরপর যখন উত্তপ্ততা কমে যাবে তখন পূনরায় তা উত্তপ্ত করা হরে। এভাবে চলতে থাকবে, দিনভর যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর, যে পর্যন্ত না বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা হবে। অতঃপর দেখান হবে তার পথ হয় জান্নাতের দিকে, না হয় জাহান্নামের দিকে।
বলা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! উট সম্বন্ধে বিধান কি? তিনি বললেন, আর উটের হক হল, পানি পান করার দিন তা দোহন করা। উটের কোন মালিক যদি এর হক আদায় না করে তবে কিয়ামতের দিন তাকে এক প্রশস্ত প্রান্তরে অধঃমুখী করে শয়িত করা হবে। তারপর ঐ উট পূর্বের চাইতেও অধিক মোটাতাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে এমন কি একটি বাচ্চাও বাদ পড়বেনা এবং স্বীয় খুর দ্বারা উটের মালিক যদি তার হক আদায় না করে তাকে পায়ে মাড়াতে থাকবে ও মুখে কাটতে থাকবে। মালিককে দলিত করে একটি উট চলে গেলে অপরটি আসবে। এমনি করে চলতে থাকবে ঐ দিন, যে দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর।
অতঃপর লোকদের ফয়সালা হরে। পথ দেখানো হবে তাকে হয় তো জান্নাতের দিকে অথবা জাহান্নামের দিকে। প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসুল! গরু ও ছাগলের হক কি? তিনি বললেন, গরু-ছাগলের কোন মালিক যদি তাদের হক আদায় না করে তবে কিয়ামতের দিন তাকে এক প্রশস্ত সমতল প্রান্তরে শোয়ানো হবে। অতঃপর গরু-ছাগল তাকে স্বীয় খুর দ্বারা দলিত এবং শিং দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। সেদিন সেগুলোর কোন একটিকেও অনুপস্থিত দেখতে পাবে না এবং তাদের মধ্যে কোন গরু-ছাগল শিংবিহীন, উল্টো শিং এবং ভাঙ্গা শিং বিশিষ্টও থাকবে না। এদের প্রথম দলটি যখন চলে যাবে তৎক্ষণাৎ অন্য দলটি এসে যাবে। এভাবে চলতে থাকবে চলতে থাকবে ঐ দিন, যে দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর।
অবশেষে যখন লোকদের বিচার অনুষ্ঠান সমাপ্ত হবে তখন পথ প্রদর্শন করা হবে তাকে হয় তো জান্নাতের দিকে অথবা জাহান্নামের দিকে। জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসুল! ঘোড়ার হক কি? উত্তরে তিনি বললেন, ঘোড়া তিন প্রকার। ঘোড়া কারো জন্য বোঝা হবে। আর কারো জন্য হবে আবরণ। আর কারো জন্য তা হবে পূণ্য। যার জন্য ঘোড়া বোঝা স্বরূপ হবে তা সে ব্যক্তি যে তার ঘোড়াকে বেধে রেখেছে লোকদের দেখানো, গর্ব প্রকাশ এবং মুসলমানদের শক্রতা পোষণের জন্য। এ ঘোড়াই হবে তার জন্য বোঝা স্বরূপ। যে ঘোড়া কারো জন্য আবরণ স্বরূপ হবে, তা সে ব্যক্তির ঘোড়া যে তার ঘোড়াকে আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য বেঁধে রেখেছে এবং এর পিঠ ও ঘাড়ের সাথে সংশ্লিষ্ট আল্লাহর হকের কথাও সে ভুলে যায়নি। এ ঘোড়াই হরে তার জন্য ঢাল স্বরূপ। আর যে ঘোড়া মালিকের জন্য পূণ্য স্বরূপ হবে তা ঐ ব্যক্তির ঘোড়া, যে তার ঘোড়াকে আল্লাহর পথে মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বাগান বা সবুজ তৃণভূমিতে বেঁধে রেখেছে। ঘোড়াটি ঐ চারণভূমি বাগান থেকে যে পরিমাপ ভক্ষণ করবে এর বিনিময়ে তাকে দেয়া হবে পুণ্য। অনরূপভাবে এর মল মূত্রের বিনিময়েও পরিমাণ তাকে পূণ্য দেয়া হবে। আর ঘোড়াটি যদি তার রশি ছিড়ে এক বা দুটি টিলা অতিক্রম করে; তবে তার প্রতিটি পদচিহ্ন ও গোবরের বিনিময়েও তাকে পুণ্য দেয়া হবে। যদি মালিক ঘোড়াটি নিয়ে কোন নদী-নালা অতিক্রম করে এবং মালিক ঘোড়াটিকে পানি পান করানোর ইচ্ছা না করা সত্ত্বেও যদি ঘোড়াটি কিছু পানি পান করে নেয়, তবে যে পরিমাণ পানি পান করেছে সে পরিমাণ নেকী তাকে দেয়া হবে।
অতঃপর জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! গাধা (সম্বন্ধে কোন বিধান আছে কি?) উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন গাধা সম্পর্কে আমার নিকট কোন আদেশ অবর্তীর্ণ হয়নি। তবে ব্যাপক অর্থবোধক এই একটি আয়াত বিদ্যমান আছেঃفَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ * وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ ″কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখবে। (সূরা যিলযালঃ ৭-৮)।
বলা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! উট সম্বন্ধে বিধান কি? তিনি বললেন, আর উটের হক হল, পানি পান করার দিন তা দোহন করা। উটের কোন মালিক যদি এর হক আদায় না করে তবে কিয়ামতের দিন তাকে এক প্রশস্ত প্রান্তরে অধঃমুখী করে শয়িত করা হবে। তারপর ঐ উট পূর্বের চাইতেও অধিক মোটাতাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে এমন কি একটি বাচ্চাও বাদ পড়বেনা এবং স্বীয় খুর দ্বারা উটের মালিক যদি তার হক আদায় না করে তাকে পায়ে মাড়াতে থাকবে ও মুখে কাটতে থাকবে। মালিককে দলিত করে একটি উট চলে গেলে অপরটি আসবে। এমনি করে চলতে থাকবে ঐ দিন, যে দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর।
অতঃপর লোকদের ফয়সালা হরে। পথ দেখানো হবে তাকে হয় তো জান্নাতের দিকে অথবা জাহান্নামের দিকে। প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসুল! গরু ও ছাগলের হক কি? তিনি বললেন, গরু-ছাগলের কোন মালিক যদি তাদের হক আদায় না করে তবে কিয়ামতের দিন তাকে এক প্রশস্ত সমতল প্রান্তরে শোয়ানো হবে। অতঃপর গরু-ছাগল তাকে স্বীয় খুর দ্বারা দলিত এবং শিং দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। সেদিন সেগুলোর কোন একটিকেও অনুপস্থিত দেখতে পাবে না এবং তাদের মধ্যে কোন গরু-ছাগল শিংবিহীন, উল্টো শিং এবং ভাঙ্গা শিং বিশিষ্টও থাকবে না। এদের প্রথম দলটি যখন চলে যাবে তৎক্ষণাৎ অন্য দলটি এসে যাবে। এভাবে চলতে থাকবে চলতে থাকবে ঐ দিন, যে দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর।
অবশেষে যখন লোকদের বিচার অনুষ্ঠান সমাপ্ত হবে তখন পথ প্রদর্শন করা হবে তাকে হয় তো জান্নাতের দিকে অথবা জাহান্নামের দিকে। জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসুল! ঘোড়ার হক কি? উত্তরে তিনি বললেন, ঘোড়া তিন প্রকার। ঘোড়া কারো জন্য বোঝা হবে। আর কারো জন্য হবে আবরণ। আর কারো জন্য তা হবে পূণ্য। যার জন্য ঘোড়া বোঝা স্বরূপ হবে তা সে ব্যক্তি যে তার ঘোড়াকে বেধে রেখেছে লোকদের দেখানো, গর্ব প্রকাশ এবং মুসলমানদের শক্রতা পোষণের জন্য। এ ঘোড়াই হবে তার জন্য বোঝা স্বরূপ। যে ঘোড়া কারো জন্য আবরণ স্বরূপ হবে, তা সে ব্যক্তির ঘোড়া যে তার ঘোড়াকে আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য বেঁধে রেখেছে এবং এর পিঠ ও ঘাড়ের সাথে সংশ্লিষ্ট আল্লাহর হকের কথাও সে ভুলে যায়নি। এ ঘোড়াই হরে তার জন্য ঢাল স্বরূপ। আর যে ঘোড়া মালিকের জন্য পূণ্য স্বরূপ হবে তা ঐ ব্যক্তির ঘোড়া, যে তার ঘোড়াকে আল্লাহর পথে মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বাগান বা সবুজ তৃণভূমিতে বেঁধে রেখেছে। ঘোড়াটি ঐ চারণভূমি বাগান থেকে যে পরিমাপ ভক্ষণ করবে এর বিনিময়ে তাকে দেয়া হবে পুণ্য। অনরূপভাবে এর মল মূত্রের বিনিময়েও পরিমাণ তাকে পূণ্য দেয়া হবে। আর ঘোড়াটি যদি তার রশি ছিড়ে এক বা দুটি টিলা অতিক্রম করে; তবে তার প্রতিটি পদচিহ্ন ও গোবরের বিনিময়েও তাকে পুণ্য দেয়া হবে। যদি মালিক ঘোড়াটি নিয়ে কোন নদী-নালা অতিক্রম করে এবং মালিক ঘোড়াটিকে পানি পান করানোর ইচ্ছা না করা সত্ত্বেও যদি ঘোড়াটি কিছু পানি পান করে নেয়, তবে যে পরিমাণ পানি পান করেছে সে পরিমাণ নেকী তাকে দেয়া হবে।
অতঃপর জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! গাধা (সম্বন্ধে কোন বিধান আছে কি?) উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন গাধা সম্পর্কে আমার নিকট কোন আদেশ অবর্তীর্ণ হয়নি। তবে ব্যাপক অর্থবোধক এই একটি আয়াত বিদ্যমান আছেঃفَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ * وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ ″কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখবে। (সূরা যিলযালঃ ৭-৮)।
باب إِثْمِ مَانِعِ الزَّكَاةِ
وَحَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، - يَعْنِي ابْنَ مَيْسَرَةَ الصَّنْعَانِيَّ - عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، أَنَّ أَبَا صَالِحٍ، ذَكْوَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ صَاحِبِ ذَهَبٍ وَلاَ فِضَّةٍ لاَ يُؤَدِّي مِنْهَا حَقَّهَا إِلاَّ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ صُفِّحَتْ لَهُ صَفَائِحَ مِنْ نَارٍ فَأُحْمِيَ عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَيُكْوَى بِهَا جَنْبُهُ وَجَبِينُهُ وَظَهْرُهُ كُلَّمَا بَرَدَتْ أُعِيدَتْ لَهُ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ الْعِبَادِ فَيُرَى سَبِيلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالإِبِلُ قَالَ " وَلاَ صَاحِبُ إِبِلٍ لاَ يُؤَدِّي مِنْهَا حَقَّهَا وَمِنْ حَقِّهَا حَلَبُهَا يَوْمَ وِرْدِهَا إِلاَّ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ بُطِحَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ أَوْفَرَ مَا كَانَتْ لاَ يَفْقِدُ مِنَهَا فَصِيلاً وَاحِدًا تَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا وَتَعَضُّهُ بِأَفْوَاهِهَا كُلَّمَا مَرَّ عَلَيْهِ أُولاَهَا رُدَّ عَلَيْهِ أُخْرَاهَا فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ الْعِبَادِ فَيُرَى سَبِيلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْبَقَرُ وَالْغَنَمُ قَالَ " وَلاَ صَاحِبُ بَقَرٍ وَلاَ غَنَمٍ لاَ يُؤَدِّي مِنْهَا حَقَّهَا إِلاَّ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ بُطِحَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ لاَ يَفْقِدُ مِنْهَا شَيْئًا لَيْسَ فِيهَا عَقْصَاءُ وَلاَ جَلْحَاءُ وَلاَ عَضْبَاءُ تَنْطِحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِأَظْلاَفِهَا كُلَّمَا مَرَّ عَلَيْهِ أُولاَهَا رُدَّ عَلَيْهِ أُخْرَاهَا فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ الْعِبَادِ فَيُرَى سَبِيلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْخَيْلُ قَالَ " الْخَيْلُ ثَلاَثَةٌ هِيَ لِرَجُلٍ وِزْرٌ وَهِيَ لِرَجُلٍ سِتْرٌ وَهِيَ لِرَجُلٍ أَجْرٌ فَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ وِزْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا رِيَاءً وَفَخْرًا وَنِوَاءً عَلَى أَهْلِ الإِسْلاَمِ فَهِيَ لَهُ وِزْرٌ وَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ سِتْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ لَمْ يَنْسَ حَقَّ اللَّهِ فِي ظُهُورِهَا وَلاَ رِقَابِهَا فَهِيَ لَهُ سِتْرٌ وَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ أَجْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ لأَهْلِ الإِسْلاَمِ فِي مَرْجٍ وَرَوْضَةٍ فَمَا أَكَلَتْ مِنْ ذَلِكَ الْمَرْجِ أَوِ الرَّوْضَةِ مِنْ شَىْءٍ إِلاَّ كُتِبَ لَهُ عَدَدَ مَا أَكَلَتْ حَسَنَاتٌ وَكُتِبَ لَهُ عَدَدَ أَرْوَاثِهَا وَأَبْوَالِهَا حَسَنَاتٌ وَلاَ تَقْطَعُ طِوَلَهَا فَاسْتَنَّتْ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ عَدَدَ آثَارِهَا وَأَرْوَاثِهَا حَسَنَاتٍ وَلاَ مَرَّ بِهَا صَاحِبُهَا عَلَى نَهْرٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ وَلاَ يُرِيدُ أَنْ يَسْقِيَهَا إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ عَدَدَ مَا شَرِبَتْ حَسَنَاتٍ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْحُمُرُ قَالَ " مَا أُنْزِلَ عَلَىَّ فِي الْحُمُرِ شَىْءٌ إِلاَّ هَذِهِ الآيَةُ الْفَاذَّةُ الْجَامِعَةُ ( فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ * وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ) " .
