আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১২- জানাযা-কাফন-দাফন সম্পর্কিত অধ্যায়
হাদীস নং: ২০৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৯৪৮
১৫. জানাযার নামায আদায় ও তার অনুগামী হওয়ার ফযীলত
২০৭০। হারুন ইবনে মারুফ, হারুন ইবনে সাঈদ আল আয়লী ও ওয়ালীদ ইবনে শুজা সাকুনী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তার এক ছেলে কুদায়দ অথবা উলফান নামক স্থানে ইন্তিকাল করলেন। তখন তিনি বললেন, হে কুরায়ব! দেখো তো, তার জানাযার জন্য কি পরিমাণ মানুষ সমবেত হয়েছে। আমি বেরিয়ে দেখলাম, কিছু লোক সমবেত হয়েছে। আমি তাঁকে এ খবর দিলাম। তিনি বললেন, তাদের সংখ্যা কি চল্লিশ হবে? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, শবদেহ বের কর। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, যখন কোন মুসলমানের ইন্তিকাল হয় এবং তার জানাযায় এমন চল্লিশজন লোক অংশ নেয় যারা আল্লাহ পাকের সাথে কোন কিছুকে শরীক করে না, তখন তার ব্যাপারে তাদের সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হয়।
باب فَضْلِ الصَّلاَةِ عَلَى الْجَنَازَةِ وَاتِّبَاعِهَا
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، وَهَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، وَالْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ السَّكُونِيُّ، قَالَ الْوَلِيدُ حَدَّثَنِي وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو صَخْرٍ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ مَاتَ ابْنٌ لَهُ بِقُدَيْدٍ أَوْ بِعُسْفَانَ فَقَالَ يَا كُرَيْبُ انْظُرْ مَا اجْتَمَعَ لَهُ مِنَ النَّاسِ . قَالَ فَخَرَجْتُ فَإِذَا نَاسٌ قَدِ اجْتَمَعُوا لَهُ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ تَقُولُ هُمْ أَرْبَعُونَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ أَخْرِجُوهُ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ رَجُلٍ مُسْلِمٍ يَمُوتُ فَيَقُومُ عَلَى جَنَازَتِهِ أَرْبَعُونَ رَجُلاً لاَ يُشْرِكُونَ بِاللَّهِ شَيْئًا إِلاَّ شَفَّعَهُمُ اللَّهُ فِيهِ " . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ مَعْرُوفٍ عَنْ شَرِيكِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
জানাযার নামায ফরযে কেফায়া। কোনও মুসলিম ব্যক্তি মারা গেলে অন্যসব মুসলিমের কর্তব্য তার জানাযা পড়া। এটা মায়্যিতের হক। জানাযা পড়ার দ্বারা মৃত ব্যক্তির পক্ষে সুপারিশ করা হয়, যেন আল্লাহ তা'আলা তাকে ক্ষমা করে দেন। জানাযার দু'আয় পড়া হয়ে থাকে-
اللهُمَّ اغْفِرْ لِحَينَا وَمَيْتنَا، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا، وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا، وَذَكَرِنَا وَأنْثَانَا، اللهم مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيهِ عَلَى الإِسْلامِ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِيمَانِ
‘হে আল্লাহ! ক্ষমা করুন আমাদের মধ্যকার জীবিতকে, মৃতকে, উপস্থিতকে, অনুপস্থিতকে, ছোটকে, বড়কে, পুরুষকে ও নারীকে। হে আল্লাহ! আমাদের মধ্যে যাকে জীবিত রাখেন, তাকে জীবিত রাখুন ইসলামের উপর। আর যাকে মৃত্যুদান করেন, তাকে মৃত্যু দিন ঈমানের উপর ।
এ হাদীছে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে যে, এমন চল্লিশজন লোক, যারা আল্লাহর সঙ্গে কোনওকিছুকে শরীক করে না, যদি কোনও মুসলিম ব্যক্তির জানাযা পড়ে, তবে তার পক্ষে তাদের সুপারিশ অবশ্যই কবুল করা হয়। অর্থাৎ তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
প্রকাশ থাকে যে, এর দ্বারা সাধারণত ক্ষমা করা হয় আল্লাহর হক। বিভিন্ন দলীল-প্রমাণ দ্বারা জানা যায় যে, বান্দার হক ক্ষমার জন্য যার হক নষ্ট করা হয়েছে তার পক্ষ থেকেও ক্ষমা পাওয়া জরুরি। সুতরাং বান্দার হক আদায়ের ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্কতা জরুরি। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে তাঁর হকসমূহ আদায়ের পাশাপাশি তাঁর বান্দাদের যতরকম হক আছে তাও আদায় করার তাওফীক দান করুন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা জানাযার নামাযের ফযীলত জানা যায় যে, তা মায়্যিতের পক্ষে সুপারিশস্বরূপ।
খ. আমাদের কর্তব্য খুব গুরুত্বের সঙ্গে মুসলিম মায়্যিতের জানাযা আদায় করা এবং চেষ্টা করা যাতে জানাযা আদায়কারীদের সংখ্যা অন্ততপক্ষে চল্লিশজন হয়।
গ. এ হাদীছ দ্বারা শিরকের কদর্যতাও জানা যায়। তার জানাযা পড়ার কোনও মূল্য নেই। শিরকের কারণে সে নিজেই তো ক্ষমার অযোগ্য, যদি না তাওবা করে। এ অবস্থায় অন্যের পক্ষে সে কী সুপারিশ করবে?
اللهُمَّ اغْفِرْ لِحَينَا وَمَيْتنَا، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا، وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا، وَذَكَرِنَا وَأنْثَانَا، اللهم مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيهِ عَلَى الإِسْلامِ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِيمَانِ
‘হে আল্লাহ! ক্ষমা করুন আমাদের মধ্যকার জীবিতকে, মৃতকে, উপস্থিতকে, অনুপস্থিতকে, ছোটকে, বড়কে, পুরুষকে ও নারীকে। হে আল্লাহ! আমাদের মধ্যে যাকে জীবিত রাখেন, তাকে জীবিত রাখুন ইসলামের উপর। আর যাকে মৃত্যুদান করেন, তাকে মৃত্যু দিন ঈমানের উপর ।
এ হাদীছে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে যে, এমন চল্লিশজন লোক, যারা আল্লাহর সঙ্গে কোনওকিছুকে শরীক করে না, যদি কোনও মুসলিম ব্যক্তির জানাযা পড়ে, তবে তার পক্ষে তাদের সুপারিশ অবশ্যই কবুল করা হয়। অর্থাৎ তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
প্রকাশ থাকে যে, এর দ্বারা সাধারণত ক্ষমা করা হয় আল্লাহর হক। বিভিন্ন দলীল-প্রমাণ দ্বারা জানা যায় যে, বান্দার হক ক্ষমার জন্য যার হক নষ্ট করা হয়েছে তার পক্ষ থেকেও ক্ষমা পাওয়া জরুরি। সুতরাং বান্দার হক আদায়ের ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্কতা জরুরি। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে তাঁর হকসমূহ আদায়ের পাশাপাশি তাঁর বান্দাদের যতরকম হক আছে তাও আদায় করার তাওফীক দান করুন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা জানাযার নামাযের ফযীলত জানা যায় যে, তা মায়্যিতের পক্ষে সুপারিশস্বরূপ।
খ. আমাদের কর্তব্য খুব গুরুত্বের সঙ্গে মুসলিম মায়্যিতের জানাযা আদায় করা এবং চেষ্টা করা যাতে জানাযা আদায়কারীদের সংখ্যা অন্ততপক্ষে চল্লিশজন হয়।
গ. এ হাদীছ দ্বারা শিরকের কদর্যতাও জানা যায়। তার জানাযা পড়ার কোনও মূল্য নেই। শিরকের কারণে সে নিজেই তো ক্ষমার অযোগ্য, যদি না তাওবা করে। এ অবস্থায় অন্যের পক্ষে সে কী সুপারিশ করবে?
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
