আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১১- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৯৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৪-৩
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৭৪। আবু বকর ইবনে আবু শায়রা ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে একদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। সেদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পূত্র ইবরাহীমের ইন্তিকাল হয়েছিল। তখন লোকেরা বলল, নিশ্চয়ই ইবরাহীমের ইন্তিকালের কারণে সূর্যগ্রহণ লেগেছে। এতে নবী (ﷺ) দাঁড়িয়ে গেলেন এবং লোকদের নিয়ে ছয় রুকু ও চার সিজদায় নামায আদায় করলেন।
নামায তাকবীর বলে আরম্ভ করলেন এবং কিরা’আত অত্যন্ত দীর্ঘ করলেন। এরপর রুকু’ করলেন। প্রায় কিয়ামের সমপরিমাণ সময় রুকুতে থাকলেন। এরপর রুকু থেকে মাথা উঠালেন এবং কিরাআত পড়লেন যা পূর্বাপেক্ষা কিছু কম। তারপর আবার রুকু করলেন, যা ছিল কিয়ামের সমপরিমাণ। এরপর তিনি রুকু হতে মাথা তুললেন এবং দ্বিতীয়বার হতে কিছু কম সময় কিরা’আত পড়লেন। আবার রুকু করলেন এবং কিয়ামের সমপরিমাণ সময় রুকুতে থাকলেন।
এরপর রুকু থেকে মাথা উঠালেন ও সিজদায় গেলেন এবং দুটি সিজদা করলেন। এরপর দাঁড়ালেন এবং তিনটি রুকু’ করলেন এবং প্রতি আগের রুকু পরের রুকু অপেক্ষা দীর্ঘ হত। রুকু ছিল সিজদার সমপরিমাণ।
অতঃপর পিছনের দিকে সরে এলেন কাতারগুলো ও পিছনে সরে গেল শেষ সীমা পর্যন্ত। [আবু বকর (রাযিঃ) বলেন, মহিলাদের কাতার পর্যন্ত গেলেন অতঃপর পূর্বের স্থানে এলেন] লোকেরাও তাঁর সাথে এলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর পূর্ব স্থানে এসে দাঁড়ালেন। নামায শেষ করে তিনি যখন ফিরে এলেন তখন সূর্য পরিষ্কার হয়ে গেছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে লোক সকল! সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে দুঁটি নিদর্শন। এ দুটি গ্রহণ কোন ব্যক্তির মৃত্যুর কারণে হয় না। [আবু বকর (রাযিঃ) বলেছেন, (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ″কোন মানুষের মৃত্যুর কারণে″ (এ দুটো গ্রহণ হয় না)]। যখন তোমরা এরূপ কিছু দেখ, তখন সূর্য পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত নামায আদায় করতে থাক।
তোমাদের প্রতি যা কিছু ওয়াদা করা হয়েছে আমি এ নামাযে দেখতে পেয়েছি। আমার কাছে জাহান্নাম উপস্থিত করা হয়েছিল এবং তা ঘটেছিল যখন তোমরা আমাকে দেখেছ পেছনের দিকে সরে আসতে। কেননা আমার ভয় ছিল যে, আগুনের লেলিহান শিখা আমাকে স্পর্শ করবে। তাছাড়া আমি সেখানে লৌহ শলাকাধারী ব্যক্তিকে দেখেছি, সে জাহান্নামে তার নাড়িভূড়ি হেচড়িয়ে চলছে। সে ব্যক্তি লৌহ শলীকা দিয়ে হাজীদের মালামাল চুরি করত। যদি মালিক টের পেত তাহলে সে বলত, আমার লৌহশলাকায় আটকা পড়েছো আর টের না পেলে নিয়ে চলে যেত। আমি জাহান্নামে দেখেছি মহিলাকে যে বিড়াল বেঁধে রেখেছিল। সে বিড়ালটিকে খেতে দেয় নি, ছেড়েও দেয় নি, যাতে সে যমীনের কীট-পতঙ্গ খেতে পারে। এভাবে ক্ষুধায় সে মারা যায়।
এরপর আমার সম্মুখে জান্নাত হাযির করা হল। যখন তোমরা আমাকে সম্মুখে অগ্রসর হতে এবং পূর্ব স্থানে দাঁড়ান অবস্থায় দেখেছ। তখন আমি আমার হাত প্রসারিত করেছিলাম। আমি ফল আনতে ইচ্ছা করেছিলাম, যেন তোমরা দেখতে পার। এরপর মনে হল এমনটি না করাই উচিত। তোমাদেরকে যত জিনিসের ওয়াদা করা হয়েছে, সবই এ নামাযের সময় আমি দেখেছি।
নামায তাকবীর বলে আরম্ভ করলেন এবং কিরা’আত অত্যন্ত দীর্ঘ করলেন। এরপর রুকু’ করলেন। প্রায় কিয়ামের সমপরিমাণ সময় রুকুতে থাকলেন। এরপর রুকু থেকে মাথা উঠালেন এবং কিরাআত পড়লেন যা পূর্বাপেক্ষা কিছু কম। তারপর আবার রুকু করলেন, যা ছিল কিয়ামের সমপরিমাণ। এরপর তিনি রুকু হতে মাথা তুললেন এবং দ্বিতীয়বার হতে কিছু কম সময় কিরা’আত পড়লেন। আবার রুকু করলেন এবং কিয়ামের সমপরিমাণ সময় রুকুতে থাকলেন।
এরপর রুকু থেকে মাথা উঠালেন ও সিজদায় গেলেন এবং দুটি সিজদা করলেন। এরপর দাঁড়ালেন এবং তিনটি রুকু’ করলেন এবং প্রতি আগের রুকু পরের রুকু অপেক্ষা দীর্ঘ হত। রুকু ছিল সিজদার সমপরিমাণ।
অতঃপর পিছনের দিকে সরে এলেন কাতারগুলো ও পিছনে সরে গেল শেষ সীমা পর্যন্ত। [আবু বকর (রাযিঃ) বলেন, মহিলাদের কাতার পর্যন্ত গেলেন অতঃপর পূর্বের স্থানে এলেন] লোকেরাও তাঁর সাথে এলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর পূর্ব স্থানে এসে দাঁড়ালেন। নামায শেষ করে তিনি যখন ফিরে এলেন তখন সূর্য পরিষ্কার হয়ে গেছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে লোক সকল! সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে দুঁটি নিদর্শন। এ দুটি গ্রহণ কোন ব্যক্তির মৃত্যুর কারণে হয় না। [আবু বকর (রাযিঃ) বলেছেন, (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ″কোন মানুষের মৃত্যুর কারণে″ (এ দুটো গ্রহণ হয় না)]। যখন তোমরা এরূপ কিছু দেখ, তখন সূর্য পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত নামায আদায় করতে থাক।
তোমাদের প্রতি যা কিছু ওয়াদা করা হয়েছে আমি এ নামাযে দেখতে পেয়েছি। আমার কাছে জাহান্নাম উপস্থিত করা হয়েছিল এবং তা ঘটেছিল যখন তোমরা আমাকে দেখেছ পেছনের দিকে সরে আসতে। কেননা আমার ভয় ছিল যে, আগুনের লেলিহান শিখা আমাকে স্পর্শ করবে। তাছাড়া আমি সেখানে লৌহ শলাকাধারী ব্যক্তিকে দেখেছি, সে জাহান্নামে তার নাড়িভূড়ি হেচড়িয়ে চলছে। সে ব্যক্তি লৌহ শলীকা দিয়ে হাজীদের মালামাল চুরি করত। যদি মালিক টের পেত তাহলে সে বলত, আমার লৌহশলাকায় আটকা পড়েছো আর টের না পেলে নিয়ে চলে যেত। আমি জাহান্নামে দেখেছি মহিলাকে যে বিড়াল বেঁধে রেখেছিল। সে বিড়ালটিকে খেতে দেয় নি, ছেড়েও দেয় নি, যাতে সে যমীনের কীট-পতঙ্গ খেতে পারে। এভাবে ক্ষুধায় সে মারা যায়।
এরপর আমার সম্মুখে জান্নাত হাযির করা হল। যখন তোমরা আমাকে সম্মুখে অগ্রসর হতে এবং পূর্ব স্থানে দাঁড়ান অবস্থায় দেখেছ। তখন আমি আমার হাত প্রসারিত করেছিলাম। আমি ফল আনতে ইচ্ছা করেছিলাম, যেন তোমরা দেখতে পার। এরপর মনে হল এমনটি না করাই উচিত। তোমাদেরকে যত জিনিসের ওয়াদা করা হয়েছে, সবই এ নামাযের সময় আমি দেখেছি।
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّاسُ إِنَّمَا انْكَسَفَتْ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ . فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِالنَّاسِ سِتَّ رَكَعَاتٍ بِأَرْبَعِ سَجَدَاتٍ بَدَأَ فَكَبَّرَ ثُمَّ قَرَأَ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ فَقَرَأَ قِرَاءَةً دُونَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ فَقَرَأَ قِرَاءَةً دُونَ الْقِرَاءَةِ الثَّانِيَةِ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ ثُمَّ انْحَدَرَ بِالسُّجُودِ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ أَيْضًا ثَلاَثَ رَكَعَاتٍ لَيْسَ فِيهَا رَكْعَةٌ إِلاَّ الَّتِي قَبْلَهَا أَطْوَلُ مِنَ الَّتِي بَعْدَهَا وَرُكُوعُهُ نَحْوًا مِنْ سُجُودِهِ ثُمَّ تَأَخَّرَ وَتَأَخَّرَتِ الصُّفُوفُ خَلْفَهُ حَتَّى انْتَهَيْنَا - وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ حَتَّى انْتَهَى إِلَى النِّسَاءِ - ثُمَّ تَقَدَّمَ وَتَقَدَّمَ النَّاسُ مَعَهُ حَتَّى قَامَ فِي مَقَامِهِ فَانْصَرَفَ حِينَ انْصَرَفَ وَقَدْ آضَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَإِنَّهُمَا لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ - وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِمَوْتِ بَشَرٍ - فَإِذَا رَأَيْتُمْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَصَلُّوا حَتَّى تَنْجَلِيَ مَا مِنْ شَىْءٍ تُوعَدُونَهُ إِلاَّ قَدْ رَأَيْتُهُ فِي صَلاَتِي هَذِهِ لَقَدْ جِيءَ بِالنَّارِ وَذَلِكُمْ حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَأَخَّرْتُ مَخَافَةَ أَنْ يُصِيبَنِي مِنْ لَفْحِهَا وَحَتَّى رَأَيْتُ فِيهَا صَاحِبَ الْمِحْجَنِ يَجُرُّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ كَانَ يَسْرِقُ الْحَاجَّ بِمِحْجَنِهِ فَإِنْ فُطِنَ لَهُ قَالَ إِنَّمَا تَعَلَّقَ بِمِحْجَنِي . وَإِنْ غُفِلَ عَنْهُ ذَهَبَ بِهِ وَحَتَّى رَأَيْتُ فِيهَا صَاحِبَةَ الْهِرَّةِ الَّتِي رَبَطَتْهَا فَلَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَدَعْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ حَتَّى مَاتَتْ جُوعًا ثُمَّ جِيءَ بِالْجَنَّةِ وَذَلِكُمْ حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَقَدَّمْتُ حَتَّى قُمْتُ فِي مَقَامِي وَلَقَدْ مَدَدْتُ يَدِي وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أَتَنَاوَلَ مِنْ ثَمَرِهَا لِتَنْظُرُوا إِلَيْهِ ثُمَّ بَدَا لِي أَنْ لاَ أَفْعَلَ فَمَا مِنْ شَىْءٍ تُوعَدُونَهُ إِلاَّ قَدْ رَأَيْتُهُ فِي صَلاَتِي هَذِهِ " .
