আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

১০- বৃষ্টি প্রার্থনার নামায

হাদীস নং: ১৯৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৮৯৭-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৫১। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব, কুতায়বা ও ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যক্তি জুমআর দিনে দারুল কাযার দিকের দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। ঐ ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামলে গিয়ে দাঁড়াল এবং বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সম্পদ বিনষ্ট হল। রাস্তা ঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করুন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উভয় হাত তুলে বললেন, হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন।

আনাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম আমরা আকাশে কোন মেঘ দেখেনি। আমাদের এবং সালা পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে কোন ঘরবাড়ীও ছিল না। হঠাৎ পাহাড়ের পাশ্চাৎ দিকে হতে তীরের ন্যায় এক খণ্ড মেঘ উদিত হল। যখন তা মধ্যাকাশে পৌছাল তখন তা ছড়িয়ে পড়ল। এরপর বর্ষণ শুরু হল। রাবী বলেন, আল্লাহর কসম, আমরা এক সপ্তাহ পর্যন্ত সূর্য দেখি নি।

পরবর্তী জুমআয় এক ব্যক্তি সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। ঐ ব্যক্তি সামনে গিয়ে দাঁড়াল এবং বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সম্পদ বিনষ্ট হল। রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেল। আল্লাহর নিকট বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার জন্য দুআ করুন।

রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উভয় হাত তুলে বললেন, হে আল্লাহ! আমাদের উপরে নয়, আমাদের আশেপাশে বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! টিলা উপত্যকার মধ্যে এবং গাছগাছালি উৎপন্ন হওয়ার স্থানে। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তখন মেঘ সরে গেল। আমরা বের হলাম, আর সূর্যের তাপের মধ্য দিয়ে হাটতে লাগলাম। শরীক (রাহঃ) বলেন, আমি আনাসকে জিজ্ঞাসা করলাম, এ ব্যক্তি কি পূর্বের ব্যক্তি ছিল? তিনি উত্তরে বললেন, আমি জানি না।
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّجُمُعَةٍ مِنْ بَابٍ كَانَ نَحْوَ دَارِ الْقَضَاءِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ يَخْطُبُ فَاسْتَقْبَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا ثُمَّ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَتِ الأَمْوَالُ وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ فَادْعُ اللَّهِ يُغِثْنَا . قَالَ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ أَغِثْنَا اللَّهُمَّ أَغِثْنَا اللَّهُمَّ أَغِثْنَا " . قَالَ أَنَسٌ وَلاَ وَاللَّهِ مَا نَرَى فِي السَّمَاءِ مِنْ سَحَابٍ وَلاَ قَزَعَةٍ وَمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ سَلْعٍ مِنْ بَيْتٍ وَلاَ دَارٍ - قَالَ - فَطَلَعَتْ مِنْ وَرَائِهِ سَحَابَةٌ مِثْلُ التُّرْسِ فَلَمَّا تَوَسَّطَتِ السَّمَاءَ انْتَشَرَتْ ثُمَّ أَمْطَرَتْ - قَالَ - فَلاَ وَاللَّهِ مَا رَأَيْنَا الشَّمْسَ سَبْتًا - قَالَ - ثُمَّ دَخَلَ رَجُلٌ مِنْ ذَلِكَ الْبَابِ فِي الْجُمُعَةِ الْمُقْبِلَةِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ يَخْطُبُ فَاسْتَقْبَلَهُ قَائِمًا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَتِ الأَمْوَالُ وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ فَادْعُ اللَّهَ يُمْسِكْهَا عَنَّا - قَالَ - فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ حَوْلَنَا وَلاَ عَلَيْنَا اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالظِّرَابِ وَبُطُونِ الأَوْدِيَةِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ " . فَانْقَلَعَتْ وَخَرَجْنَا نَمْشِي فِي الشَّمْسِ . قَالَ شَرِيكٌ فَسَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ أَهُوَ الرَّجُلُ الأَوَّلُ قَالَ لاَ أَدْرِي .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ মুসলিম - হাদীস নং ১৯৫১ | মুসলিম বাংলা