আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৮- জুমআ সংক্রান্ত অধ্যায়

হাদীস নং: ১৯১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮৩ -
১১. জুমআর পরবর্তী (সুন্নত) নামায
১৯১৫। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... উমর ইবনে আতা ইবনে আবুল খুওয়ার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। নাফি ইবনে জুবাইর (রাহঃ) তাকে সাইব ইবনে উখতে নামির (রাহঃ) এর নিকট প্রেরণ করলেন একটি বিষয়ে প্রশ্ন করতে যা নামায আদায় করার সময় মুআবিয়া (রাযিঃ) তার নিকট থেকে লক্ষ্য করেছিলেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি তার সঙ্গে মাকসূরায়* জুমআ আদায় করেছি। যখন ইমাম সালাম ফিরালেন, আমি নিজ অবস্থানে দাঁড়িয়ে নামায পড়ে নিলাম। যখন তিনি (মুআবিয়া) প্রবেশ করলেন তখন আমাকে ডেকে আনলেন এবং বললেন, তুমি আর এরূপ করো না। যখন তুমি জুমআর নামায আদায় কর, তখন অন্য কোন নামায আদায় করো না যে পর্যন্ত কথাবার্তা না বল অথবা বেরিয়ে না যাও। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে এরূপ নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা যেন এ নামাযকে অন্য নামাযের সাথে মিলিয়ে না ফেলি যতক্ষণ কথা না বলি অথবা বেরিয়ে না যাই।

*বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তার জন্য নির্মিত মসজিদের একটি অংশ।
باب الصَّلاَةِ بَعْدَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُمَرُ، بْنُ عَطَاءِ بْنِ أَبِي الْخُوَارِ أَنَّ نَافِعَ بْنَ جُبَيْرٍ، أَرْسَلَهُ إِلَى السَّائِبِ ابْنِ أُخْتِ نَمِرٍ يَسْأَلُهُ عَنْ شَىْءٍ، رَآهُ مِنْهُ مُعَاوِيَةُ فِي الصَّلاَةِ فَقَالَ نَعَمْ . صَلَّيْتُ مَعَهُ الْجُمُعَةَ فِي الْمَقْصُورَةِ فَلَمَّا سَلَّمَ الإِمَامُ قُمْتُ فِي مَقَامِي فَصَلَّيْتُ فَلَمَّا دَخَلَ أَرْسَلَ إِلَىَّ فَقَالَ لاَ تَعُدْ لِمَا فَعَلْتَ إِذَا صَلَّيْتَ الْجُمُعَةَ فَلاَ تَصِلْهَا بِصَلاَةٍ حَتَّى تَكَلَّمَ أَوْ تَخْرُجَ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَنَا بِذَلِكَ أَنْ لاَ تُوصَلَ صَلاَةٌ حَتَّى نَتَكَلَّمَ أَوْ نَخْرُجَ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ফরয নামাযের জায়গা থেকে কিছুটা সরে গিয়ে বা সামান্য দেরি করে ছুন্নাত পড়া উচিত। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫৩১) অনুরূপ বর্ণনা হযরত ইবনে উমার রা. থেকেও সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। (আব্দুর রাযযাক: ৩৯১৫) তবে ছুন্নাতে মুআক্কাদা আদায়ে দেরির পরিমাণ বেশী হলে সেটা মাকরূহ হবে। (মুসলিম: ১২১৩)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সহীহ মুসলিম - হাদীস নং ১৯১৫ | মুসলিম বাংলা