আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৭- কুরআনে কারীমের ফাযায়েল ও আদাব-মাসাঈল
হাদীস নং: ১৮১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৮৪০-২
১৯. ভয়-ভীতিকালে নামায আদায়ের পদ্ধতি
১৮১৯। আহমাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ইউনূস (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যুহায়না গোত্রের একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। তারা আমাদের সাথে প্রচন্ড যুদ্ধে লিপ্ত হয়। আমরা যখন যোহরের নামায আদায় করে নিলাম তখন মুশরিকরা বলতে লাগল, আমরা যদি এক যোগে আক্রমণ করতাম তাহলে মুসলমানদেরকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারতাম। জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ সংবাদ দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে জানালেন। তিনি বলেন, মুশরিকরা আরো বলেছে যে, মুসলমানদের নিকট এমন একটি নামাযের সময় উপস্থিত হচ্ছে যে নামায তাদের নিকট নিজেদের সন্তান থেকেও অধিক প্রিয়। তিনি বলেন, যখন আসরের সময় হল, তখন তিনি আমাদের- দু’ কাতারে বিভক্ত করলেন। আর মুশরিকরা ছিল আমাদের এবং কিবলার মাঝখানে।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীর বললেন, আমরাও তাকবীর বললাম। তিনি রুকু’ করলেন, আমরাও রুকু’ করলাম। এরপর তিনি সিজদা করলেন। তাঁর সাথে প্রথম সারির লোকেরাও সিজদা করল। এরপর প্রথম সারির লোকেরা দাঁড়িয়ে থাকলেন। আর পেছনের সারির লোকেরা সিজদা করলেন। এরপর প্রথম সারির লোকেরা পেছনে এলেন এবং দ্বিতীয় সারির লোকেরা সামনে আসলেন এবং প্রথম কাতারের লোকদের স্থানে দাঁড়াল। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীর বললেন, আমরাও তাকবীর বললাম। তিনি রুকু’ করলেন আমরাও রুকু’ করলাম। এরপর তাঁর সাথে প্রথম সারির লোকেরা সিজদা করলেন এবং পিছনের সারির লোকেরা দাঁড়িয়ে গেল। অতঃপর যখন দ্বিতীয় সারির লোকেরা সিজদা করল, তারপর সকলে বসে গেল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সবাইকে নিয়ে সালাম ফিরালেন।
আবু যুবাইর (রাহঃ) বলেন, এরপর জাবির (রাযিঃ) বিশেষভাবে বললেন, যেভাবে তোমাদের বর্তমানকালের আমীরগণ নামায আদায় করেন।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীর বললেন, আমরাও তাকবীর বললাম। তিনি রুকু’ করলেন, আমরাও রুকু’ করলাম। এরপর তিনি সিজদা করলেন। তাঁর সাথে প্রথম সারির লোকেরাও সিজদা করল। এরপর প্রথম সারির লোকেরা দাঁড়িয়ে থাকলেন। আর পেছনের সারির লোকেরা সিজদা করলেন। এরপর প্রথম সারির লোকেরা পেছনে এলেন এবং দ্বিতীয় সারির লোকেরা সামনে আসলেন এবং প্রথম কাতারের লোকদের স্থানে দাঁড়াল। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকবীর বললেন, আমরাও তাকবীর বললাম। তিনি রুকু’ করলেন আমরাও রুকু’ করলাম। এরপর তাঁর সাথে প্রথম সারির লোকেরা সিজদা করলেন এবং পিছনের সারির লোকেরা দাঁড়িয়ে গেল। অতঃপর যখন দ্বিতীয় সারির লোকেরা সিজদা করল, তারপর সকলে বসে গেল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সবাইকে নিয়ে সালাম ফিরালেন।
আবু যুবাইর (রাহঃ) বলেন, এরপর জাবির (রাযিঃ) বিশেষভাবে বললেন, যেভাবে তোমাদের বর্তমানকালের আমীরগণ নামায আদায় করেন।
باب صَلاَةِ الْخَوْفِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَوْمًا مِنْ جُهَيْنَةَ فَقَاتَلُونَا قِتَالاً شَدِيدًا فَلَمَّا صَلَّيْنَا الظُّهْرَ قَالَ الْمُشْرِكُونَ لَوْ مِلْنَا عَلَيْهِمْ مَيْلَةً لاَقْتَطَعْنَاهُمْ . فَأَخْبَرَ جِبْرِيلُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَلِكَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - وَقَالُوا إِنَّهُ سَتَأْتِيهِمْ صَلاَةٌ هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنَ الأَوْلاَدِ فَلَمَّا حَضَرَتِ الْعَصْرُ - قَالَ - صَفَّنَا صَفَّيْنِ وَالْمُشْرِكُونَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ - قَالَ - فَكَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَبَّرْنَا وَرَكَعَ فَرَكَعْنَا ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَ مَعَهُ الصَّفُّ الأَوَّلُ فَلَمَّا قَامُوا سَجَدَ الصَّفُّ الثَّانِي ثُمَّ تَأَخَّرَ الصَّفُّ الأَوَّلُ وَتَقَدَّمَ الصَّفُّ الثَّانِي فَقَامُوا مَقَامَ الأَوَّلِ فَكَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَبَّرْنَا وَرَكَعَ فَرَكَعْنَا ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَ مَعَهُ الصَّفُّ الأَوَّلُ وَقَامَ الثَّانِي فَلَمَّا سَجَدَ سَجَدَ الصَّفُّ الثَّانِي ثُمَّ جَلَسُوا جَمِيعًا سَلَّمَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ ثُمَّ خَصَّ جَابِرٌ أَنْ قَالَ كَمَا يُصَلِّي أُمَرَاؤُكُمْ هَؤُلاَءِ .
