আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৭- কুরআনে কারীমের ফাযায়েল ও আদাব-মাসাঈল

হাদীস নং: ১৮০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩৪
- কুরআনে কারীমের ফাযায়েল ও আদাব-মাসাঈল
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৮০৬। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া তুজীবী (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর আযাদকৃত গোলাম কুরায়ব (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আব্দুর রহমান ইবনে আযহার এবং মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) সবাই তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট প্রেরণ করলেন এবং বলে দিলেন, তাকে আমাদের সবার পক্ষ থেকে সালাম জানাবে এবং তাঁকে আসরের পরের দু’রাকআত নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে এবং এ কথাও বলবে যে আমরা জানতে পেরেছি, আপনিও সে দু রাকআত নামায আদায় করে থাকেন, অথচ আমাদের নিকট হাদীস পৌছেছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা নিষেধ করেছেন।

ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমিও উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) এর সঙ্গে এ নামায হতে লোকদের ফিরিয়ে রাখতাম। কুরায়ব (রাযিঃ) বলেন, আমি তার নিকট গেলাম এবং তাঁরা যে সব কথা বলে দিয়ে আমাকে প্রেরণ করেছিলেন তা সব পৌছে দিলাম। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, উম্মে সালামাকে (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা কর। আমি সেখান থেকে বেরিয়ে যারা আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁদের কাছে এলাম এবং তাঁদেরকে আয়িশা (রাযিঃ) যা বলেছিলেন তা অবহিত করলাম। তারা আমাকে পূনরায় উম্মে সালামা (রাযিঃ) এর নিকট প্রেরণ করলেন, যেভাবে আমাকে পাঠিয়েছিলেন আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে।

(আমার বক্তব্য শুনে) উম্মে সালামা (রাযিঃ) বললেন, আমিও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ নামায নিষেধ করতে শুনেছি, পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ নামায আদায় করতে দেখেছি। যে দু’রাকআত নামায আদায় করেছিলেন (তার ব্যাপার এই) তিনি আসরের নামায আদায় করলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার হুজরায় প্রবেশ করলেন তখন আমার কাছে আনসারের বনী হারাম গোত্রের কতিপয় মহিলা বসাছিলেন। এরপর দু- রাকআত নামায আদায় করলেন। আমি দাসীকে তাঁর নিকট পাঠালাম এবং বলে দিলাম, তুমি তার পার্শ্বে দাঁড়াবে এবং তাঁকে বলবে ইয়া রাসুলাল্লাহ! উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেছেন যে, আপনাকে এ দু- রাক’আত হতে নিষেধ করতে শুনেছেন। অথচ এখন দেখছি আপনি সে দু’রাকআত আদায় করেছেন। তখন তিনি যদি হাত দ্বারা ইশারা করেন তাহলে পিছনে সরে দাঁড়াবে। উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন, দাসী তাই করল।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাত দ্বারা ইশারা করলেন। দাসী পিছনে সরে দাঁড়াল। নামায শেষ করে যখন বললেন, হে আবু উমাইয়ার কন্যা! তুমি আমাকে আসরের পরের দু’রাকআত নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছ? (ঘটনা হল) আমার নিকট আব্দুল কায়স গোত্রের কতিপয় লোক ইসলাম গ্রহণ করতে এসেছিল। তাদের সাথে ব্যস্ততার কারণে যোহরের পরের দু’ রাক’আত আদায় করতে পারিনি। এ হল সেই দু’রাকআত।
كتاب / باب فضائل القران وما يتعلق به
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، - وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ - عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ، بْنَ أَزْهَرَ وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَرْسَلُوهُ إِلَى عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا اقْرَأْ عَلَيْهَا السَّلاَمَ مِنَّا جَمِيعًا وَسَلْهَا عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ وَقُلْ إِنَّا أُخْبِرْنَا أَنَّكِ تُصَلِّينَهُمَا وَقَدْ بَلَغَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهُمَا . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَكُنْتُ أَصْرِفُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ النَّاسَ عَنْهَا . قَالَ كُرَيْبٌ فَدَخَلْتُ عَلَيْهَا وَبَلَّغْتُهَا مَا أَرْسَلُونِي بِهِ . فَقَالَتْ سَلْ أُمَّ سَلَمَةَ . فَخَرَجْتُ إِلَيْهِمْ فَأَخْبَرْتُهُمْ بِقَوْلِهَا فَرَدُّونِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ بِمِثْلِ مَا أَرْسَلُونِي بِهِ إِلَى عَائِشَةَ . فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْهُمَا ثُمَّ رَأَيْتُهُ يُصَلِّيهِمَا أَمَّا حِينَ صَلاَّهُمَا فَإِنَّهُ صَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ دَخَلَ وَعِنْدِي نِسْوَةٌ مِنْ بَنِي حَرَامٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَصَلاَّهُمَا فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ الْجَارِيَةَ فَقُلْتُ قُومِي بِجَنْبِهِ فَقُولِي لَهُ تَقُولُ أُمُّ سَلَمَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَسْمَعُكَ تَنْهَى عَنْ هَاتَيْنِ الرَّكْعَتَيْنِ وَأَرَاكَ تُصَلِّيهِمَا فَإِنْ أَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخِرِي عَنْهُ - قَالَ - فَفَعَلَتِ الْجَارِيَةُ فَأَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخَرَتْ عَنْهُ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ " يَا بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ سَأَلْتِ عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ إِنَّهُ أَتَانِي نَاسٌ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ بِالإِسْلاَمِ مِنْ قَوْمِهِمْ فَشَغَلُونِي عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ فَهُمَا هَاتَانِ " .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)