আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৭- কুরআনে কারীমের ফাযায়েল ও আদাব-মাসাঈল
হাদীস নং: ১৭৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৭
১৭. যে সকল ওয়াক্তে নামায আদায় করা নিষেধ
১৭৯৬। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আসরের পর কোন নামায নেই সূর্যাস্ত না হওয়া পর্যন্ত এবং ফজরের পর কোন নামায নেই সুর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ اللَّيْثِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ صَلاَةَ بَعْدَ صَلاَةِ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ صَلاَةِ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, সুবহে সাদেকের পরে সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত আর কোন নফল নামায পড়া যাবে না। অনুরূপভাবে আসরের নামাযের পরে সূর্য কিরণহীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আর কোন নফল নামায পড়া যাবে না। আর সূর্য কিরণহীন হয়ে পড়লে ঐ দিনের আসর ব্যতীত সব ধরণের নামায পড়াই নিষিদ্ধ। তবে সুবহে সাদেকের পরে সূর্য উদিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এবং আসরের পরে সূর্য কিরণহীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কাযা নামায আদায়ের সুযোগ রয়েছে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৭৫)


বর্ণনাকারী: