আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৬- মুসাফিরের নামায - কসর নামায
হাদীস নং: ১৭০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭৮৭
২৫. নামাযে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে কিংবা কুরআন তিলাওয়াত ও যিক্রে জিহ্বা জড়িয়ে যেতে লাগলে ঘুমিয়ে পড়া কিংবা বিশ্রাম নেয়ার আদেশ, যাতে তার তন্দ্রাভাব কেটে যায়
১৭০৯। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... হাম্মাম ইবনে মুনাব্বিহ (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এটি হল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আমাদের কাছে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন...... তিনি অনেক হাদীস উল্লেখ করেছেন, যার একটি এই, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন রাতে জেগে উঠে এবং কুরআন তার জিহ্বায় জড়িয়ে যেতে থাকে এবং কি বলছে তা বুঝতে পারে না, তখন সে যেন শুয়ে পড়ে।
باب أَمْرِ مَنْ نَعَسَ فِي صَلاَتِهِ أَوِ اسْتَعْجَمَ عَلَيْهِ الْقُرْآنُ أَوِ الذِّكْرُ بِأَنْ يَرْقُدَ أَوْ يَقْعُدَ حَتَّى يَذْهَبَ عَنْهُ ذَلِكَ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنَ اللَّيْلِ فَاسْتَعْجَمَ الْقُرْآنُ عَلَى لِسَانِهِ فَلَمْ يَدْرِ مَا يَقُولُ فَلْيَضْطَجِعْ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে নামায পড়া অবস্থায় ঘুমের চাপ দেখা দিলে শুয়ে পড়তে বলা হয়েছে। এর কারণ- যদি ঘুমের চাপ খুব বেশি দেখা দেয় এবং এমন তন্দ্রাগ্রস্ত হয়ে পড়ে যে, নিজের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, তখন নামায পড়তে থাকলে অনেক বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এক তো শারীরিক দুর্ঘটনা যে, তন্দ্রার প্রকোপে আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে এবং পড়ে গিয়ে কঠিন ব্যাথা পাবে। আরেক হচ্ছে ঈমান-আমল সম্পর্কিত দুর্ঘটনা। তন্দ্রাগ্রস্ত হয়ে পড়ার কারণে অনেক সময়ই বোধ-অনুভব এমন আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে যে, তখন কী বলা হয় নিজেই বুঝতে পারে না। বলতে চায় একটা, বলে ফেলে আরেকটা। নামাযে এমন হলে হয়তো সূরা পড়তে গিয়ে বলে ফেলবে অন্যকিছু, ইস্তিগফার করতে গিয়ে করে বসবে গালাগালি, আল্লাহর কাছে চাবে জান্নাত কিন্তু চেয়ে বসবে জাহান্নাম এবং চাওয়ার ইচ্ছা হিদায়াত কিন্তু চেয়ে ফেলবে গোমরাহী। এটা তো শারীরিক দুর্ঘটনা অপেক্ষাও বেশি বিপজ্জনক। এ কারণেই তন্দ্রা অবস্থায় সংক্ষেপে নামায শেষ করে শুয়ে পড়তে বলা হয়েছে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় নামায পড়া ঠিক নয়।
খ. নফল ইবাদতে এত বেশি বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়, যাতে শরীরের হক নষ্ট হয়। ঘুমও শরীরের একটা হক।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় নামায পড়া ঠিক নয়।
খ. নফল ইবাদতে এত বেশি বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়, যাতে শরীরের হক নষ্ট হয়। ঘুমও শরীরের একটা হক।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
