আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৬- মুসাফিরের নামায - কসর নামায
হাদীস নং: ১৬৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬১-২
১৮. কিয়ামে রমযান অর্থাৎ রমযান মাসে রাতের ইবাদত সম্পর্কে উৎসাহ দান
১৬৫৭। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মধ্য রাতে বেরিয়ে মসজিদে নামায আদায় করলেন। তখন একদল লোক তাঁর সঙ্গে নামায আদায় করল এবং সকালে লোকেরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করল। ফলে তাদের চাইতে অনেক বেশী লোক সমবেত হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দ্বিতীয় রাতে বের হলেন এবং লোকেরা তাঁর সঙ্গে নামায আদায় করল। এদিন সকালেও লোকেরা বিষয়টি আলোচনা করতে থাকল। এতে রাতে মসজিদের লোক সংখ্যা আরো বেশী হল। তখন নবী (ﷺ) বের হয়ে এলেন। লোকেরা তাঁর সঙ্গে নামায আদায় করল।
চতুর্থ রাতে মসজিদ লোকদের স্থান সংকুলানে অক্ষম হল। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদের কাছে বের হলেন না। তখন তাদের মাঝে কিছু লোক বলতে লাগল, নামায! নামায! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখনও তাদের কাছে বের হলেন না। অবশেষে ফজরের নামাযের জন্য বের হলেন। ফজরের নামায আদায় করার পরে লোকদের দিকে মুখ করলেন এবং তাশাহহুদ পাঠের পরে বললেন, আজ রাতে তোমাদের অবস্থা আমার কাছে গোপন থাকে নি। তবে আমার আশঙ্কা হয়েছিল যে, রাতের (তারাবীহ) নামায তোমাদের উপর ফরয হয়ে যায়; আর তোমরা তা পালনে অক্ষম হও।
চতুর্থ রাতে মসজিদ লোকদের স্থান সংকুলানে অক্ষম হল। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদের কাছে বের হলেন না। তখন তাদের মাঝে কিছু লোক বলতে লাগল, নামায! নামায! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখনও তাদের কাছে বের হলেন না। অবশেষে ফজরের নামাযের জন্য বের হলেন। ফজরের নামায আদায় করার পরে লোকদের দিকে মুখ করলেন এবং তাশাহহুদ পাঠের পরে বললেন, আজ রাতে তোমাদের অবস্থা আমার কাছে গোপন থাকে নি। তবে আমার আশঙ্কা হয়েছিল যে, রাতের (তারাবীহ) নামায তোমাদের উপর ফরয হয়ে যায়; আর তোমরা তা পালনে অক্ষম হও।
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَهُوَ التَّرَاوِيحُ
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ فَصَلَّى فِي الْمَسْجِدِ فَصَلَّى رِجَالٌ بِصَلاَتِهِ فَأَصْبَحَ النَّاسُ يَتَحَدَّثُونَ بِذَلِكَ فَاجْتَمَعَ أَكْثَرُ مِنْهُمْ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي اللَّيْلَةِ الثَّانِيَةِ فَصَلَّوْا بِصَلاَتِهِ فَأَصْبَحَ النَّاسُ يَذْكُرُونَ ذَلِكَ فَكَثُرَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ فَخَرَجَ فَصَلَّوْا بِصَلاَتِهِ فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الرَّابِعَةُ عَجَزَ الْمَسْجِدُ عَنْ أَهْلِهِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَطَفِقَ رِجَالٌ مِنْهُمْ يَقُولُونَ الصَّلاَةَ . فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى خَرَجَ لِصَلاَةِ الْفَجْرِ فَلَمَّا قَضَى الْفَجْرَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ ثُمَّ تَشَهَّدَ فَقَالَ " أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّهُ لَمْ يَخْفَ عَلَىَّ شَأْنُكُمُ اللَّيْلَةَ وَلَكِنِّي خَشِيتُ أَنْ تُفْرَضَ عَلَيْكُمْ صَلاَةُ اللَّيْلِ فَتَعْجِزُوا عَنْهَا " .
