আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
১০- জুমআর অধ্যায়
হাদীস নং: ৮৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৯০৭
৫৭২. জুমআর জন্য পায়ে হেঁটে চলা এবং আল্লাহর বাণীঃ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ “তোমরা আল্লাহর যিক্রের জন্য দৌড়িয়ে আস”।
যিনি বলেন, সাঈ (سعى)-এর অর্থ কাজ করা, গমন করা। কেননা, আল্লাহর বাণীঃ وَسَعَى لَهَا سَعْيَهَا এর অন্তর্গত سعى এর অর্থ হচ্ছে কাজ করা ।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, তখন (জুমআর আযানের পর) যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয় হারাম হয়ে যায় ।
আতা (রাহঃ) বলেন, শিল্প-কারিগরির যাবতীয় কাজই তখন নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
ইবরাহীম ইবনে সা’দ (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, জুমআর দিন যখন মুয়াযযিন আযান দেয় তখন মুসাফিরের জন্য জুমআর নামাযে হাযির হওয়া উচিত।
যিনি বলেন, সাঈ (سعى)-এর অর্থ কাজ করা, গমন করা। কেননা, আল্লাহর বাণীঃ وَسَعَى لَهَا سَعْيَهَا এর অন্তর্গত سعى এর অর্থ হচ্ছে কাজ করা ।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, তখন (জুমআর আযানের পর) যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয় হারাম হয়ে যায় ।
আতা (রাহঃ) বলেন, শিল্প-কারিগরির যাবতীয় কাজই তখন নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
ইবরাহীম ইবনে সা’দ (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, জুমআর দিন যখন মুয়াযযিন আযান দেয় তখন মুসাফিরের জন্য জুমআর নামাযে হাযির হওয়া উচিত।
৮৬১। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবায়া ইবনে রিফাআ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জুমআর নামাযে যাওয়ার সময় আবু আবস (রাযিঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাত হলে তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, যার দু’পা আল্লাহর পথে ধূলি ধূসরিত হয়, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন।
بَابُ المَشْيِ إِلَى الجُمُعَةِ وَقَوْلِ اللَّهِ جَلَّ ذِكْرُهُ: {فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ} [الجمعة: 9] وَمَنْ قَالَ: السَّعْيُ العَمَلُ وَالذَّهَابُ، لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَسَعَى لَهَا سَعْيَهَا} [الإسراء: 19] وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «يَحْرُمُ البَيْعُ حِينَئِذٍ» وَقَالَ عَطَاءٌ: «تَحْرُمُ الصِّنَاعَاتُ كُلُّهَا» وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ: «إِذَا أَذَّنَ المُؤَذِّنُ يَوْمَ الجُمُعَةِ وَهُوَ مُسَافِرٌ فَعَلَيْهِ أَنْ يَشْهَدَ»
907 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا الوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبَايَةُ بْنُ رِفَاعَةَ، قَالَ: أَدْرَكَنِي أَبُو عَبْسٍ وَأَنَا أَذْهَبُ إِلَى الجُمُعَةِ، فَقَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنِ اغْبَرَّتْ قَدَمَاهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَى النَّارِ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
জিহাদের ফযীলত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আল্লাহর পথে জিহাদ করতে গিয়ে শরীরে যে ধুলো লাগে, সে ধুলো ও জাহান্নামের ধোঁয়া কখনও একত্রিত হবে না। অর্থাৎ মুজাহিদ ব্যক্তিকে কখনও জাহান্নামের আগুন তো স্পর্শ করবেই না, এমনকি জাহান্নামের ধোঁয়াও তার গায়ে লাগবে না। সে জাহান্নাম থেকে বহু দূরে থাকবে।
প্রকাশ থাকে যে, আল্লাহর পথে জিহাদ বলতে আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করাকে বোঝায়। এ লড়াই যেমন মুখের দ্বারা হতে পারে, কলমের দ্বারা হতে পারে, তেমনি হতে পারে সশস্ত্র সংগ্রাম। এর প্রত্যেকটির জন্যই সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন আছে। সে নিয়ম-কানুনের অধীনে সংগ্রাম করলেই তা মহান জিহাদ নামে অভিহিত হওয়ার উপযুক্ত হবে, অন্যথায় নয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জাহান্নাম থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আমরা আপন সামর্থ্য অনুযায়ী আল্লাহর পথে জিহাদে রত থাকব, এমনকি সশস্ত্র সংগ্রামের জন্যও প্রস্তুত থাকব। এবং যখনই সে অবকাশ আসে, যথাযথ নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
প্রকাশ থাকে যে, আল্লাহর পথে জিহাদ বলতে আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করাকে বোঝায়। এ লড়াই যেমন মুখের দ্বারা হতে পারে, কলমের দ্বারা হতে পারে, তেমনি হতে পারে সশস্ত্র সংগ্রাম। এর প্রত্যেকটির জন্যই সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন আছে। সে নিয়ম-কানুনের অধীনে সংগ্রাম করলেই তা মহান জিহাদ নামে অভিহিত হওয়ার উপযুক্ত হবে, অন্যথায় নয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জাহান্নাম থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আমরা আপন সামর্থ্য অনুযায়ী আল্লাহর পথে জিহাদে রত থাকব, এমনকি সশস্ত্র সংগ্রামের জন্যও প্রস্তুত থাকব। এবং যখনই সে অবকাশ আসে, যথাযথ নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)


বর্ণনাকারী: