আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
হাদীস নং: ১৪৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮০-২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৫০. কাযা নামায আদায় এবং কাযার ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব
১৪৩৪। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে আমরা একবার শেষ রাত্রে ঘুমিয়ে পড়লাম। সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত আমরা জাগতে পারলাম না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা সকলেই নিজ সওয়ারীর মাথায় ধরে নিয়ে চল। কেননা এই মনযিলে আমাদের কাছে শয়তান এসে পড়েছে। বর্ণনাকারী বলেন,-আমরা তা-ই করলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পানি আনিয়ে উযু করলেন এবং দুটি সিজদা করলেন; আর ইয়াকুব বলেন, দু’রাকআত নামায আদায় করলেন। এরপর নামাযের ইকামত দেয়া হলো এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের নামায আদায় করলেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب قَضَاءِ الصَّلاَةِ الْفَائِتَةِ وَاسْتِحْبَابِ تَعْجِيلِ قَضَائِهَا
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ يَحْيَى، - قَالَ ابْنُ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ كَيْسَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ عَرَّسْنَا مَعَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ نَسْتَيْقِظْ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لِيَأْخُذْ كُلُّ رَجُلٍ بِرَأْسِ رَاحِلَتِهِ فَإِنَّ هَذَا مَنْزِلٌ حَضَرَنَا فِيهِ الشَّيْطَانُ " . قَالَ فَفَعَلْنَا ثُمَّ دَعَا بِالْمَاءِ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ - وَقَالَ يَعْقُوبُ ثُمَّ صَلَّى سَجْدَتَيْنِ - ثُمَّ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَصَلَّى الْغَدَاةَ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, রসূল স. সফরেও ফজরের ছুন্নাত পড়েছেন। হযরত আয়েশা রা. থেকে সহীহ সনদে আরো বর্ণিত আছে যে, রসূল স. সুস্থ বা অসুস্থ অবস্থায়, সফর বা মুকীম অবস্থায় এবং উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে যা ছাড়তেন না, তা-হলো ফজরের পূর্বের দু’রাকাত। (ইবনে আবী শাইবা-৩৯২৯) ইবনে উমার রা.-এর ব্যাপারে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, তিনি সফরেও ফজরের পূর্বের দু’রাকাত ছাড়তেন না। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ২/১৩১)