আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
হাদীস নং: ১১৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫৭৯-১
২১. নামাযে বসা ও দুই উরুর উপর দুই হাত রাখার নিয়ম
১১৮৫। মুহাম্মাদ ইবনে মা’মার ইবনে রিবঈ আল-কায়সী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন নামাযে বসতেন, বাম পা-খানি বিছিয়ে দিতেন। এবং বাম হাত বাম উরুর উপর ও ডান হাত খানি ডান উরুর উপর রাখতেন, আর আঙ্গুল (তর্জনী) দ্বারা ইশারা করতেন।
باب صِفَةِ الْجُلُوسِ فِي الصَّلاَةِ وَكَيْفِيَّةِ وَضْعِ الْيَدَيْنِ عَلَى الْفَخِذَيْنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرِ بْنِ رِبْعِيٍّ الْقَيْسِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الْمَخْزُومِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ، - وَهُوَ ابْنُ زِيَادٍ - حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنِي عَامِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَعَدَ فِي الصَّلاَةِ جَعَلَ قَدَمَهُ الْيُسْرَى بَيْنَ فَخِذِهِ وَسَاقِهِ وَفَرَشَ قَدَمَهُ الْيُمْنَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُسْرَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَأَشَارَ بِإِصْبَعِهِ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাশাহহুদের সময় শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতে হবে।
ফায়দা : ইশারা কখন করতে হবে এ ব্যাপারে হানাফী মাযহাবের গবেষক ইমামগণ বলেছেন যে, يَرْفَعُهَا عِنْدَ النَّفْيِ وَيَضَعُهَا عِنْدَ الْإِثْبَاتِ. নফী তথা لاَ إِلَهَ বলার সময় উঠাবে। আর ইসবাত তথা إِلَّا الله বলার সময় নামাবে। (শামী: ১/৫০৯) আল্লামা নববী রহ. শাফেয়ী মাযহাবের আমল হিসেবেও প্রায় অনুরূপ পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। (শরহু মুসলিম: ১১৮৫ নম্বর হাদীসের ব্যাখ্যায়, ‘সালাতে বসা ও দুই উরুর উপর দুই হাত রাখার নিয়ম’ অধ্যায়)
ফায়দা : ইশারা কখন করতে হবে এ ব্যাপারে হানাফী মাযহাবের গবেষক ইমামগণ বলেছেন যে, يَرْفَعُهَا عِنْدَ النَّفْيِ وَيَضَعُهَا عِنْدَ الْإِثْبَاتِ. নফী তথা لاَ إِلَهَ বলার সময় উঠাবে। আর ইসবাত তথা إِلَّا الله বলার সময় নামাবে। (শামী: ১/৫০৯) আল্লামা নববী রহ. শাফেয়ী মাযহাবের আমল হিসেবেও প্রায় অনুরূপ পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। (শরহু মুসলিম: ১১৮৫ নম্বর হাদীসের ব্যাখ্যায়, ‘সালাতে বসা ও দুই উরুর উপর দুই হাত রাখার নিয়ম’ অধ্যায়)
