আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা

হাদীস নং: ১১৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৪ -
১৭. রসুন-পিয়াজ, মূলা ইত্যাদি দুর্গন্ধ যুক্ত দ্রব্য খাওয়ার পর মুখে থেকে দুর্গন্ধ দূর না হওয়া পর্যন্ত মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ এবং এরূপ ব্যক্তিকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ
১১৩৭। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... ইবনে জুরায়জ (রাযিঃ) থেকে উক্ত সনদে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই উদ্ভিদ অর্থাৎ রসুন খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদে না আসে। এই রিওয়ায়াতে পিঁয়াজ ও কুররাছের কথা উল্লেখ নেই।
باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالاَ جَمِيعًا أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ " مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ - يُرِيدُ الثُّومَ - فَلاَ يَغْشَنَا فِي مَسْجِدِنَا " . وَلَمْ يَذْكُرِ الْبَصَلَ وَالْكُرَّاثَ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, পিঁয়াজ-রসুন খেয়ে মাসজিদে আসা যাবে না। অবশ্য এ নিষেধাজ্ঞা শুধু উক্ত দ্রব্যদ্বয়ের সাথে সীমাবদ্ধ নয়। বরং মুখের দুর্গন্ধে মানুষ ও ফেরেশতারা কষ্ট পায় এমন যে কোন জিনিসের ব্যাপারেই এ হুকুম প্রযোজ্য হবে। কারণ মূল উদ্দেশ্য হলো মুসলমান এবং মসজিদের ফেরেশতা কষ্ট পায় এমন কাজ থেকে বেঁচে থাকা। যেমনটি বর্ণিত হয়েছে মুসলিম শরীফ-১১৩৪ নাম্বার হাদীসে। সুতরাং বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা, গুল বা এ জাতীয় কোন জিনিস ব্যবহার করা অথবা গুরম্নত্ব সহকারে মেসওয়াক ব্যবহার না করা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে যা মানুষের জন্য পীড়াদায়ক হয় সবই এ হুকুমের আওতাভুক্ত। রসূলুল্লাহ স.-এর উদ্দেশ্য এটা নয় যে, কেউ এগুলো ব্যবহার করবে, আর মাসজিদ ছেড়ে দিবে। বরং উদ্দেশ্য হলো মাসজিদে নিয়মিত আসবে। আর যে সব জিনিসের দ্বারা মানুষ কষ্ট পায় তা ছেড়ে দিবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সহীহ মুসলিম - হাদীস নং ১১৩৭ | মুসলিম বাংলা