আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৯- আযান-ইকামতের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৮৫৯
৫৫২. শিশুদের উযু করা, কখন তাদের উপর গোসল ও পবিত্রতা অর্জন ওয়াজিব হয় এবং নামাযের জামাআতে, দু’ঈদে এবং জানাযায় তাদের হাযির হওয়া এবং কাতারবন্দী হওয়া।
৮১৭। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এক রাতে আমার খালা (উম্মুল মু’মিনীন) মাইমূনা (রাযিঃ) এর কাছে রাত্র কাটালাম। সে রাতে নবী (ﷺ)-ও সেখানে নিদ্রা যান। রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হলে তিনি উঠলেন এবং একটি ঝুলন্ত মশক থেকে পানি নিয়ে হালকা উযু করলেন। আমর (বর্ণনাকারী) এটাকে হালকা এবং অতি কম বুঝলেন। এরপর তিনি নামাযে দাঁড়ালেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমি উঠে তাঁর মতই সংক্ষিপ্ত উযু করলাম, এরপর এসে নবী (ﷺ) এর বামপাশে দাঁড়িয়ে গেলাম। তখন তিনি আমাকে ঘুরিয়ে তাঁর ডানপাশে করে দিলেন। এরপর যতক্ষণ আল্লাহর ইচ্ছা নামায আদায় করলেন, এরপর বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। এমনকি শ্বাস- প্রশ্বাসের আওয়াজ হতে লাগল, এরপর মুআয্‌যিন এসে নামাযের কথা জানালে তিনি উঠে তাঁর নামাযের জন্য চলে গেলেন এবং নামায আদায় করলেন। কিন্তু (নতুন) উযু করলেন না।
সূফিয়ান (রাহঃ) বলেন, আমি আমর (রাহঃ) কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, লোকজন বলে থাকেন, নবী (ﷺ) এর চোখ নিদ্রায় যেত কিন্তু তাঁর কালব (হৃদয়) জাগ্রত থাকত। আমর (রাহঃ) বললেন, উবাইদ ইবনে উমাইর (রাহঃ) কে আমি বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয়ই নবীগণের স্বপ্ন ওহী। তারপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ (إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ) (ইবরাহীম আ. ইসমাঈল আ. কে বললেন) আমি স্বপ্নে দেখলাম, তোমাকে কুরবানী করছি...... (৩৭ঃ ১০২)।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন