আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৮৫৫
৫৫১. কাঁচা রসুন, পিয়াজ ও দুর্গন্ধযুক্ত মশলা বা তরকারী।
৮১৩। সাঈদ ইবনে উফাইর (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রসুন অথবা পিয়াজ খায় সে যেন আমাদের থেকে দূরে থাকে অথবা বলেছেন, সে যেন আমাদের মসজিদ থেকে দূরে থাকে আর নিজ ঘরে বসে থাকে।
(উক্ত সনদে আরও বর্ণিত আছে যে,) নবী (ﷺ) এর কাছে একটি পাত্র যার মধ্যে শাক-সবজী ছিল আনা হল। নবী (ﷺ) এর গন্ধ পেলেন এবং এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন, তখন তাঁকে সে পাত্রে রক্ষিত শাক-সবজী সম্পর্কে অবহিত করা হল, তখন একজন সাহাবী [আবু আইয়ুব (রাযিঃ)] কে উদ্দেশ্য করে বললেন, তাঁর কাছে এগুলো পৌঁছিয়ে দাও। কিন্তু তিনি তা খেতে অপছন্দ মনে করলেন, এ দেখে নবী (ﷺ) বললেনঃ তুমি খাও। আমি যার সাথে গোপন আলাপ করি তাঁর সাথে তুমি আলাপ কর না (ফিরিশতার সাথে আমার আলাপ হয় তাঁরা দুর্গন্ধ অপছন্দ করেন)।
আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) ইবনে ওয়াহাব (রাহঃ) থেকে বলেছেন, أُتِيَ بِبَدْرٍ। ইবনে ওয়াহব এর অর্থ বলেছেন, খাঞ্চা যার মধ্যে শাক-সবজী ছিল। আর লাইস ও আবু সাফওয়ান (রাহঃ) ইউনুস (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত বর্ণনায় قدر এর বর্ণনা উল্লেখ করেন নি। (ইমাম বুখারি (রাহঃ) বলেন)قدر এর বর্ণনা যুহরী (রাহঃ) এর উক্তি, না হাদীসের অংশ তা আমি বলতে পারছি না।
(উক্ত সনদে আরও বর্ণিত আছে যে,) নবী (ﷺ) এর কাছে একটি পাত্র যার মধ্যে শাক-সবজী ছিল আনা হল। নবী (ﷺ) এর গন্ধ পেলেন এবং এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন, তখন তাঁকে সে পাত্রে রক্ষিত শাক-সবজী সম্পর্কে অবহিত করা হল, তখন একজন সাহাবী [আবু আইয়ুব (রাযিঃ)] কে উদ্দেশ্য করে বললেন, তাঁর কাছে এগুলো পৌঁছিয়ে দাও। কিন্তু তিনি তা খেতে অপছন্দ মনে করলেন, এ দেখে নবী (ﷺ) বললেনঃ তুমি খাও। আমি যার সাথে গোপন আলাপ করি তাঁর সাথে তুমি আলাপ কর না (ফিরিশতার সাথে আমার আলাপ হয় তাঁরা দুর্গন্ধ অপছন্দ করেন)।
আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) ইবনে ওয়াহাব (রাহঃ) থেকে বলেছেন, أُتِيَ بِبَدْرٍ। ইবনে ওয়াহব এর অর্থ বলেছেন, খাঞ্চা যার মধ্যে শাক-সবজী ছিল। আর লাইস ও আবু সাফওয়ান (রাহঃ) ইউনুস (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত বর্ণনায় قدر এর বর্ণনা উল্লেখ করেন নি। (ইমাম বুখারি (রাহঃ) বলেন)قدر এর বর্ণনা যুহরী (রাহঃ) এর উক্তি, না হাদীসের অংশ তা আমি বলতে পারছি না।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, পিঁয়াজ-রসুন খেয়ে মাসজিদে আসা যাবে না। অবশ্য এ নিষেধাজ্ঞা শুধু উক্ত দ্রব্যদ্বয়ের সাথে সীমাবদ্ধ নয়। বরং মুখের দুর্গন্ধে মানুষ ও ফেরেশতারা কষ্ট পায় এমন যে কোন জিনিসের ব্যাপারেই এ হুকুম প্রযোজ্য হবে। কারণ মূল উদ্দেশ্য হলো মুসলমান এবং মসজিদের ফেরেশতা কষ্ট পায় এমন কাজ থেকে বেঁচে থাকা। যেমনটি বর্ণিত হয়েছে মুসলিম শরীফ-১১৩৪ নাম্বার হাদীসে। সুতরাং বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা, গুল বা এ জাতীয় কোন জিনিস ব্যবহার করা অথবা গুরম্নত্ব সহকারে মেসওয়াক ব্যবহার না করা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে যা মানুষের জন্য পীড়াদায়ক হয় সবই এ হুকুমের আওতাভুক্ত। রসূলুল্লাহ স.-এর উদ্দেশ্য এটা নয় যে, কেউ এগুলো ব্যবহার করবে, আর মাসজিদ ছেড়ে দিবে। বরং উদ্দেশ্য হলো মাসজিদে নিয়মিত আসবে। আর যে সব জিনিসের দ্বারা মানুষ কষ্ট পায় তা ছেড়ে দিবে।
