আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
হাদীস নং: ১০৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৪-১
৫. রুকুর সময় দুই হাত হাঁটুতে রাখা উত্তম হওয়া এবং তাতবীক রহিত হওয়া
১০৭৪। মুহাম্মাদ ইবনুল আলা আল-হামদানী, আবু কুবায়র (রাহঃ) ......... আসওয়াদ ও আলকামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেন, আমরা দু’জনে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-এর বাসগৃহে উপস্থিত হলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের পিছনে যারা রয়েছে (অর্থাৎ শাসকগণ) তারা কি নামায আদায় করেছেন? আমরা বললাম, না। তিনি বললেন, তাহলে ওঠ এবং নামায আদায় কর (কেননা, নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেছে এবং আমীর ও শাসকদের অপেক্ষায় নামায আদায়ে বিলম্ব করা যায় না) তিনি আমাদের আযান ও ইকামতের আদেশ দিলেন না। আমরা তাঁর পিছনে দাঁড়াতে চাইলাম, তিনি আমাদের এক জনকে হাত ধরে ডান দিকে এনে দাঁড় করালেন এবং অন্য জনকে বাম দিকে। যখন তিনি রুকু করলেন, আমরা আমাদের দুই হাত হাটূর উপর রাখলাম। তিনি আমাদের হাত ধরে এবং হাতের দুই তালু জোড় করে দুই উরুর মাঝখানে রাখলেন।
নামায শেষে বললেন, অচিরেই তোমাদের মধ্যে এমন এমন অমীরের আবির্ভাব ঘটবে যারা নামাযকে তার ওয়াক্ত হতে দেরী করে পড়বেন এবং (আসরের) নামাযকে এরূপ দেরী করে পড়বে যে, সূর্য অস্ত যাওয়ার উপক্রম হবে। অতএব, তোমরা যখন তাদের এরূপ করতে দেখবে তখন তোমরাও ওয়াক্তের ভিতরে নামায আদায় করে নিবে। তারপর তাঁদের সাথে দ্বিতীয়বার নফল হিসাবে পড়বে। আর তোমরা যখন তিনজন হবে, তখন সবাই মিলে নামায আদায় করবে (অর্থাৎ সবাই এক কাতারে দাঁড়াবে এবং ইমাম মাঝখানে থাকবে)। যখন তিনের অধিক হবে, তখন একজনকে ইমাম বানিয়ে নিবে (এবং তিনি সামনে দাঁড়াবেন)। আর যখন রুকু করবে, তখন দুই হাত উরুর উপর রেখে ঝুঁকে পড়বে এবং দুই হাতের তালূ জোড় করে (দুই উরুর মাঝে) রাখবে আমি যেন এখনও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এক হাতের আঙ্গুলগুলো আরেক হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঢুকতে দেখতে পাচ্ছি।* এই বলে তাদের দেখালেন।
নামায শেষে বললেন, অচিরেই তোমাদের মধ্যে এমন এমন অমীরের আবির্ভাব ঘটবে যারা নামাযকে তার ওয়াক্ত হতে দেরী করে পড়বেন এবং (আসরের) নামাযকে এরূপ দেরী করে পড়বে যে, সূর্য অস্ত যাওয়ার উপক্রম হবে। অতএব, তোমরা যখন তাদের এরূপ করতে দেখবে তখন তোমরাও ওয়াক্তের ভিতরে নামায আদায় করে নিবে। তারপর তাঁদের সাথে দ্বিতীয়বার নফল হিসাবে পড়বে। আর তোমরা যখন তিনজন হবে, তখন সবাই মিলে নামায আদায় করবে (অর্থাৎ সবাই এক কাতারে দাঁড়াবে এবং ইমাম মাঝখানে থাকবে)। যখন তিনের অধিক হবে, তখন একজনকে ইমাম বানিয়ে নিবে (এবং তিনি সামনে দাঁড়াবেন)। আর যখন রুকু করবে, তখন দুই হাত উরুর উপর রেখে ঝুঁকে পড়বে এবং দুই হাতের তালূ জোড় করে (দুই উরুর মাঝে) রাখবে আমি যেন এখনও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এক হাতের আঙ্গুলগুলো আরেক হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঢুকতে দেখতে পাচ্ছি।* এই বলে তাদের দেখালেন।
باب النَّدْبِ إِلَى وَضْعِ الأَيْدِي عَلَى الرُّكَبِ فِي الرُّكُوعِ وَنَسْخِ التَّطْبِيقِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ أَبُو كُرَيْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، وَعَلْقَمَةَ، قَالاَ أَتَيْنَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ فِي دَارِهِ فَقَالَ أَصَلَّى هَؤُلاَءِ خَلْفَكُمْ فَقُلْنَا لاَ . قَالَ فَقُومُوا فَصَلُّوا . فَلَمْ يَأْمُرْنَا بِأَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ - قَالَ - وَذَهَبْنَا لِنَقُومَ خَلْفَهُ فَأَخَذَ بِأَيْدِينَا فَجَعَلَ أَحَدَنَا عَنْ يَمِينِهِ وَالآخَرَ عَنْ شِمَالِهِ - قَالَ - فَلَمَّا رَكَعَ وَضَعْنَا أَيْدِيَنَا عَلَى رُكَبِنَا - قَالَ - فَضَرَبَ أَيْدِيَنَا وَطَبَّقَ بَيْنَ كَفَّيْهِ ثُمَّ أَدْخَلَهُمَا بَيْنَ فَخِذَيْهِ - قَالَ - فَلَمَّا صَلَّى قَالَ إِنَّهُ سَتَكُونُ عَلَيْكُمْ أُمَرَاءُ يُؤَخِّرُونَ الصَّلاَةَ عَنْ مِيقَاتِهَا وَيَخْنُقُونَهَا إِلَى شَرَقِ الْمَوْتَى فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمْ قَدْ فَعَلُوا ذَلِكَ فَصَلُّوا الصَّلاَةَ لِمِيقَاتِهَا وَاجْعَلُوا صَلاَتَكُمْ مَعَهُمْ سُبْحَةً وَإِذَا كُنْتُمْ ثَلاَثَةً فَصَلُّوا جَمِيعًا وَإِذَا كُنْتُمْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ فَلْيَؤُمَّكُمْ أَحَدُكُمْ وَإِذَا رَكَعَ أَحَدُكُمْ فَلْيَفْرِشْ ذِرَاعَيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ وَلْيَجْنَأْ وَلْيُطَبِّقْ بَيْنَ كَفَّيْهِ فَلَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى اخْتِلاَفِ أَصَابِعِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَرَاهُمْ .
