আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৯
৫৩৭. যারা প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ ওয়াজিব নয় বলে মনে করেন। কেননা, নবী (ﷺ) দু’ রাক'আত শেষে (তাশাহহুদ না পড়ে) দাঁড়ালেন এবং আর (বসার জন্য) ফেরেননি।
৭৯১। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... বনু আব্দুল মুত্তালিবের আযাদকৃত দাস এবং রাবী কোন সময়ে বলেছেন রবীআ ইবনে হারিসের আযাদকৃত দাস, আব্দুর রহমান ইবনে হুরমুয (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, বনু আব্দ মানাফের বন্ধু গোত্র আযদ শানুআর লোক আব্দুল্লাহ ইবনে বুহাইনা (রাযিঃ) যিনি নবী (ﷺ) এর সাহাবীগণের অন্যতম। তিনি বলেছেন, নবী (ﷺ) তাঁদের নিয়ে যোহরের নামায আদায় করলেন। তিনি প্রথম দু’ রাক'আত পড়ার পর না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। মুক্তাদীগণ তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে গেলেন। এভাবে নামাযের শেষভাগে মুক্তাদীগণ সালামের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু নবী (ﷺ) বসাবস্থায় তাকবীর বললেন এবং সালাম ফিরানের পূর্বে দু’বার সিজদা করলেন, পরে সালাম ফিরালেন।*
*ইমাম বুখারী (রাহঃ) হাদীসের ইমাম, ফিকহ-এর ইমাম নন। যে কারণে তিনি যা বুঝাতে চাচ্ছেন, বাস্তবে গবেষণার চোখে তার বিপরীতটিই বুঝা যাচ্ছে । কেননা, আলোচ্য হাদীসের বাস্তবতা হচ্ছে, মহানবী (ﷺ) ভুলবশত প্রথম বৈঠক না করে দাঁড়িয়ে গেছেন। যে কারণে তিনি ভুলের সিজদাও করেছেন। আর ভুলের সিজদা করতে হয় করণীয় ওয়াজিব ছুটে গেলে। সুতরাং এটাই প্রমাণ যে, প্রথম বৈঠকে বসা (তাশাহহুদ পাঠ করা) ওয়াজিব। নতুবা তিনি ভুলের সিজদা করতেন না। কারণ, সুন্নত কর্ম বাদ পড়ায় সিজদা সাহু জরুরী হয় না।
*ইমাম বুখারী (রাহঃ) হাদীসের ইমাম, ফিকহ-এর ইমাম নন। যে কারণে তিনি যা বুঝাতে চাচ্ছেন, বাস্তবে গবেষণার চোখে তার বিপরীতটিই বুঝা যাচ্ছে । কেননা, আলোচ্য হাদীসের বাস্তবতা হচ্ছে, মহানবী (ﷺ) ভুলবশত প্রথম বৈঠক না করে দাঁড়িয়ে গেছেন। যে কারণে তিনি ভুলের সিজদাও করেছেন। আর ভুলের সিজদা করতে হয় করণীয় ওয়াজিব ছুটে গেলে। সুতরাং এটাই প্রমাণ যে, প্রথম বৈঠকে বসা (তাশাহহুদ পাঠ করা) ওয়াজিব। নতুবা তিনি ভুলের সিজদা করতেন না। কারণ, সুন্নত কর্ম বাদ পড়ায় সিজদা সাহু জরুরী হয় না।
