আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৪- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৮১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৫ - ১
২০. তাকবীর ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ইমামের অগ্রগামী হওয়া নিষেধ
৮১৭। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও ইবনে খাশরাম (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের তালিম দিতেন এবং বলতেন যে, তোমরা ইমামের থেকে আগে বেড়ে যেও না। তিনি তাকবীর বললে তোমরা তাকবীর বলবে। তিনি وَلاَ الضَّالِّينَ বললে তোমরা آمِينَ বলবে। তিনি রুকু করলে তোমরাও রুকু করবে। তিনি سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বললে তোমরা اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে।
باب النَّهْىِ عَنْ مُبَادَرَةِ الإِمَامِ، بِالتَّكْبِيرِ وَغَيْرِهِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ، خَشْرَمٍ قَالاَ أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُنَا يَقُولُ " لاَ تُبَادِرُوا الإِمَامَ إِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا قَالَ وَلاَ الضَّالِّينَ . فَقُولُوا آمِينَ . وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ . فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, মুক্তাদী প্রত্যেকটি কাজ ইমামের পরে করবে। এ বিষয়টি আরো স্পষ্টভাবে সহীহ সনদে হযরত আবু মুসা আশআরী রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রসূল স. ইরশাদ করেন: فَإِنَّ الْإِمَامَ يَرْكَعُ قَبْلَكُمْ، وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ، ইমাম তোমাদের পূর্বে রুকু করবে এবং তোমাদের পূর্বে মাথা উঠাবে। (মুসলিম-৭৮৯)
এ হাদীস থেকে আরো বুঝে আসে যে, ইমামের পূর্বে কেউ তাকবীরে তাহরীমা বলে নামায শুরু করে দিলে ইমামের সাথে তার ইক্তিদাও সহীহ হবেনা আর নামাযও সহীহ হবেনা। হযরত সাওরী রহ. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, إِذَا كَبَّرَ الرَّجُلُ قَبْلَ الْإِمَامِ فَلْيُعِدِ التَّكْبِيرَ، فَإِنْ لَمْ يُعِدْ حَتَّى يَقْضِيَ الصَّلَاةَ فَلْيُعِدِ الصَّلَاةَ যদি কোন ব্যক্তি ইমামের পূর্বে তাকবীর বলে সে যেন পুনরায় তাকবীর বলে। যদি সে পুনরায় তাকবীর না বলে নামায আদায় করে ফেলে, তাহলে সে যেন নামায পুনরায় আদায় করে নেয়। (আব্দুর রাযযাক: ২৫৪৮) হযরত সুফিয়ান সাওরী রহ.-এর ফতওয়া থেকেও পূর্বোক্ত হাদীসে বর্ণিত বিষয়ের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৮০) বস্তুত আমি নামাযে যার ইক্তেদা করবো তার নামায এখনো শুরুই হয়নি তাহলে আমি কার ইক্তিদা করছি? তবে এ কথার অর্থ এটা নয় যে, ইমামের তাকবীরের পরে মুক্তাদী দেরি করে তাকবীর দিবে। বরং উত্তম হলো দেরি না করে ইমামের তাকবীরের পরপরই তাকবীর বলা।
এ হাদীস থেকে আরো বুঝে আসে যে, ইমামের পূর্বে কেউ তাকবীরে তাহরীমা বলে নামায শুরু করে দিলে ইমামের সাথে তার ইক্তিদাও সহীহ হবেনা আর নামাযও সহীহ হবেনা। হযরত সাওরী রহ. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, إِذَا كَبَّرَ الرَّجُلُ قَبْلَ الْإِمَامِ فَلْيُعِدِ التَّكْبِيرَ، فَإِنْ لَمْ يُعِدْ حَتَّى يَقْضِيَ الصَّلَاةَ فَلْيُعِدِ الصَّلَاةَ যদি কোন ব্যক্তি ইমামের পূর্বে তাকবীর বলে সে যেন পুনরায় তাকবীর বলে। যদি সে পুনরায় তাকবীর না বলে নামায আদায় করে ফেলে, তাহলে সে যেন নামায পুনরায় আদায় করে নেয়। (আব্দুর রাযযাক: ২৫৪৮) হযরত সুফিয়ান সাওরী রহ.-এর ফতওয়া থেকেও পূর্বোক্ত হাদীসে বর্ণিত বিষয়ের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৮০) বস্তুত আমি নামাযে যার ইক্তেদা করবো তার নামায এখনো শুরুই হয়নি তাহলে আমি কার ইক্তিদা করছি? তবে এ কথার অর্থ এটা নয় যে, ইমামের তাকবীরের পরে মুক্তাদী দেরি করে তাকবীর দিবে। বরং উত্তম হলো দেরি না করে ইমামের তাকবীরের পরপরই তাকবীর বলা।
