আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২- ইলমের অধ্যায়
হাদীস নং: ৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭৮
৬১. ইলম হাসিলের জন্য বের হওয়া।
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) একটি মাত্র হাদীসের জন্য আব্দুল্লাহ্ ইবনে উনায়স (রাযিঃ) এর কাছে এক মাসের পথ সফর করে গিয়েছিলেন।
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) একটি মাত্র হাদীসের জন্য আব্দুল্লাহ্ ইবনে উনায়স (রাযিঃ) এর কাছে এক মাসের পথ সফর করে গিয়েছিলেন।
৭৮। হিমস নগরের কাযী আবুল কাসিম খালিদ ইবনে খালীয়্যি (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, একবার তিনি এবং হুর ইবনে কায়স ইবনে আল ফাযারী মুসা (আলাইহিস সালাম) এর সঙ্গীর ব্যাপারে বাদানুবাদ করছিলেন। তখন উবাঈ ইবনে কা’ব (রাযিঃ) তাঁদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) তাঁকে ডেকে বললেনঃ আমি ও আমার এ ভাই মতবিরোধ পোষণ করছি মুসা (আলাইহিস সালাম) এর সেই সঙ্গীর ব্যাপারে যাঁর সাথে সাক্ষাত করার জন্য মুসা (আলাইহিস সালাম) আল্লাহর কাছে পথের সন্ধান চেয়েছিলেন—আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে তাঁর সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন?
উবাঈ (রাযিঃ) বললেন, হ্যাঁ, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে তাঁর প্রসঙ্গে বলতে শুনেছি যে, একবার মুসা (আলাইহিস সালাম) বনী ইসরাঈলের কোন এক মজলিসে হাজির ছিলেন। তখন তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, আপনি কাউকে আপনার চেয়ে অধিক জ্ঞানী বলে জানেন কি?’ মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, না। তখন আল্লাহ্ তাআলা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে ওহী পাঠালেনঃ হ্যাঁ, আমার বান্দা খিয্র। এরপর তিনি তাঁর সাথে সাক্ষাত করার রাস্তা জানতে চাইলেন। আল্লাহ্ তাআলা মাছকে তার জন্য নিশানা বানিয়ে দিলেন এবং তাঁকে বলা হল, তুমি যখন মাছটি হারিয়ে ফেলবে তখন তুমি প্রত্যাবর্তন করবে। তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তুমি তাঁর সাক্ষাত পাবে। তিনি সমুদ্রে সে মাছের নিশানা অনুসরণ করতে লাগলেন। যা হোক, মুসা (আলাইহিস সালাম)-কে তাঁর সঙ্গী যুবক বললেন, (পবিত্র কুরআনের ভাষায়ঃ)
أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَا إِلَى الصَّخْرَةِ فَإِنِّي نَسِيتُ الْحُوتَ وَمَا أَنْسَانِيهِ إِلَّا الشَّيْطَانُ أَنْ أَذْكُرَهُ
“আপনি কি লক্ষ্য করেছেন আমরা যখন পাথরের কাছে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম তখন আমি মাছের কথা (বলতে) ভুলে গিয়েছিলাম।আর শয়তান তার কথা আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল।” (১৮ : ৬৩)। ......... মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ
ذَلِكَ مَا كُنَّا نَبْغِي فَارْتَدَّا عَلَى آثَارِهِمَا قَصَصًا
“আমরা সে স্থানটির অনুসন্ধান করছিলাম (১৮ : ৬৪)।
তারপর তাঁরা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চললেন। শেষে তাঁরা খিয্র (আলাইহিস সালাম)-কে পেয়ে গেলেন। তাঁদের (পরবর্তী) ঘটনা আল্লাহ্ তাআলা তাঁর কিতাবে বর্ণনা করেছেন।
উবাঈ (রাযিঃ) বললেন, হ্যাঁ, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে তাঁর প্রসঙ্গে বলতে শুনেছি যে, একবার মুসা (আলাইহিস সালাম) বনী ইসরাঈলের কোন এক মজলিসে হাজির ছিলেন। তখন তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, আপনি কাউকে আপনার চেয়ে অধিক জ্ঞানী বলে জানেন কি?’ মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, না। তখন আল্লাহ্ তাআলা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে ওহী পাঠালেনঃ হ্যাঁ, আমার বান্দা খিয্র। এরপর তিনি তাঁর সাথে সাক্ষাত করার রাস্তা জানতে চাইলেন। আল্লাহ্ তাআলা মাছকে তার জন্য নিশানা বানিয়ে দিলেন এবং তাঁকে বলা হল, তুমি যখন মাছটি হারিয়ে ফেলবে তখন তুমি প্রত্যাবর্তন করবে। তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যেই তুমি তাঁর সাক্ষাত পাবে। তিনি সমুদ্রে সে মাছের নিশানা অনুসরণ করতে লাগলেন। যা হোক, মুসা (আলাইহিস সালাম)-কে তাঁর সঙ্গী যুবক বললেন, (পবিত্র কুরআনের ভাষায়ঃ)
أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَا إِلَى الصَّخْرَةِ فَإِنِّي نَسِيتُ الْحُوتَ وَمَا أَنْسَانِيهِ إِلَّا الشَّيْطَانُ أَنْ أَذْكُرَهُ
“আপনি কি লক্ষ্য করেছেন আমরা যখন পাথরের কাছে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম তখন আমি মাছের কথা (বলতে) ভুলে গিয়েছিলাম।আর শয়তান তার কথা আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল।” (১৮ : ৬৩)। ......... মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ
ذَلِكَ مَا كُنَّا نَبْغِي فَارْتَدَّا عَلَى آثَارِهِمَا قَصَصًا
“আমরা সে স্থানটির অনুসন্ধান করছিলাম (১৮ : ৬৪)।
তারপর তাঁরা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চললেন। শেষে তাঁরা খিয্র (আলাইহিস সালাম)-কে পেয়ে গেলেন। তাঁদের (পরবর্তী) ঘটনা আল্লাহ্ তাআলা তাঁর কিতাবে বর্ণনা করেছেন।
باب الْخُرُوجِ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ وَرَحَلَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ فِي حَدِيثٍ وَاحِدٍ
حَدَّثَنَا أَبُو الْقَاسِمِ، خَالِدُ بْنُ خَلِيٍّ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ قَالَ الأَوْزَاعِيُّ أَخْبَرَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ تَمَارَى هُوَ وَالْحُرُّ بْنُ قَيْسِ بْنِ حِصْنٍ الْفَزَارِيُّ فِي صَاحِبِ مُوسَى، فَمَرَّ بِهِمَا أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ، فَدَعَاهُ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَالَ إِنِّي تَمَارَيْتُ أَنَا وَصَاحِبِي هَذَا فِي صَاحِبِ مُوسَى الَّذِي سَأَلَ السَّبِيلَ إِلَى لُقِيِّهِ، هَلْ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ شَأْنَهُ فَقَالَ أُبَىٌّ نَعَمْ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ شَأْنَهُ يَقُولُ " بَيْنَمَا مُوسَى فِي مَلإٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ أَتَعْلَمُ أَحَدًا أَعْلَمَ مِنْكَ قَالَ مُوسَى لاَ. فَأَوْحَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى مُوسَى بَلَى، عَبْدُنَا خَضِرٌ، فَسَأَلَ السَّبِيلَ إِلَى لُقِيِّهِ، فَجَعَلَ اللَّهُ لَهُ الْحُوتَ آيَةً، وَقِيلَ لَهُ إِذَا فَقَدْتَ الْحُوتَ فَارْجِعْ، فَإِنَّكَ سَتَلْقَاهُ، فَكَانَ مُوسَى صلى الله عليه وسلم يَتَّبِعُ أَثَرَ الْحُوتِ فِي الْبَحْرِ. فَقَالَ فَتَى مُوسَى لِمُوسَى أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَا إِلَى الصَّخْرَةِ فَإِنِّي نَسِيتُ الْحُوتَ، وَمَا أَنْسَانِيهِ إِلاَّ الشَّيْطَانُ أَنْ أَذْكُرَهُ. قَالَ مُوسَى ذَلِكَ مَا كُنَّا نَبْغِي. فَارْتَدَّا عَلَى آثَارِهِمَا قَصَصًا، فَوَجَدَا خَضِرًا، فَكَانَ مِنْ شَأْنِهِمَا مَا قَصَّ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ ".
