৭০৫। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... শাকীক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি একবার আব্দুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) ও আবু মুসা (রাযিঃ) এর কাছে বসেছিলাম। তখন আবু মুসা (রাযিঃ) বললেন, হে আবু আব্দুর রহমান! কোন ব্যক্তি যদি জানাবাতওয়ালা হয় (যার ফলে তার গোসল ফরয হয়) এবং সে এক মাস যাবত পানি না পায় তাহলে সে কিভাবে নামায আদায় করবে?
আব্দুল্লাহ বললেন, সে তায়াম্মুম করবে না যদিও একমাস পানি না পায়। আবু মুসা বললেন, তাহলে সূরা মায়িদার এ আয়াত فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا (‘যদি তোমরা পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম কর’) এর কি হবে?
আব্দুল্লাহ বললেন, এ আয়াতের দ্বারা তাদেরকে যদি তায়াম্মুমের অনুমতি দেয়া হয়, তাহলে (ধীরে ধীরে এমন এক পর্যায়ে পৌছবে যে) পানি ঠাণ্ডা বোধ হলে তারা মাটি দিয়ে তায়াম্মুম শুরু করবে। আবু মুসা (রাযিঃ) তখন আব্দুল্লাহকে বললেন, আপনি কি আম্মারের বর্ণনা শোনেন নি (তিনি বলেন) যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে কোন এক প্রয়োজনে পাঠালেন। (পথিমধ্যে) আমি অপবিত্র হয়ে গেলাম এবং পানি পেলাম না। তখন আমি মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম চতুষ্পদ জন্তু যেভাবে মাটিতে গড়াগড়ি দেয়। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে এ ঘটনা বললাম।
তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) বললেন, তোমার জন্য হাত দিয়ে এরূপ করাই যথেষ্ট ছিল। এই বলে তিনি তাঁর দুই হাত একবার মাটিতে মারলেন। তারপর বাম হাত দিয়ে ডান হাত মাসাহ করলেন এবং উভয় হাতের কজির উপরিভাগ ও মুখমণ্ডল মাসাহ করলেন। আব্দুল্লাহ বললেন, তুমি কি দেখনি যে, উমর (রাযিঃ) আম্মার (রাযিঃ)-এর কথা যথেষ্ট মনে করেননি?