আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৩- হায়েয-ইস্তিহাযা সংক্রান্ত অধ্যায়

হাদীস নং: ৬৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৭ -
২১. ইসলামের প্রাথমিক যুগে সহবাসের দ্বারা বীর্যপাত না হলে গোসল ফরয হত না; কিন্তু পরবর্তীতে এ হুকুম মানসূখ (রহিত) হয়ে যায় এবং শুধু সহবাসের দ্বারাই গোসল ফরয হয় - তার বিবরণ
৬৭৪। যূহায়র ইবনে হারব, আব্দ ইবনে হুমায়দ ও আব্দুল ওয়ারিস ইবনে আব্দুস-সামাদ (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে খালিদ আন জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি একবার উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করেন কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে এবং বীর্য নির্গত না করে তবে তার হুকুম কি? উসমান (রাযিঃ) বললেন, সে নামাযের উযুর ন্যায় উযু করে নেবে এবং তার লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে। উসমান (রাযিঃ) বলেন, আমি এটা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছি।
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ ذَكْوَانَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ الْجُهَنِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَأَلَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ قَالَ قُلْتُ أَرَأَيْتَ إِذَا جَامَعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يُمْنِ قَالَ عُثْمَانُ " يَتَوَضَّأُ كَمَا يَتَوَضَّأُ لِلصَّلاَةِ وَيَغْسِلُ ذَكَرَهُ " . قَالَ عُثْمَانُ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, বীর্যপাতবিহীন স্ত্রী সহবাসেও গোসল ফরয হয়। মুসলিম শরীফে হযরত আবু মুসা আশআ’রী রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে আছে যে, বীর্যপাতবিহীন স্ত্রী সহবাসে গোসল ফরয হওয়া বা না হওয়ার বিষয়ে মুহাজির এবং আনসারদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে তিনি হযরত আয়েশা রা.-এর নিকট বিষয়টি জিজ্ঞেস করলেন। জবাবে তিনি বললেন যে, শুধু সহবাস হলেই গোসল ফরয হবে। (মুসলিম-৬৭৮) এ থেকে বুঝা যায় যে, এ বিষয়টি নিয়ে সাহাবায়ে কিরামের শুরু যুগে মতবিরোধ থাকলেও তাঁদের সর্বশেষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো গোসল করতে হবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/১৬১) সুতরাং হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত যিনি এ বিষয়ে অন্য যে কারো চেয়ে ভালো জানতেন। সুতরাং কোন সাহাবার ভিন্ন মত থাকলেও হযরত আয়েশা রা.-এর মত ও বর্ণনা অগ্রাধিকারের জোর দাবী রাখে।