আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৩- হায়েয-ইস্তিহাযা সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৫
২১. ইসলামের প্রাথমিক যুগে সহবাসের দ্বারা বীর্যপাত না হলে গোসল ফরয হত না; কিন্তু পরবর্তীতে এ হুকুম মানসূখ (রহিত) হয়ে যায় এবং শুধু সহবাসের দ্বারাই গোসল ফরয হয় - তার বিবরণ
৬৭১। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না এবং ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরি (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক আনসারীর (বাড়ীর) কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে সংবাদ পাঠালেন। সে বেরিয়ে এল আর তার মাথা থেকে তখন পানি ঝরছিল। তিনি বললেন, সম্ভবত আমরা তোমাকে তাড়াহুড়ার মধ্যে ফেলেছি। সে বলল, হ্যাঁ, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেন, যখন (কোন কারণে) তোমাকে তাড়াতাড়ি করতে হয় কিংবা বীর্যপাতের আগেই উঠে পড়তে হয় তখন তোমার ওপর গোসল করা (ফরয) নয়, বরং তোমার ওপর শুধু উযু করা জরুরী।*
*এই হুকুম ইসলামের প্রাথমিক যূগে ছিল পরে তা রদ হয়ে যায়। সঙ্গমে বীর্য স্খলিত না হলেও গোসল ফরয হবে।
*এই হুকুম ইসলামের প্রাথমিক যূগে ছিল পরে তা রদ হয়ে যায়। সঙ্গমে বীর্য স্খলিত না হলেও গোসল ফরয হবে।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَخَرَجَ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ فَقَالَ " لَعَلَّنَا أَعْجَلْنَاكَ " . قَالَ نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " إِذَا أُعْجِلْتَ أَوْ أَقْحَطْتَ فَلاَ غُسْلَ عَلَيْكَ وَعَلَيْكَ الْوُضُوءُ " . وَقَالَ ابْنُ بَشَّارٍ " إِذَا أُعْجِلْتَ أَوْ أُقْحِطْتَ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, বীর্যপাতবিহীন স্ত্রী সহবাসেও গোসল ফরয হয়। মুসলিম শরীফে হযরত আবু মুসা আশআ’রী রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে আছে যে, বীর্যপাতবিহীন স্ত্রী সহবাসে গোসল ফরয হওয়া বা না হওয়ার বিষয়ে মুহাজির এবং আনসারদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে তিনি হযরত আয়েশা রা.-এর নিকট বিষয়টি জিজ্ঞেস করলেন। জবাবে তিনি বললেন যে, শুধু সহবাস হলেই গোসল ফরয হবে। (মুসলিম-৬৭৮) এ থেকে বুঝা যায় যে, এ বিষয়টি নিয়ে সাহাবায়ে কিরামের শুরু যুগে মতবিরোধ থাকলেও তাঁদের সর্বশেষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো গোসল করতে হবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/১৬১) সুতরাং হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত যিনি এ বিষয়ে অন্য যে কারো চেয়ে ভালো জানতেন। সুতরাং কোন সাহাবার ভিন্ন মত থাকলেও হযরত আয়েশা রা.-এর মত ও বর্ণনা অগ্রাধিকারের জোর দাবী রাখে।


বর্ণনাকারী: