আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৩- হায়েয-ইস্তিহাযা সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ৬০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪-২
৭. মহিলার মনী (বীর্য) বের হলে তার উপর গোসল করা ওয়াজিব
৬০৮। ইবরাহীম ইবনে মুসা আর রাযী, সাহল ইবনে উসমান ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এক মহিলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলল, স্ত্রীলোকের যখন স্বপ্নদোষ হবে এবং সে বীর্য দেখতে পাবে তখন কি সে গোসল করবে? তিনি বললেন,হ্যাঁ। এরপর আয়েশা (রাযিঃ) মহিলাটিকে বললেন, তোমার উভয় হাত ধুলিময় হোক এবং তাতে অস্ত্রের খোচা লাগুক! তিনি [আয়েশা (রাযিঃ)] বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ছেড়ে দাও ওকে (ভৎর্সনা করো না) সন্তানের মধ্যে মা-বাপের সদৃশ এর কারণেই হয়ে থাকে যে, যখন স্ত্রীলোকের বীর্য পুরুষের বীর্যের ওপর প্রাধান্য লাভ করে, তখন সন্তানের আকৃতি তার মাতৃকুলের অনুরূপ হয়। আর যখন পুরুষের বীর্য স্ত্রীলোকের বীর্যের ওপর প্রাধান্য লাভ করে তখন তার আকৃতি পিতৃকুলের অনুরূপ হয়।
باب وُجُوبِ الْغُسْلِ عَلَى الْمَرْأَةِ بِخُرُوجِ الْمَنِيِّ مِنْهَا
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، وَسَهْلُ بْنُ عُثْمَانَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ - وَاللَّفْظُ لأَبِي كُرَيْبٍ - قَالَ سَهْلٌ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ مُسَافِعِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، قَالَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَلْ تَغْتَسِلُ الْمَرْأَةُ إِذَا احْتَلَمَتْ وَأَبْصَرَتِ الْمَاءَ فَقَالَ " نَعَمْ " . فَقَالَتْ لَهَا عَائِشَةُ تَرِبَتْ يَدَاكِ وَأُلَّتْ . قَالَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " دَعِيهَا وَهَلْ يَكُونُ الشَّبَهُ إِلاَّ مِنْ قِبَلِ ذَلِكِ إِذَا عَلاَ مَاؤُهَا مَاءَ الرَّجُلِ أَشْبَهَ الْوَلَدُ أَخْوَالَهُ وَإِذَا عَلاَ مَاءُ الرَّجُلِ مَاءَهَا أَشْبَهَ أَعْمَامَهُ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
উপরিউক্ত হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, বীর্যপাত হওয়া স্বপ্নে দেখলেই শুধু হবে না ঘুম থেকে উঠে যদি বাস্তবে বীর্যপাত হওয়া পরিলক্ষিত হয় তাহলে গোসল জরুরী হবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/১৬৪) হযরত উম্মে সালামা রা. থেকেও একটি সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেছেন: স্বপ্নদোষে বীর্যপাত হলে গোসল ফরয হবে। (বুখারী: ২৭৮)
