আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৩- হায়েয-ইস্তিহাযা সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০২
৩. ঋতুবতী মহিলার জন্য তার স্বামীর মাথা ধুয়ে দেয়া; তার চুল আঁচড়িয়ে দেয়া জায়েয; তার উচ্ছিষ্ট পবিত্র; তার কোলে মাথা রেখে শয়ন করে সেখানে কুরআন তিলওয়াত করা জায়েয
৫৮৭। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইয়াহুদীরা তাদের মহিলাদের হায়য হলে তার সঙ্গে এক সাথে আহার করত না এবং এক ঘরে বাস করত না। সাহাবায়ে কিরাম এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলেন। তখন আল্লাহ তা'আলা এ আয়াত নাযিল করলেনঃ وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ , তারা তোমার কাছে হায়য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলে দাও যে, তা হল নাপাক। সুতরাং হায়য অবস্থায় তোমরা মহিলাদের থেকে পৃথক থাকবে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা (সে সময় তাদের সাথে) শুধু সহবাস ছাড়া অন্যান্য সব কাজ কর। এ খবর ইয়াহুদীদের কাছে পৌছলে। তারা বলল, এ লোকটি সব কাজেই কেবল আমাদের বিরোধিতা করতে চায়।
অতঃপর উসায়দ ইবনে হুযায়র (রাযিঃ) ও আব্বাদ ইবনে বিশর (রাযিঃ) এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়াহুদীরা এ রকম এ রকম বলছে। আমরা কি তাদের সাথে (হায়য অবস্থায়) সহবাস করব না? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারা মূবারক বিবর্ণ হয়ে গেল। এতে আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি তাদের ওপর ভীষণ রাগান্বিত হয়েছেন। তারা (উভয়ে) বেরিয়ে গেল। ইতিমধ্যেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে দুধ হাদিয়া এল। তিনি তাদেরকে ডেকে আনার জন্য লোক পাঠালেন। (তারা এলে) তিনি তাদেরকে দুধ পান করালেন। তখন তারা বুঝল যে, তিনি তাদের ওপর রাগ করেননি।
অতঃপর উসায়দ ইবনে হুযায়র (রাযিঃ) ও আব্বাদ ইবনে বিশর (রাযিঃ) এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়াহুদীরা এ রকম এ রকম বলছে। আমরা কি তাদের সাথে (হায়য অবস্থায়) সহবাস করব না? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারা মূবারক বিবর্ণ হয়ে গেল। এতে আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি তাদের ওপর ভীষণ রাগান্বিত হয়েছেন। তারা (উভয়ে) বেরিয়ে গেল। ইতিমধ্যেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে দুধ হাদিয়া এল। তিনি তাদেরকে ডেকে আনার জন্য লোক পাঠালেন। (তারা এলে) তিনি তাদেরকে দুধ পান করালেন। তখন তারা বুঝল যে, তিনি তাদের ওপর রাগ করেননি।
باب جَوَازِ غَسلِ الْحَائِضِ رَأْسَ زَوْجِهَا وَتَرْجِيلِهِ وَطَهَارَةِ سُؤْرِهَا وَالاِتِّكَاءِ فِي حِجْرِهَا وَقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ فِيهِ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ الْيَهُودَ، كَانُوا إِذَا حَاضَتِ الْمَرْأَةُ فِيهِمْ لَمْ يُؤَاكِلُوهَا وَلَمْ يُجَامِعُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ فَسَأَلَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ( وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اصْنَعُوا كُلَّ شَىْءٍ إِلاَّ النِّكَاحَ " . فَبَلَغَ ذَلِكَ الْيَهُودَ فَقَالُوا مَا يُرِيدُ هَذَا الرَّجُلُ أَنْ يَدَعَ مِنْ أَمْرِنَا شَيْئًا إِلاَّ خَالَفَنَا فِيهِ فَجَاءَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ وَعَبَّادُ بْنُ بِشْرٍ فَقَالاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الْيَهُودَ تَقُولُ كَذَا وَكَذَا . فَلاَ نُجَامِعُهُنَّ فَتَغَيَّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى ظَنَنَّا أَنْ قَدْ وَجَدَ عَلَيْهِمَا فَخَرَجَا فَاسْتَقْبَلَهُمَا هَدِيَّةٌ مِنْ لَبَنٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَ فِي آثَارِهِمَا فَسَقَاهُمَا فَعَرَفَا أَنْ لَمْ يَجِدْ عَلَيْهِمَا .
