আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১- ঈমানের অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৮২-১
৭৭. আখিরাতে মু’মিনগণ তাদের প্রতিপালককে দেখতে পাবে
৩৪৮। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, কতিপয় সাহাবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! কিয়ামত দিবসে আমরা কি আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাব? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখতে তোমাদের পরস্পরের মাঝে কি ধাক্কাধাক্কি সৃষ্টি হয়? সাহাবীগণ বললেন, না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ মেঘমুক্ত আকাশে সূর্য দেখতে তোমাদের পরস্পরের মাঝে কি ধাক্কাধাক্কির সৃষ্টি হয়? তাঁরা বললেন, না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ তদ্রূপ তোমরাও তাঁকে দেখবে।
কিয়ামত দিবসে আল্লাহ সকল মানুষকে জমায়েত করে বলবেন, পৃথিবীতে তোমাদের যে যার ইবাদত করেছিলে আজ তাঁকেই অনুসরণ কর। তখন সূর্যের উপাসক দল সূর্যের পেছনে, চন্দ্রের উপাসক দল চন্দ্রের পেছনে এবং দেব-দেবীর উপাসকদল দেব-দেবীর পিছনে চলবে। কেবল এ উম্মত অবশিষ্ট থাকবে। তন্মধ্যে মুনাফিকরাও থাকবে। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের কাছে এমন আকৃতিতে উপস্থিত হবেন যা তারা চেনে না। তারপর (আল্লাহ তা'আলা) বলবেন, আমি তোমাদের প্রতিপালক (সুতরাং তোমরা আমার পেছনে চল)। তারা বলবে, নাউযুবিল্লাহ। আমাদের প্রভূ না আসা পর্যন্ত আমরা এখানেই দাঁড়িয়ে থাকব। আর তিনি যখন আসবেন, তখন আমরা তাঁকে চিনতে পারব।
এরপর আল্লাহ তাআলা তাদের কাছে তাদের পরিচিত আকৃতিতে আসবেন, বলবেনঃ আমি তোমাদের প্রভূ। তারা বলবে, হ্যাঁ, আপনি আমাদের প্রভূ। এ বলে তারা অনুসরণ করবে। ইত্যবসরে জাহান্নামের উপর দিয়ে সিরাত (রাস্তা) স্থাপন করা হবে। আর আমি ও আমার উম্মতই হব প্রথম এ পথ অতিক্রমকারী। সেদিন রাসুলগণ ব্যতীত অন্য কেউ মুখ খোলারও সাহস করবে না। আর রাসুলগণও কেবল এ দুআ করবেনঃ হে আল্লাহ! নিরাপত্তা দাও, নিরাপত্তা দাও। আর জাহান্নামে থাকবে সাদান বৃক্ষের কাটার মত অনেক কাঁটাযুক্ত লৌহ দন্ড। তোমরা সাদান বৃক্ষটি দেখেছ কি? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ দেখেছি।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তা সাদান বৃক্ষের কাটার মতই, তবে সেটা যে কত বিরাট তা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানেনা। মানুষকে তাদের আমল অনুযায়ী পাকড়াও করা হবে। কেউ তার আমলের কারণে ধ্বংস প্রাপ্ত হবে, আর কেউ আমলের শাস্তি ভোগ করবে যতদিন না তারা নাজাত পেয়েছে। এরূপে বান্দাদের মধ্যে যখন আল্লাহ তাআলা বিচারকার্য সমাপ্ত করবেন, এবং দয়া করে কিছু জাহান্নামীকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেয়ার ইচ্ছা করবেন, তখন ফিরিশতাদেরকে নির্দেশ দিবেন, তারা যেন কালিমায় বিশ্বাসীদের মধ্যে যাদের উপর আল্লাহ তাআলা রহম করতে চাইবেন এবং যারা আল্লাহর সাথে শিরক করেনি, তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আস।
অনন্তর ফিরিশতাগণ জান্নাতীদের শনাক্ত করবেন। তারা সিজদার চিহ্নের সাহায্যে তাদের চিনবেন। কারণ অগ্নি মানুষের সবকিছু ভস্ম করে দিলেও সিজদার স্থান অক্ষত থাকবে। আল্লাহ তাআলা সিজদার চিহ্ন নষ্ট করা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। মোটকথা ফিরিশতাগণ এদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনবেন। তাদের দেহ আগুনে দগ্ধ। তাদের উপর আবে-হায়াত (সঞ্জীবনী পানি) ঢেলে দেওয়া হবে। তখন তারা এতে এমনভাবে সতেজ হয়ে উঠবে, যেমনভাবে শস্য অংকুর স্রোতবাহিত পানিতে সতেজ হয়ে উঠে। আল্লাহ তাআলা বান্দাদের বিচার সমাপ্ত করবেন। শেষে এক ব্যক্তি থেকে যাবে। তার মুখমণ্ডল হবে জাহান্নামের দিকে। এই হবে সর্বশেষ জান্নাতী।
সে বলবে, হে প্রভূ! (অনুগ্রহ করে) আমার মুখটি জাহান্নামের দিক থেকে ফিরিয়ে দিন। জাহান্নামের উত্তপ্ত বায়ু আমাকে ঝলসে দিচ্ছে; এর লেলিহান শিখা আমাকে দগ্ধ করে দিচ্ছে। আল্লাহ যতদিন চান ততদিন পর্যন্ত সে তাঁর কাছে দুআ করতে থাকবে। পরে আল্লাহ বলবেন, তোমার এ দুআ কবুল করলে তুমি কি আরো কিছু কামনা করবে? সে বিভিন্ন ধরনের অঙ্গীকার করে বলবে, হে আল্লাহ! আমি আর কিছু চাইব না। আল্লাহ তাআলা তার মুখটি জাহান্নামের দিক থেকে ফিরিয়ে দিবেন। তার চেহারা যখন জান্নাতের দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে, আর জান্নাত তার চোখে ভেসে উঠবে, তখন আল্লাহ যতদিন চান সে নীরব থাকবে।
পরে আবার বলবে, হে প্রতিপালক! কেবল জান্নাতের তোরণ পর্যন্ত আমাকে এগিয়ে দিন! আল্লাহ তাকে বলবেন, তুমি না কথা দিয়েছিলে যে, আমি তোমাকে যা দিয়েছি তাছাড়া আর কিছু চাইবে না। হতভাগা, তুমি তো সাংঘাতিক ওয়াদাভঙ্গকারী। তখন সে বলবে, হে আমার রব! এই বলে মিনতি জানাতে থাকবে। আল্লাহ বলবেন, তুমি যা চাও তা যদি তাই দেই, তবে আর কিছু চাইবে না তো? সে বলবে, আপনার ইজ্জতের কসম, আর কিছু চাইব না। আল্লাহ তখন তার থেকে এ বিষয়ে ওয়াদা এবং অঙ্গীকার নিবেন। এরপর তাঁকে জান্নাতের তোরণ পর্যন্ত এগিয়ে আনা হবে।
এবার যখন সে জান্নাতের তোরণে দাড়াবে, তখন জান্নাত সুনিশ্চিত হয়ে তাঁর সামনে উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে। সে জান্নাতের সুখ-সমূদ্ধি দেখতে থাকবে। সেখানে আল্লাহ যতক্ষণ চান সে ততক্ষণ চুপ করে থাকবে। পরে বলবে, হে আমার রব! আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিন। আল্লাহ বলবেন, তুমি না সকল ধরনের ওয়াদা ও অঙ্গীকার করে বলেছিলে, আমি যা দান করেছি, এর চাইতে বেশী আর কিছু চাইবে না? দূর হতভাগা! তুমি তো ভীষণ ওয়াদাভঙ্গকারী। সে বলবে, হে আমার রব! আমি যেন সৃষ্টির সবচেয়ে দুর্ভাগা না হই। সে বারবার দুআ করতে থাকবে। পরিশেষে এক পর্যায়ে সে আল্লাহকে হাসিয়ে ফেলবেন। আল্লাহ তাআলা হেসে উঠে বলবেন, যাও জান্নাতে প্রবেশ কর। জান্নাতে প্রবেশের পর আল্লাহ তাকে বলবেন, যা চাওয়ার চাও। তখন সে তার সকল কামনা চেয়ে শেষ করবে। এরপর আল্লাহ নিজেই স্বরণ করিয়ে বলবেন, অমুক অমূকটা চাও। এভাবে তার কামনা শেষ হয়ে গেলে আল্লাহ বলবেন, তোমাকে এ সব এবং এর সমপরিমাণ আরো দেওয়া হলো।
আতা ইবনে ইয়াযীদ বলেন, আবু সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) এ হাদীসটি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের কোন কথাই রদবদল করেননি। তবে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) যখন এ কথা উল্লেখ করলেন, “আল্লাহ তাআলা বলবেন, তোমাকে এসব এবং এর সমপরিমাণ আরো দেওয়া হলো” তখন আবু সাঈদ (রাযিঃ) বললেনঃ হে আবু হুরায়রা! বরং তা সহ আরো দশগুণ দেয়া হবে। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে ‘এর সমপরিমাণ’-শব্দ স্মরণ রেখেছি। আবু সাঈদ (রাযিঃ) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আরো দশগুণ’- এ শব্দ সংরক্ষিত রেখেছি। রাবী বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) পরিশেষে বলেন, এ ব্যক্তি হবে জান্নাতে সর্বশেষ প্রবেশকারী ব্যক্তি।
কিয়ামত দিবসে আল্লাহ সকল মানুষকে জমায়েত করে বলবেন, পৃথিবীতে তোমাদের যে যার ইবাদত করেছিলে আজ তাঁকেই অনুসরণ কর। তখন সূর্যের উপাসক দল সূর্যের পেছনে, চন্দ্রের উপাসক দল চন্দ্রের পেছনে এবং দেব-দেবীর উপাসকদল দেব-দেবীর পিছনে চলবে। কেবল এ উম্মত অবশিষ্ট থাকবে। তন্মধ্যে মুনাফিকরাও থাকবে। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের কাছে এমন আকৃতিতে উপস্থিত হবেন যা তারা চেনে না। তারপর (আল্লাহ তা'আলা) বলবেন, আমি তোমাদের প্রতিপালক (সুতরাং তোমরা আমার পেছনে চল)। তারা বলবে, নাউযুবিল্লাহ। আমাদের প্রভূ না আসা পর্যন্ত আমরা এখানেই দাঁড়িয়ে থাকব। আর তিনি যখন আসবেন, তখন আমরা তাঁকে চিনতে পারব।
এরপর আল্লাহ তাআলা তাদের কাছে তাদের পরিচিত আকৃতিতে আসবেন, বলবেনঃ আমি তোমাদের প্রভূ। তারা বলবে, হ্যাঁ, আপনি আমাদের প্রভূ। এ বলে তারা অনুসরণ করবে। ইত্যবসরে জাহান্নামের উপর দিয়ে সিরাত (রাস্তা) স্থাপন করা হবে। আর আমি ও আমার উম্মতই হব প্রথম এ পথ অতিক্রমকারী। সেদিন রাসুলগণ ব্যতীত অন্য কেউ মুখ খোলারও সাহস করবে না। আর রাসুলগণও কেবল এ দুআ করবেনঃ হে আল্লাহ! নিরাপত্তা দাও, নিরাপত্তা দাও। আর জাহান্নামে থাকবে সাদান বৃক্ষের কাটার মত অনেক কাঁটাযুক্ত লৌহ দন্ড। তোমরা সাদান বৃক্ষটি দেখেছ কি? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ দেখেছি।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তা সাদান বৃক্ষের কাটার মতই, তবে সেটা যে কত বিরাট তা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানেনা। মানুষকে তাদের আমল অনুযায়ী পাকড়াও করা হবে। কেউ তার আমলের কারণে ধ্বংস প্রাপ্ত হবে, আর কেউ আমলের শাস্তি ভোগ করবে যতদিন না তারা নাজাত পেয়েছে। এরূপে বান্দাদের মধ্যে যখন আল্লাহ তাআলা বিচারকার্য সমাপ্ত করবেন, এবং দয়া করে কিছু জাহান্নামীকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেয়ার ইচ্ছা করবেন, তখন ফিরিশতাদেরকে নির্দেশ দিবেন, তারা যেন কালিমায় বিশ্বাসীদের মধ্যে যাদের উপর আল্লাহ তাআলা রহম করতে চাইবেন এবং যারা আল্লাহর সাথে শিরক করেনি, তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আস।
অনন্তর ফিরিশতাগণ জান্নাতীদের শনাক্ত করবেন। তারা সিজদার চিহ্নের সাহায্যে তাদের চিনবেন। কারণ অগ্নি মানুষের সবকিছু ভস্ম করে দিলেও সিজদার স্থান অক্ষত থাকবে। আল্লাহ তাআলা সিজদার চিহ্ন নষ্ট করা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। মোটকথা ফিরিশতাগণ এদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনবেন। তাদের দেহ আগুনে দগ্ধ। তাদের উপর আবে-হায়াত (সঞ্জীবনী পানি) ঢেলে দেওয়া হবে। তখন তারা এতে এমনভাবে সতেজ হয়ে উঠবে, যেমনভাবে শস্য অংকুর স্রোতবাহিত পানিতে সতেজ হয়ে উঠে। আল্লাহ তাআলা বান্দাদের বিচার সমাপ্ত করবেন। শেষে এক ব্যক্তি থেকে যাবে। তার মুখমণ্ডল হবে জাহান্নামের দিকে। এই হবে সর্বশেষ জান্নাতী।
সে বলবে, হে প্রভূ! (অনুগ্রহ করে) আমার মুখটি জাহান্নামের দিক থেকে ফিরিয়ে দিন। জাহান্নামের উত্তপ্ত বায়ু আমাকে ঝলসে দিচ্ছে; এর লেলিহান শিখা আমাকে দগ্ধ করে দিচ্ছে। আল্লাহ যতদিন চান ততদিন পর্যন্ত সে তাঁর কাছে দুআ করতে থাকবে। পরে আল্লাহ বলবেন, তোমার এ দুআ কবুল করলে তুমি কি আরো কিছু কামনা করবে? সে বিভিন্ন ধরনের অঙ্গীকার করে বলবে, হে আল্লাহ! আমি আর কিছু চাইব না। আল্লাহ তাআলা তার মুখটি জাহান্নামের দিক থেকে ফিরিয়ে দিবেন। তার চেহারা যখন জান্নাতের দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে, আর জান্নাত তার চোখে ভেসে উঠবে, তখন আল্লাহ যতদিন চান সে নীরব থাকবে।
পরে আবার বলবে, হে প্রতিপালক! কেবল জান্নাতের তোরণ পর্যন্ত আমাকে এগিয়ে দিন! আল্লাহ তাকে বলবেন, তুমি না কথা দিয়েছিলে যে, আমি তোমাকে যা দিয়েছি তাছাড়া আর কিছু চাইবে না। হতভাগা, তুমি তো সাংঘাতিক ওয়াদাভঙ্গকারী। তখন সে বলবে, হে আমার রব! এই বলে মিনতি জানাতে থাকবে। আল্লাহ বলবেন, তুমি যা চাও তা যদি তাই দেই, তবে আর কিছু চাইবে না তো? সে বলবে, আপনার ইজ্জতের কসম, আর কিছু চাইব না। আল্লাহ তখন তার থেকে এ বিষয়ে ওয়াদা এবং অঙ্গীকার নিবেন। এরপর তাঁকে জান্নাতের তোরণ পর্যন্ত এগিয়ে আনা হবে।
এবার যখন সে জান্নাতের তোরণে দাড়াবে, তখন জান্নাত সুনিশ্চিত হয়ে তাঁর সামনে উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে। সে জান্নাতের সুখ-সমূদ্ধি দেখতে থাকবে। সেখানে আল্লাহ যতক্ষণ চান সে ততক্ষণ চুপ করে থাকবে। পরে বলবে, হে আমার রব! আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিন। আল্লাহ বলবেন, তুমি না সকল ধরনের ওয়াদা ও অঙ্গীকার করে বলেছিলে, আমি যা দান করেছি, এর চাইতে বেশী আর কিছু চাইবে না? দূর হতভাগা! তুমি তো ভীষণ ওয়াদাভঙ্গকারী। সে বলবে, হে আমার রব! আমি যেন সৃষ্টির সবচেয়ে দুর্ভাগা না হই। সে বারবার দুআ করতে থাকবে। পরিশেষে এক পর্যায়ে সে আল্লাহকে হাসিয়ে ফেলবেন। আল্লাহ তাআলা হেসে উঠে বলবেন, যাও জান্নাতে প্রবেশ কর। জান্নাতে প্রবেশের পর আল্লাহ তাকে বলবেন, যা চাওয়ার চাও। তখন সে তার সকল কামনা চেয়ে শেষ করবে। এরপর আল্লাহ নিজেই স্বরণ করিয়ে বলবেন, অমুক অমূকটা চাও। এভাবে তার কামনা শেষ হয়ে গেলে আল্লাহ বলবেন, তোমাকে এ সব এবং এর সমপরিমাণ আরো দেওয়া হলো।
আতা ইবনে ইয়াযীদ বলেন, আবু সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) এ হাদীসটি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের কোন কথাই রদবদল করেননি। তবে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) যখন এ কথা উল্লেখ করলেন, “আল্লাহ তাআলা বলবেন, তোমাকে এসব এবং এর সমপরিমাণ আরো দেওয়া হলো” তখন আবু সাঈদ (রাযিঃ) বললেনঃ হে আবু হুরায়রা! বরং তা সহ আরো দশগুণ দেয়া হবে। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে ‘এর সমপরিমাণ’-শব্দ স্মরণ রেখেছি। আবু সাঈদ (রাযিঃ) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আরো দশগুণ’- এ শব্দ সংরক্ষিত রেখেছি। রাবী বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) পরিশেষে বলেন, এ ব্যক্তি হবে জান্নাতে সর্বশেষ প্রবেশকারী ব্যক্তি।
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ نَاسًا قَالُوا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ نَرَى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلْ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ " . قَالُوا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " هَلْ تُضَارُّونَ فِي الشَّمْسِ لَيْسَ دُونَهَا سَحَابٌ " . قَالُوا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَإِنَّكُمْ تَرَوْنَهُ كَذَلِكَ يَجْمَعُ اللَّهُ النَّاسَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَقُولُ مَنْ كَانَ يَعْبُدُ شَيْئًا فَلْيَتَّبِعْهُ . فَيَتَّبِعُ مَنْ كَانَ يَعْبُدُ الشَّمْسَ الشَّمْسَ وَيَتَّبِعُ مَنْ كَانَ يَعْبُدُ الْقَمَرَ الْقَمَرَ وَيَتَّبِعُ مَنْ كَانَ يَعْبُدُ الطَّوَاغِيتَ الطَّوَاغِيتَ وَتَبْقَى هَذِهِ الأُمَّةُ فِيهَا مُنَافِقُوهَا فَيَأْتِيهِمُ اللَّهُ - تَبَارَكَ وَتَعَالَى - فِي صُورَةٍ غَيْرِ صُورَتِهِ الَّتِي يَعْرِفُونَ فَيَقُولُ أَنَا رَبُّكُمْ . فَيَقُولُونَ نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ هَذَا مَكَانُنَا حَتَّى يَأْتِيَنَا رَبُّنَا فَإِذَا جَاءَ رَبُّنَا عَرَفْنَاهُ . فَيَأْتِيهِمُ اللَّهُ تَعَالَى فِي صُورَتِهِ الَّتِي يَعْرِفُونَ فَيَقُولُ أَنَا رَبُّكُمْ . فَيَقُولُونَ أَنْتَ رَبُّنَا . فَيَتَّبِعُونَهُ وَيُضْرَبُ الصِّرَاطُ بَيْنَ ظَهْرَىْ جَهَنَّمَ فَأَكُونُ أَنَا وَأُمَّتِي أَوَّلَ مَنْ يُجِيزُ وَلاَ يَتَكَلَّمُ يَوْمَئِذٍ إِلاَّ الرُّسُلُ وَدَعْوَى الرُّسُلِ يَوْمَئِذٍ اللَّهُمَّ سَلِّمْ سَلِّمْ . وَفِي جَهَنَّمَ كَلاَلِيبُ مِثْلُ شَوْكِ السَّعْدَانِ هَلْ رَأَيْتُمُ السَّعْدَانَ " . قَالُوا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَإِنَّهَا مِثْلُ شَوْكِ السَّعْدَانِ غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يَعْلَمُ مَا قَدْرُ عِظَمِهَا إِلاَّ اللَّهُ تَخْطَفُ النَّاسَ بِأَعْمَالِهِمْ فَمِنْهُمُ الْمُؤْمِنُ بَقِيَ بِعَمَلِهِ وَمِنْهُمُ الْمُجَازَى حَتَّى يُنَجَّى حَتَّى إِذَا فَرَغَ اللَّهُ مِنَ الْقَضَاءِ بَيْنَ الْعِبَادِ وَأَرَادَ أَنْ يُخْرِجَ بِرَحْمَتِهِ مَنْ أَرَادَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ أَمَرَ الْمَلاَئِكَةَ أَنْ يُخْرِجُوا مِنَ النَّارِ مَنْ كَانَ لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا مِمَّنْ أَرَادَ اللَّهُ تَعَالَى أَنْ يَرْحَمَهُ مِمَّنْ يَقُولُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . فَيَعْرِفُونَهُمْ فِي النَّارِ يَعْرِفُونَهُمْ بِأَثَرِ السُّجُودِ تَأْكُلُ النَّارُ مِنِ ابْنِ آدَمَ إِلاَّ أَثَرَ السُّجُودِ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَى النَّارِ أَنْ تَأْكُلَ أَثَرَ السُّجُودِ . فَيُخْرَجُونَ مِنَ النَّارِ وَقَدِ امْتَحَشُوا فَيُصَبُّ عَلَيْهِمْ مَاءُ الْحَيَاةِ فَيَنْبُتُونَ مِنْهُ كَمَا تَنْبُتُ الْحِبَّةُ فِي حَمِيلِ السَّيْلِ ثُمَّ يَفْرُغُ اللَّهُ تَعَالَى مِنَ الْقَضَاءِ بَيْنَ الْعِبَادِ وَيَبْقَى رَجُلٌ مُقْبِلٌ بِوَجْهِهِ عَلَى النَّارِ وَهُوَ آخِرُ أَهْلِ الْجَنَّةِ دُخُولاً الْجَنَّةَ فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ اصْرِفْ وَجْهِي عَنِ النَّارِ فَإِنَّهُ قَدْ قَشَبَنِي رِيحُهَا وَأَحْرَقَنِي ذَكَاؤُهَا فَيَدْعُو اللَّهَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدْعُوَهُ ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى هَلْ عَسَيْتَ إِنْ فَعَلْتُ ذَلِكَ بِكَ أَنْ تَسْأَلَ غَيْرَهُ . فَيَقُولُ لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهُ . وَيُعْطِي رَبَّهُ مِنْ عُهُودٍ وَمَوَاثِيقَ مَا شَاءَ اللَّهُ فَيَصْرِفُ اللَّهُ وَجْهَهُ عَنِ النَّارِ فَإِذَا أَقْبَلَ عَلَى الْجَنَّةِ وَرَآهَا سَكَتَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَسْكُتَ ثُمَّ يَقُولُ أَىْ رَبِّ قَدِّمْنِي إِلَى بَابِ الْجَنَّةِ . فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ أَلَيْسَ قَدْ أَعْطَيْتَ عُهُودَكَ وَمَوَاثِيقَكَ لاَ تَسْأَلُنِي غَيْرَ الَّذِي أَعْطَيْتُكَ وَيْلَكَ يَا ابْنَ آدَمَ مَا أَغْدَرَكَ . فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ وَيَدْعُو اللَّهَ حَتَّى يَقُولَ لَهُ فَهَلْ عَسَيْتَ إِنْ أَعْطَيْتُكَ ذَلِكَ أَنْ تَسْأَلَ غَيْرَهُ . فَيَقُولُ لاَ وَعِزَّتِكَ . فَيُعطِي رَبَّهُ مَا شَاءَ اللَّهُ مِنْ عُهُودٍ وَمَوَاثِيقَ فَيُقَدِّمُهُ إِلَى بَابِ الْجَنَّةِ فَإِذَا قَامَ عَلَى بَابِ الْجَنَّةِ انْفَهَقَتْ لَهُ الْجَنَّةُ فَرَأَى مَا فِيهَا مِنَ الْخَيْرِ وَالسُّرُورِ فَيَسْكُتُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَسْكُتَ ثُمَّ يَقُولُ أَىْ رَبِّ أَدْخِلْنِي الْجَنَّةَ . فَيَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى لَهُ أَلَيْسَ قَدْ أَعْطَيْتَ عُهُودَكَ وَمَوَاثِيقَكَ أَنْ لاَ تَسْأَلَ غَيْرَ مَا أُعْطِيتَ وَيْلَكَ يَا ابْنَ آدَمَ مَا أَغْدَرَكَ . فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ لاَ أَكُونُ أَشْقَى خَلْقِكَ . فَلاَ يَزَالُ يَدْعُو اللَّهَ حَتَّى يَضْحَكَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى مِنْهُ فَإِذَا ضَحِكَ اللَّهُ مِنْهُ قَالَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ . فَإِذَا دَخَلَهَا قَالَ اللَّهُ لَهُ تَمَنَّهْ . فَيَسْأَلُ رَبَّهُ وَيَتَمَنَّى حَتَّى إِنَّ اللَّهَ لَيُذَكِّرُهُ مِنْ كَذَا وَكَذَا حَتَّى إِذَا انْقَطَعَتْ بِهِ الأَمَانِيُّ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى ذَلِكَ لَكَ وَمِثْلُهُ مَعَهُ " . قَالَ عَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ وَأَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ لاَ يَرُدُّ عَلَيْهِ مِنْ حَدِيثِهِ شَيْئًا . حَتَّى إِذَا حَدَّثَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّ اللَّهَ قَالَ لِذَلِكَ الرَّجُلِ وَمِثْلُهُ مَعَهُ . قَالَ أَبُو سَعِيدٍ وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهِ مَعَهُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ مَا حَفِظْتُ إِلاَّ قَوْلَهُ ذَلِكَ لَكَ وَمِثْلُهُ مَعَهُ . قَالَ أَبُو سَعِيدٍ أَشْهَدُ أَنِّي حَفِظْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَوْلَهُ ذَلِكَ لَكَ وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهِ . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَذَلِكَ الرَّجُلُ آخِرُ أَهْلِ الْجَنَّةِ دُخُولاً الْجَنَّةَ .
