আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১- ঈমানের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৮-১
৬০. মিথ্যা কসমের মাধ্যমে কোন মুসলমানের হক তসরূপকারীর (বিনষ্টকারী) প্রতি জাহান্নামের হুমকি
২৫৪। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, ইবনে নুমাইর এবং ইসহাক ইবনে ইবরাহীম আল হানযালী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি তার উপর অর্পিত চূড়ান্ত কসমের মাধ্যমে কোন মুসলমানের সম্পদ গ্রাস করে অথচ সে মিথ্যাবাদী, এমন অবস্থায় আল্লাহর সাথে তার সাক্ষাত ঘটবে যে, তিনি তার প্রতি ক্রোধাম্বিত থাকবেন। রাবী বলেন, আশআস ইবনে কায়স সেখানে প্রবেশ করলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, আবু আব্দুর রহমান (আব্দুল্লাহ) তোমাদেরকে কি বর্ণনা করলেন? তদুত্তরে সকলে উক্ত হাদীসটির কথা বললেন। তিনি বললেন, আবু আব্দুর রহমান সত্যই বর্ণনা করেছেন, ঘটনাটি আমাকে কেন্দ্র করেই ঘটেছিল।
ব্যাপার হলো, ইয়ামানে জনৈক ব্যক্তির সাথে আমারও এক খণ্ড ভূমি ছিল। এর মীমাংসা করার নিমিত্ত আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খেদমতে উপস্থিত হই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার দাবির স্বপক্ষে তোমার কাছে কোন প্রমাণ আছে কি? আমি বললাম, না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তা হলে বিবাদীর কসম লওয়া হবে। আমি বললাম, এ ব্যক্তি তো কসম করবেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যে ব্যক্তি তার উপর অর্পিত চূড়ান্ত কসমের মাধ্যমে কোন মুসলমানের সম্পদ গ্রাস করে অথচ সে মিথ্যাবাদী, আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় তার সাক্ষাত ঘটবে যে, আল্লাহ তার প্রতি ক্রোধানিত থাকবেন।
এরপর এই আয়াত নাযিল হয়ঃ “যারা আল্লাহর সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মুল্যে বিক্রি করে, পরকালে তাদের কোন অংশ নেই। কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদেরকে পরিশুদ্ব করবেন না; তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।” (৩ঃ ৭৭)
ব্যাপার হলো, ইয়ামানে জনৈক ব্যক্তির সাথে আমারও এক খণ্ড ভূমি ছিল। এর মীমাংসা করার নিমিত্ত আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খেদমতে উপস্থিত হই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার দাবির স্বপক্ষে তোমার কাছে কোন প্রমাণ আছে কি? আমি বললাম, না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তা হলে বিবাদীর কসম লওয়া হবে। আমি বললাম, এ ব্যক্তি তো কসম করবেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যে ব্যক্তি তার উপর অর্পিত চূড়ান্ত কসমের মাধ্যমে কোন মুসলমানের সম্পদ গ্রাস করে অথচ সে মিথ্যাবাদী, আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় তার সাক্ষাত ঘটবে যে, আল্লাহ তার প্রতি ক্রোধানিত থাকবেন।
এরপর এই আয়াত নাযিল হয়ঃ “যারা আল্লাহর সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মুল্যে বিক্রি করে, পরকালে তাদের কোন অংশ নেই। কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদেরকে পরিশুদ্ব করবেন না; তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।” (৩ঃ ৭৭)
باب وَعِيدِ مَنِ اقْتَطَعَ حَقَّ مُسْلِمٍ بِيَمِينٍ فَاجِرَةٍ بِالنَّارِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينِ صَبْرٍ يَقْتَطِعُ بِهَا مَالَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ هُوَ فِيهَا فَاجِرٌ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ " . قَالَ فَدَخَلَ الأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ فَقَالَ مَا يُحَدِّثُكُمْ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالُوا كَذَا وَكَذَا . قَالَ صَدَقَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ فِيَّ نَزَلَتْ كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ رَجُلٍ أَرْضٌ بِالْيَمَنِ فَخَاصَمْتُهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " هَلْ لَكَ بَيِّنَةٌ " . فَقُلْتُ لاَ . قَالَ " فَيَمِينُهُ " . قُلْتُ إِذًا يَحْلِفُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينِ صَبْرٍ يَقْتَطِعُ بِهَا مَالَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ هُوَ فِيهَا فَاجِرٌ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ " . فَنَزَلَتْ ( إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلاً) إِلَى آخِرِ الآيَةِ .
