আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১- ঈমানের অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৭-২
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৪৬। সাহল ইবনে উসমান ও আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) অথবা আবু সাঈদ খূদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, (সন্দেহ রাবী আমাশের) তাবুকের যুদ্ধের সময়ে লোকেরা দারুণ খাদ্যাভাবে পতিত হল। তারা আরয করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আপনি অনুমতি দেন, তাহলে আমরা আমাদের উটগুলো যবেহ করে তার গোশত খাই এবং তার চর্বি ব্যবহার করি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যবেহ করতে পার। রাবী বলেন, ইত্যবসরে উমর (রাযিঃ) আসলেন এবং আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি এরূপ করা হয়, তাহলে বাহন কমে যাবে বরং আপনি লোকদেরকে তাদের উদ্ধৃত্ত রসদ নিয়ে উপস্থিত হতে বলুন, তাতে তাদের জন্য আল্লাহর নিকটে বরকতের দুআ করুন। আশা করা যায়, আল্লাহ তাতে বরকত দিবেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ- ঠিক আছে। একটি দস্তরখান আনতে বললেন এবং তা বিছালেন, এরপর সকলের উদ্ধৃত্ত রসদ চেয়ে পাঠালেন। রাবী বলেন, তখন কেউ একমুঠো গম নিয়ে হাযির হল, কেউ একমুঠো খেজুর নিয়ে হাযির হল, কেউ এক টুকরা রুটি নিয়ে আসল, এভাবে কিছু পরিমাণ রসদ-সামগ্রী দস্তরখানায় জমা হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বরকতের দুআ করলেন। তারপর বললেন, তোমরা নিজ নিজ পাত্রে রসদপত্র ভর্তি করে নাও। সকলেই নিজ নিজ পাত্র ভরে নিল, এমনকি এ বাহিনীর কোন পাত্রই আর অপূর্ণ রইল না। এরপর সকলে পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করলেন। কিছু উদ্ধৃত্তও রয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর প্রেরিত রাসুল-যে ব্যক্তি সন্দেহাতীতভাবে এ কথা দুটির উপর বিশ্বাস রেখে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে, সে জান্নাত থেকে বাধাপ্রাপ্ত হবে না।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ- ঠিক আছে। একটি দস্তরখান আনতে বললেন এবং তা বিছালেন, এরপর সকলের উদ্ধৃত্ত রসদ চেয়ে পাঠালেন। রাবী বলেন, তখন কেউ একমুঠো গম নিয়ে হাযির হল, কেউ একমুঠো খেজুর নিয়ে হাযির হল, কেউ এক টুকরা রুটি নিয়ে আসল, এভাবে কিছু পরিমাণ রসদ-সামগ্রী দস্তরখানায় জমা হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বরকতের দুআ করলেন। তারপর বললেন, তোমরা নিজ নিজ পাত্রে রসদপত্র ভর্তি করে নাও। সকলেই নিজ নিজ পাত্র ভরে নিল, এমনকি এ বাহিনীর কোন পাত্রই আর অপূর্ণ রইল না। এরপর সকলে পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করলেন। কিছু উদ্ধৃত্তও রয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর প্রেরিত রাসুল-যে ব্যক্তি সন্দেহাতীতভাবে এ কথা দুটির উপর বিশ্বাস রেখে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে, সে জান্নাত থেকে বাধাপ্রাপ্ত হবে না।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ عُثْمَانَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، - قَالَ أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، - عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَوْ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، - شَكَّ الأَعْمَشُ - قَالَ لَمَّا كَانَ غَزْوَةُ تَبُوكَ أَصَابَ النَّاسَ مَجَاعَةٌ . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ أَذِنْتَ لَنَا فَنَحَرْنَا نَوَاضِحَنَا فَأَكَلْنَا وَادَّهَنَّا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " افْعَلُوا " . قَالَ فَجَاءَ عُمَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ فَعَلْتَ قَلَّ الظَّهْرُ وَلَكِنِ ادْعُهُمْ بِفَضْلِ أَزْوَادِهِمْ ثُمَّ ادْعُ اللَّهَ لَهُمْ عَلَيْهَا بِالْبَرَكَةِ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَ فِي ذَلِكَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَعَمْ " . قَالَ فَدَعَا بِنِطَعٍ فَبَسَطَهُ ثُمَّ دَعَا بِفَضْلِ أَزْوَادِهِمْ - قَالَ - فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِكَفِّ ذُرَةٍ - قَالَ - وَيَجِيءُ الآخَرُ بَكَفِّ تَمْرٍ - قَالَ - وَيَجِيءُ الآخَرُ بِكِسْرَةٍ حَتَّى اجْتَمَعَ عَلَى النِّطَعِ مِنْ ذَلِكَ شَىْءٌ يَسِيرٌ - قَالَ - فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِ بِالْبَرَكَةِ ثُمَّ قَالَ " خُذُوا فِي أَوْعِيَتِكُمْ " . قَالَ فَأَخَذُوا فِي أَوْعِيَتِهِمْ حَتَّى مَا تَرَكُوا فِي الْعَسْكَرِ وِعَاءً إِلاَّ مَلأُوهُ - قَالَ - فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا وَفَضِلَتْ فَضْلَةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ لاَ يَلْقَى اللَّهَ بِهِمَا عَبْدٌ غَيْرَ شَاكٍّ فَيُحْجَبَ عَنِ الْجَنَّةِ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি মু'জিযা বর্ণিত হয়েছে। মু'জিযাটি প্রকাশ পেয়েছিল তাবুক যুদ্ধের সময়। এ যুদ্ধটি হয়েছিল হিজরী ৯ম সনে। তখন প্রচণ্ড অভাব-অনটন চলছিল। সাহাবায়ে কেরাম অনাহারে খুব কষ্ট পাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে উট জবাই করার অনুমতি চাইলেন, যাতে তার গোশত খেয়ে তারা ক্ষুধা নিবারণ করতে পারেন।
উট ছিল তাদের বাহন। সফরকালে বাহনের প্রয়োজন কত বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আবার এ সফর ছিলও অনেক দূরের। ক্ষুধা নিবারণের জন্য উট যবাহ করতে থাকলে কঠিন বাহন-সংকটে পড়ার আশঙ্কা ছিল। হযরত উমর রাযি. সে আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করলেন। তিনি পরামর্শ দিলেন, যার কাছে যে খাদ্য আছে তা সব একত্র করার হুকুম দেওয়া হোক। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু'আ করুন যাতে আল্লাহ তা'আলা সেই সামান্য খাদ্যে বরকত দান করেন। তাই হল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দু'আয় সে সামান্য খাদ্যে এত বরকত হল যে, বাহিনীর প্রত্যেকে আপন আপন পাত্র ভরে ফেলল এবং সকলেই তৃপ্তি সহকারে খেল, তারপরও কিছু খাদ্য অবশিষ্ট থেকে গেল।
প্রকাশ থাকে যে, তাবুকের যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল ত্রিশ হাজার। একটি চামড়ার দস্তরখানে সাহাবায়ে কেরাম তাদের কাছে বেঁচে থাকা যে সামান্য খাদ্য জমা করেছিলেন, কেউ একমুঠো ভুট্টা, কেউ রুটির সামান্য টুকরা, তার সর্বমোট পরিমাণ কতটুকুই বা ছিল? অথচ আল্লাহু আকবার, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দু'আর বরকতে ত্রিশ হাজার সদস্যের সেই বিশাল বাহিনীর সকলের ক্ষুধা নিবারণ হয়ে যায়। তারপরও কিছু খাবার অবশিষ্ট থেকে যায়। এটাই মু'জিযা- অলৌকিক ব্যাপার।
মু'জিযা দ্বারা নবীর নবুওয়াতের সত্যতা প্রমাণ হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াতের সত্যতা শুরু থেকেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছিল। মাঝেমধ্যেই মু'জিযার প্রকাশ দ্বারা সে প্রমাণ তাজা করে তোলা হচ্ছিল। তাবুকের যুদ্ধকালীন এ মু'জিযা দ্বারা সকলের সামনে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তিনি সত্যনবী, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাই তিনি বলে ওঠেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনও মা'বূদ নেই এবং আমি অবশ্যই আল্লাহর রাসূল।
তারপর প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই শাহাদাত ও সাক্ষ্যের ফযীলত বর্ণনা করেন যে, কেউ যদি আন্তরিক বিশ্বাসসহ এ সাক্ষ্যদান করে, তারপর এ অবস্থায় তার মৃত্যু হয় আর শাহাদাতের এ কালেমা নিয়ে আল্লাহ তা'আলার সঙ্গে সাক্ষাত করে, তবে জান্নাতে যেতে তার কোনও বাধা থাকবে না।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. নবীগণের মু'জিযা সত্য। তাতে বিশ্বাস রাখা ফরয।
খ. নিজের তুলনায় নিম্নস্তরের কোনও ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত পরামর্শ দিলে তা গ্রহণ করা চাই, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত উমর রাযি.-এর পরামর্শ গ্রহণ করেছিলেন।
গ. আন্তরিক বিশ্বাসে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠের সঙ্গে মৃত্যুবরণ দ্বারা জান্নাত লাভ নিশ্চিত হয়ে যায়। তাই এ কালেমাসহ যাতে মৃত্যু হয়, প্রত্যেকের সে আশা রাখা উচিত এবং জীবনভর এ কালেমা পাঠ করা ও এ কালেমার দাবি অনুযায়ী চলতে সচেষ্ট থাকা উচিত।
উট ছিল তাদের বাহন। সফরকালে বাহনের প্রয়োজন কত বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আবার এ সফর ছিলও অনেক দূরের। ক্ষুধা নিবারণের জন্য উট যবাহ করতে থাকলে কঠিন বাহন-সংকটে পড়ার আশঙ্কা ছিল। হযরত উমর রাযি. সে আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করলেন। তিনি পরামর্শ দিলেন, যার কাছে যে খাদ্য আছে তা সব একত্র করার হুকুম দেওয়া হোক। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু'আ করুন যাতে আল্লাহ তা'আলা সেই সামান্য খাদ্যে বরকত দান করেন। তাই হল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দু'আয় সে সামান্য খাদ্যে এত বরকত হল যে, বাহিনীর প্রত্যেকে আপন আপন পাত্র ভরে ফেলল এবং সকলেই তৃপ্তি সহকারে খেল, তারপরও কিছু খাদ্য অবশিষ্ট থেকে গেল।
প্রকাশ থাকে যে, তাবুকের যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল ত্রিশ হাজার। একটি চামড়ার দস্তরখানে সাহাবায়ে কেরাম তাদের কাছে বেঁচে থাকা যে সামান্য খাদ্য জমা করেছিলেন, কেউ একমুঠো ভুট্টা, কেউ রুটির সামান্য টুকরা, তার সর্বমোট পরিমাণ কতটুকুই বা ছিল? অথচ আল্লাহু আকবার, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দু'আর বরকতে ত্রিশ হাজার সদস্যের সেই বিশাল বাহিনীর সকলের ক্ষুধা নিবারণ হয়ে যায়। তারপরও কিছু খাবার অবশিষ্ট থেকে যায়। এটাই মু'জিযা- অলৌকিক ব্যাপার।
মু'জিযা দ্বারা নবীর নবুওয়াতের সত্যতা প্রমাণ হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াতের সত্যতা শুরু থেকেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছিল। মাঝেমধ্যেই মু'জিযার প্রকাশ দ্বারা সে প্রমাণ তাজা করে তোলা হচ্ছিল। তাবুকের যুদ্ধকালীন এ মু'জিযা দ্বারা সকলের সামনে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তিনি সত্যনবী, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাই তিনি বলে ওঠেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনও মা'বূদ নেই এবং আমি অবশ্যই আল্লাহর রাসূল।
তারপর প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই শাহাদাত ও সাক্ষ্যের ফযীলত বর্ণনা করেন যে, কেউ যদি আন্তরিক বিশ্বাসসহ এ সাক্ষ্যদান করে, তারপর এ অবস্থায় তার মৃত্যু হয় আর শাহাদাতের এ কালেমা নিয়ে আল্লাহ তা'আলার সঙ্গে সাক্ষাত করে, তবে জান্নাতে যেতে তার কোনও বাধা থাকবে না।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. নবীগণের মু'জিযা সত্য। তাতে বিশ্বাস রাখা ফরয।
খ. নিজের তুলনায় নিম্নস্তরের কোনও ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত পরামর্শ দিলে তা গ্রহণ করা চাই, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত উমর রাযি.-এর পরামর্শ গ্রহণ করেছিলেন।
গ. আন্তরিক বিশ্বাসে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠের সঙ্গে মৃত্যুবরণ দ্বারা জান্নাত লাভ নিশ্চিত হয়ে যায়। তাই এ কালেমাসহ যাতে মৃত্যু হয়, প্রত্যেকের সে আশা রাখা উচিত এবং জীবনভর এ কালেমা পাঠ করা ও এ কালেমার দাবি অনুযায়ী চলতে সচেষ্ট থাকা উচিত।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
