আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

১- ঈমানের অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৪-১
৯. মৃত্যু যন্ত্রণা আরম্ভ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ঈমান গ্রহণযোগ্য হওয়ার, মুশরিকদের ব্যাপারে ইস্তিগফার রহিত হওয়ার ও মুশরিক অবস্থায় মৃত্যুবরনকারীর জাহান্নামী হওয়ার এবং তার কোনমতেই পরিত্রাণ না পাওয়ার দলীল।
৩৯। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া আত তূজীবী (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ)-এর সূত্রে তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু তালিবের মৃত্যুর সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার কাছে উপস্থিত হলেন। সেখানে আবু জাহল ও আব্দুল্লাহ ইবনে আবু উমাইয়া ইবনে মুগীরাকে দেখতে পেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে চাচাজান! আপনি কালিমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলুন। আমি আল্লাহর কাছে আপনার জন্য (এর উসীলায়) সাক্ষ্য দিব। আবু জাহল ও আব্দুল্লাহ ইবনে আবু উমাইয়া বলল, হে আবু তালিব! তুমি কি আব্দুল মুত্তালিবের দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বারবার ঐ কথার পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছিলেন।

আবু তালিব শেষ কথাটি এ বললেন যে, তিনি আব্দুল মুত্তালিবের দ্বীনের উপরই রয়েছেন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ- বলতে অস্বীকার করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি আপনার জন্য অবশ্যই ইস্তিগফার করতে থাকব, যতক্ষণ না আমাকে তা থেকে নিষেধ করা হয়, এ প্রেক্ষাপটে আল্লাহ তা'আলা নাযিল করেনঃ (অর্থ) আত্মীয়-স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী এবং মুমিনদের সঙ্গত নয় যখন সূস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা জাহান্নামী। (সূরা তাওবাঃ ১১৩) আর আল্লাহ তা'আলা বিশেষভাবে আবু তালিবের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে লক্ষ করে ইরশাদ করেনঃ (অর্থ) (হে রাসুল) আপনি যাকে চাইবেন তাকে পথ দেখাতে পারবেন না কিন্তু আল্লাহ পথ দেখান, যাকে ইচ্ছা করেন। আর তিনিই সম্যক জ্ঞাত আছেন কাদের ভাগ্যে হিদায়াত আছে সে সষ্পর্কে।
الدليل على صحة إسلام من حضره الموت ما لم يشرع في الغرغرة ونسخ جواز الاستغفار للمشركين
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا حَضَرَتْ أَبَا طَالِبٍ الْوَفَاةُ جَاءَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَ عِنْدَهُ أَبَا جَهْلٍ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أُمَيَّةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عَمِّ قُلْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . كَلِمَةً أَشْهَدُ لَكَ بِهَا عِنْدَ اللَّهِ " . فَقَالَ أَبُو جَهْلٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ يَا أَبَا طَالِبٍ أَتَرْغَبُ عَنْ مِلَّةِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ . فَلَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْرِضُهَا عَلَيْهِ وَيُعِيدُ لَهُ تِلْكَ الْمَقَالَةَ حَتَّى قَالَ أَبُو طَالِبٍ آخِرَ مَا كَلَّمَهُمْ هُوَ عَلَى مِلَّةِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ . وَأَبَى أَنْ يَقُولَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَا وَاللَّهِ لأَسْتَغْفِرَنَّ لَكَ مَا لَمْ أُنْهَ عَنْكَ " . فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ) . وَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِي أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ( إِنَّكَ لاَ تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ).
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)